সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ফুটবল। চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়েই নতুন মৌসুম শুরু হবে। দলবদলের কার্যক্রম এখনো চলছে। তবে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী নিয়ে। গত মৌসুমে পেশাদার লিগের শিরোপা দুই দলের কেউ জিততে না পারলেও কিংস ও আবাহনী বরাবরই আলোচনায় থাকে। আবাহনী তো অভিষেকের পর থেকেই তারকা-নির্ভর দল গড়েছে। বসুন্ধরা কিংসেরও একই অবস্থা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে পেশাদার ফুটবলে আবির্ভাবের পর স্থানীয় ও বিদেশিদের নিয়ে তারাও সেরা দল গড়ছে। নতুন মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। এখন পর্যন্ত যে কালেকশন তাতে কিংস ও আবাহনীকেই প্রকৃত শক্তিশালী দল বলা যায়। গতবার ঢাকা মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার তাদের ঘর ভেঙেছে। বসুন্ধরা কিংস স্মরণকালের সেরা দল গড়েছে বললেও ভুল হবে না। নির্ভরযোগ্যদের ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ হৃদয়, শাহরিয়া ইমন, তাজউদ্দিন, তানভীর, নাবিব নেওয়াজ জীবন। ইমন ও হৃদয় তো জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। তাজ ও তানভীর গত মৌসুমে নজরকাড়া পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। তবে বড় চমক হচ্ছে ইংলিশ ফুটবলে সান্ডারল্যান্ডে বয়সভিত্তিক দলে খেলা কিউবা মিচেল। বাংলাদেশি বংশো™ভূত ফুটবলার বলেই তিনি স্থানীয় কোঠায় খেলবেন। বিদেশির ক্ষেত্রে পুরো রদবদল। গতবারের খেলা কেউ নেই। নতুনভাবে যারা এসেছেন, তারাও ঘরোয়া আসরে পরীক্ষিত। মোহামেডানের টনি, সানডে, আবাহনীর রাফাইল ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে কিংসের খেলা ডরিয়েলটন।
ঢাকা আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন শেখ মোরসালিন, আল-আমিন ও কাজিম শাহ। আবাহনীর বড় সংগ্রহ মোহামেডানের প্রাণ গাম্বিয়ার ফুটবলার সুলেমান দিয়াবাতে। এখন পর্যন্ত আর উল্লেখযোগ্য বিদেশি না হলেও আবাহনীর শক্তি বেড়েছে তা নিয়ে সংশয় নেই। শক্তি পরীক্ষাটা কিংস ও আবাহনী যাচাই করে নিতে পারবে ঘরোয়া আসর মাঠে গড়ানোর আগে। দুই দল ১২ আগস্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলবে। নিজেদের প্রস্তুতির পরীক্ষা করতে আজ কিংস ও আবাহনী প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে পারে। তা হতে পারে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায়। প্রস্তুতি হলেও ম্যাচটি দুই দলের চ্যালেঞ্জই বলা যায়। কেউ চাইবে না হার মানতে। প্রতিযোগিতা বা প্রীতি বড় দলের যে কোনো ম্যাচ উত্তাপ ছড়ায়। এখান থেকেই সংশোধনীর সুযোগও থাকবে।