একে একে টানা আট জয়ে রংপুর রাইডার্স নিজেদের প্রতিপক্ষের কাছে এক ভয়ংকর দল হিসেবে প্রমাণ করেছিল। কোনো দলকেই পাত্তা দেয়নি তারা। এ কারণে খেলতে নামার আগেই এক ধাপ এগিয়ে থাকত দলটা। শেষ পর্যন্ত জয়রথ থেমেছে রংপুর রাইডার্সের। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নুরুল হাসান সোহানদের জয়রথ থামিয়েছে দুর্বার রাজশাহী।
চলমান বিপিএলে সব দলের সঙ্গেই খেলা হয়েছে রংপুর রাইডার্সের। গতকালের আগে সব প্রতিপক্ষকেই পরাজিত করেছে দলটা। কোনো কোনো দলকে হারিয়েছে দুবার। তবে গতকালের আগে এবারের আসরে দুর্বার রাজশাহীর মুখোমুখি হয়নি রংপুর। দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে জয় পেয়েছেন তাসকিন আহমেদরা। সাগরিকা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১৭০ রান সংগ্রহ করে ৯ উইকেট হারিয়ে। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রান করে অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। এ পরাজয়ের পরও ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষেই আছে রংপুর রাইডার্স। ৯ ম্যাচ খেলে কেবল একটিতে হেরেছে দলটা। ১০ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে উঠেছে দুর্বার রাজশাহী। সামনের দুই ম্যাচ জিততে পারলে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারবে রাজশাহী। অবশ্য গত রাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স জয় পেয়ে থাকলে পয়েন্ট তালিকায় পরিবর্তন এসে গেছে। খুলনা ৪ নম্বরে উঠে আসার কথা।
গতকাল শুরু থেকেই দুর্বার রাজশাহীর লক্ষ্য ছিল রান বাড়িয়ে নেওয়া। রংপুর রাইডার্সের মতো দলের বিপক্ষে বড় স্কোর ছাড়া রান ডিফেন্ড করা সহজ কাজ নয়। দুইশোর্ধ্ব টার্গেট পাড়ি দিয়েও এবারের বিপিএলে ম্যাচ জয় করেছে রংপুর রাইডার্স। এ কারণেই ১৭০ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না দুর্বার রাজশাহী। দলটির পক্ষে গতকাল সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইয়াসির আলি। তিনি ৩২ বলে দুটি ৪ ও ৬টি ছক্কার মারে এ রান করেন। অবশ্য তার আগেই সাব্বির হোসেন ও এনামুল হক লড়াকু স্কোরের পথে এগিয়ে দেন দলকে। সাব্বির মাত্র ১৯ বলে ৩৯ রান করেন। এনামুল করেন ৩১ বলে ৩৪ রান। মোহাম্মদ হ্যারিস ১২ বলে ১৯ রান করেছেন। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে আকিফ জাভেদ ২৩ রানে ৩টি এবং খুশদিল শাহ ৩১ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। ১৫টি উইকেট শিকার করে চলমান বিপিএলে বোলারদের তালিকায় দুইয়ে উঠেছেন আকিফ। খুশদিল শাহ ১৪ উইকেট শিকার করে আছেন তিন নম্বরে। আকিফ-খুশদিলের ভালো বোলিংয়েও কাজ হয়নি গতকাল। ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৪৬ রানেই অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। ২৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুর্বার রাজশাহী। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সাইফ হাসান (২৯ বলে)। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। এ ছাড়াও নুরুল হাসান সোহান ৪১ রান করেন ২৬ বলে। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। সাইফুদ্দিন ১৪ বলে করেন ২৩ রান। দুর্বার রাজশাহীর পক্ষে ২২ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন রায়ান বার্ল। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ ও মেহেরব ২টি করে উইকেট শিকার করেন। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে খুলনা টাইগারর্স। সিলেটের ৯ উইকেটে ১৫২ রানের জবাবে ২ বল বাকী থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগারর্স।