বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

জন্মদিনে মুশফিকের ফিফটি

আসিফ ইকবাল

জন্মদিনে মুশফিকের ফিফটি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রায় ৪৫ হাজার (৪৪,৮৪৬) রান করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ইংলিশ কিংবদন্তি ক্রিকেটার গুচ খেলেছেন এসেক্সের হয়ে। কাউন্টি দল এসেক্সের মাঠে সর্বশেষ ম্যাচ হয়েছিল ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে। যে তিনটি ম্যাচ হয়েছে এখানে তার সবগুলোই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। মাঠটি লন্ডন থেকে দক্ষিণে পুরনো শহর চেমসফোর্ডে অবস্থিত। এখানে গত দুই যুগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও নিয়মিত প্রথম শ্রেণির ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। ইংলিশ ক্রিকেটে পরিচিত ভেন্যু। তবে খুব বড় নয়। সাড়ে ছয় হাজার আসন সংখ্যা। গতকাল স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীতে। দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশের কোনো স্টেডিয়াম। সেই মাঠে গতকাল দারুণ প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন প্রতিকূল কন্ডিশনে। আইরিশ বোলারদের গতি, বাউন্স ও সুইংয়ের বিপক্ষে টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু দুজনে ধারাবাহিক ব্যাটিং করেছেন। মুশফিক তার অফিশিয়াল ৩৬তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন ৬১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে। তার হাফসেঞ্চুরি ও নাজমুল শান্তের ৪৪ রানে ভর করে বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে যোগ করে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান। ২৪৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আয়ারল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তোলার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এরপর আর খেলা হয়নি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ না হওয়ায় আয়ারল্যান্ডের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকা এখন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। পরিচিত কন্ডিশন, বৃষ্টিভাবাপন্ন পরিবেশ এবং তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন কন্ডিশনে আইরিশ অধিনায়ক এন্ড্রু বালবার্নি টস জিতে তামিম বাহিনীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার দুই ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩.৫ ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে দলকে চাপে ফেলে দেন। ড্যাসিং ওপেনার লিটন ইনিংসের চতুর্থ বলে সুইংয়ে বোকা বনে ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক তামিম মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটরক্ষক টাকারের গ্লাভসবন্দি হন ১৯ বলে ২ চারে ১৪ রান করে। ১৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন ও সাকিব আল হাসান জুটি গড়েন। কিন্তু ৩৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা। দলীয় ৫২ রানে হিউমকে অহেতুক চার্জ করতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব ২১ বলে ২২ রান করে। ২১.৪ ওভারে আউট হন নাজমুল। ৬৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার। তৌহিদ হৃদয় আউট হন দলীয় ১২২ রানে। ওপরের সারির পাঁচ ব্যাটারের বিদায়ের পর দলকে টেনে নিয়ে যান ছন্দে থাকা মুশফিক। তিনি ষষ্ঠ জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে যোগ করেন ৬৫ রান। মিরাজ ২৭ রান করেন ৩৪ বলে। মুশফিক তার অফিশিয়াল ৩৬তম জন্মদিন উদযাপন করেন হাফসেঞ্চুরি করে। ২৪৬ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল ৬১ রানের। ৭০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার। মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম ওয়ানডে করেন। ৬০ বলে ১০০ রানের হার না মানা ইনিংসটি খেলেন ১৪ চার ও এক ছক্কায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর