ছক্কা মারলেও কোনোভাবেই বল ডট করা যাবে না। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্কোরিং শট খেলা জরুরি। এ জায়গায় আমাদের ক্রিকেটারদের দুর্বলতা রয়েছে। চার-ছক্কা মারছেন। কিন্তু ভালো বলগুলোতে রান নিতে পারছেন না - খালেদ মাসুদ পাইলট, সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ
জাকের আলি অনীক; বাংলাদেশ ক্রিকেটের সীমিত ওভারের ম্যাচগুলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকাদের একজন। টি-২০ ক্রিকেটে তার স্ট্রাইকরেট ১২৬.৩২, ওয়ানডেতে স্ট্রাইকরেট ৮৩.৬১। মিডল অর্ডার, লেট মিডল অর্ডারে বড় বড় ছক্কা মারেন। ১০ ওয়ানডেতে ছক্কা মেরেছেন ১৪টি এবং ৩৩ টি-২০ ম্যাচে চারের (২৮) চেয়ে ছক্কা মেরেছেন বেশি, ৩৭টি। বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিচারে ভবিষ্যতে ক্রিকেট দলের একজন জেনুইন ম্যাচ উইনার জাকের আলি। উইকেটরক্ষক ব্যাটারের হার্ড হিটিং ব্যাটিং ভীষণ উপভোগ করেন সাবেক অধিনায়ক। সেদিন তার সঙ্গে বিস্তর সময় কাটিয়েছেন। ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে কথা বলেছেন। পাইলটের মনে হয়েছে, উইকেটের চারদিকে চার-ছক্কা মারলেও পয়েন্টে খেলায় দুর্বলতা রয়েছে জাকেরের। এমন দুর্বলতা শুধু জাকেরের নয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারেরই রয়েছে মনে করেন তিনি। টি-২০ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন খালেদ মাসুদ। তিনি লিটন বাহিনীর সম্ভাবনা দেখছেন শিরোপা জয়ের। এজন্য ট্যাকটিক্যাল ক্রিকেট খেলতে বলেন সাবেক অধিনায়ক, ‘বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের অভাব নেই। তারা নিয়মিত চার-ছক্কা মারছেন। অথচ বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ। এখনকার ব্যাটগুলো এমনভাবে বানানো হয়, পাওয়ার হিটিং কোচের খুব দরকার হয় না। এশিয়া কাপে টি-২০ ম্যাচ বলেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের যে কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এজন্য আমাদের ক্রিকেটারদের অনেক বেশি টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’ সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সমস্যা দেখেছেন। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখছেন ডট বল ও স্কোরিং শট কম খেলা। ভারত, পাকিস্তানসহ যে কোনো দলের বিপক্ষে সাফল্য পেতে স্কোরিং শট খেলা জরুরি বলেন খালেদ মাসুদ, ‘টি-২০ ক্রিকেটে সাফল্য পেতে আপনাকে ওভারে ১০-১২ রানের টার্গেটে খেলতে হবে। চার, ছক্কা মারলেও কোনোভাবেই বল ডট করা যাবে না। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্কোরিং শট খেলা জরুরি। এ জায়গায় আমাদের ক্রিকেটারদের দুর্বলতা রয়েছে। চার-ছক্কা মারছেন। কিন্তু ভালো বলগুলোতে রান নিতে পারছেন না। অথচ টি-২০ ক্রিকেটে সাফল্য পেতে আপনাকে প্রতিটি বলেই স্কোরিং শট খেলতে হবে। কোনোভাবেই ডট দেওয়া যাবে না।’ স্কোরিং শট খেললেই ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানকে হারানো সম্ভব মনে করেন খালেদ মাসুদ।
টি-২০ এশিয়া কাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে লিটন বাহিনী। গত দুই দিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্যাটিং, বোলিং অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। আজ ও আগামীকাল আরও দুই দিন অনুশীলন করে টাইগাররা উড়ে যাবেন সিলেটে। সেখানে ৩০ আগস্ট এবং ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান উড়ে যাবে। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে। ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। লিটনদের সব ম্যাচই হবে আবুধাবিতে। বাংলাদেশ এশিয়া কাপ খেলছে ১৯৮৬ সাল থেকে। গত ১৫ আসরে সাফল্য তিনবার রানার্সআপ। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে রানার্সআপ হয়েছিল। এশিয়া কাপ এবার হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে। টি-২০ বিশ্বকাপ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এবার নিয়ে তৃতীয়বার টি-২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া কাপ।