- ১০ জুন খেলবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেই ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের আশায় বুক বেঁধেছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ইতালি থেকে ঢাকায় ওড়ে এসেছেন ফাহামিদুল ইসলাম। আসছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী এবং সামিত সোম।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। দিন কয়েক পরই এই মাঠে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ১০ জুন খেলবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেই ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের আশায় বুক বেঁধেছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ইতালি থেকে ঢাকায় ওড়ে এসেছেন ফাহামিদুল ইসলাম। আসছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী এবং সামিত সোম। ফুটবল নিয়ে এতটা তোড়জোড় বাংলাদেশে খুব কমই হয়েছে গত প্রায় দেড় দশকে। একদিকে টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা, অন্যদিকে সামনের দুই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ফুটবলাররা।
গতকাল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামেই অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল। তবে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে অনুশীলন সরিয়ে নিতে হয় বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায়। বৃষ্টিসিক্ত হয়ে কিংস অ্যারিনায় জামাল-ফাহামিদুলদের প্রথম অনুশীলন করালেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অনুশীলনের ফাঁকে দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া ও ইসা ফয়সাল জানালেন আশার কথা। ইসা বললেন, সিঙ্গাপুর বেশ ভালো দল। তাদের আক্রমণভাগ সম্পর্কে আমরা জানি। তবে আমাদের ডিফেন্ডাররাও প্রস্তুত। পাশাপাশি নিজেদের মিডফিল্ডারদের নিয়েও আশার কথা শোনালেন তিনি। ইসা বলেন, মিডফিল্ড শক্তিশালী হলে ডিফেন্ডারদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানালেন, দলের মিটিং হয়েছে এরই মধ্যে। সেই মিটিংয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোচ দলের সবাইকে সাহস দিয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে চারদিকেই দারুণ এক উত্তেজনা বিরাজমান। এটা নিয়ে ফুটবলাররাও বেশ সচেতন। রহমত মিয়া বললেন, আমাদের দর্শকদের চাওয়া এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে। তবে পাশাপাশি চাপ অনুভবের কথাও বললেন রহমত। জাতীয় দলের প্রথম অনুশীলন গতকাল শেষ করেছেন কাবরেরা। সামনে আরও বেশ কয়েকটা সেশন পাবেন তিনি। এরই মধ্যে দলকে প্রস্তুত করে তুলবেন সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য। যে ম্যাচে জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।