শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

গোলে এগিয়ে বিদেশিরাই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গোলে এগিয়ে বিদেশিরাই

পেশাদার ফুটবল লিগের যাত্রা হয়েছিল ২০০৭ সালে। ১৫তম আসর শেষ হওয়ার পথে। বিস্ময়কর হলেও ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ এ আসরে বাংলাদেশ অর্থাৎ স্থানীয় খেলোয়াড়রা একবারই সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরেছিলেন। এবার দুই পর্ব মিলিয়ে ১২টি করে খেলা শেষ হয়েছে। তবুও নিশ্চিত করে বলা যায় বিদেশিদের মধ্য থেকেই সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন। কে হবেন তা বলা মুশকিল। স্থানীয়দের মধ্যে একবারই সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ঢাকা আবাহনীর এনামুল হক। ২০০৯-১০ মৌসুমে তিনি ২১ গোল করে সবাইকে পেছনে ফেলেন। কয়েক বছর আগে তিনি ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। এর পর আর দেশি কোনো ফুটবলার এ আসনে বসেননি।

এবার লিগে এখন পর্যন্ত ১১ গোল দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের স্টাইকার ডরিয়েলটন গোমেজ। তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিদেশি ফুটবলাররা। দুই হ্যাটট্রিকে ৯ গোল করেছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। গতবার মালির এ ফুটবলার ২১ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে আছেন আরও তিনজন। ঢাকা আবাহনীর কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন ড্রেস, শেখ জামালের কার্নেলিয়াস স্টুয়াট ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের এমফন উদোয়ো ৯টি করে গোল করেন। বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো ৮, ঢাকা আবাহনীর এলিটা কিংসলে ৭ গোল করেছেন। লিগে এখনো প্রতিটি ক্লাবের আটটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বড় কোনো চমক না থাকলে বিদেশি ফুটবলাররা সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে যাচ্ছেন। কে হবেন সেটাই দেখার বিষয়। স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভাঙার একমাত্র সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া কিংসলকে ঘিরে। তার গোল সংখ্যা ৭টি। পেশাদার লিগে হাইতির ওয়েডসনের রেকর্ডটি এবারও ভাঙার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে তিনি চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে ২৬ গোল করেন। যা এখন পর্যন্ত লিগে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর