হয় জয়, না হয় বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস আজ খেলতে নামছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ফুটবল ‘বি’ গ্রুপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লেবানন আল-আনসার এফসি ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে তারা। দুই ক্লাবেরই আজ বাঁচা-মরার লড়াই। কিংস প্রথম ম্যাচে ওমানের আল সিবের কাছে ২-৩ গোলে হেরেছিল। একইভাবে আল-আনসারও আসর শুরু করেছে কুয়েত এসসির কাছে ২-৩ গোলে হেরে। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের বসুন্ধরার জয় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। কুয়েতের আল মোবারক আল সাবা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। রাত ১০টায় একই ভেন্যুতে কুয়েতের এসসি ক্লাব মুখোমুখি হবে ওমানের আল সিবের বিপক্ষে। যারা জিতবে ছয়
পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে থাকবে। ড্র করলে যৌথভাবে শীর্ষে।
আজ কিংস হেরে গেলে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। ৩১ অক্টোবর তখন কুয়েত এসসির লড়াইটি নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পরিণত হবে। এএফসি ক্লাব ফুটবলে কিংস এ নিয়ে টানা ছয়বার খেলছে। তবে চূড়ান্ত পর্বে কখনো খেলা সম্ভব হয়নি। গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নিয়েছে। প্রথম ম্যাচের হারের বেদনা ভুলে আজ ঘুরে দাঁড়াতে চান তপু, রাকিবরা। জাতীয় দলের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লেবাননের অবস্থান ১১০ আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য যাই হোক ক্লাব ফুটবলে লেবাননের আল-আনসার এমন শক্তিশালী দল নয় যে, কিংস জিততেই পারবে না। প্রথম ম্যাচেই তো ওমানের আল সিবকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল, রক্ষণের ভুলে জেতা ম্যাচে তাদের হারতে হয়েছে। দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ২০২৩ সালে একে অপরের বিপক্ষে লড়েছিল। সেটা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। লেবাননের কাছে ০-২ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে খেলা তপু বর্মণ, সাদউদ্দিন, রাকিব, সোহেল রানা, ফাহিম আজ আল-আনসারের বিপক্ষে খেলবে। ধরাছোঁয়ার বাইরে না হলেও কিংসের প্রতিপক্ষ লেবাননের ক্লাব বলেই গুরুত্ব দিতে হবে। নিজ দেশের শীর্ষ লিগে রেকর্ড ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন তারা। কিংস আবার পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন অভিষেকের সাত বছরের মাথায়।
হিসাব-নিকাশ করে দেখা যাচ্ছে ফুটবলে দুই দেশের সেরা ক্লাবই আজ মুখোমুখি হচ্ছে। সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জেতা সম্ভব। আল সিবের বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে এগিয়ে যায় কিংস। ম্যাচে প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট, রক্ষণভাগের ভুলেই জয় হাতছাড়া হয়। দলের আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজ নিশ্চয় এ নিয়ে শিষ্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভুল-ত্রুটি শুধরিয়ে কিংস আজ খেললে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়া সম্ভব। ডরিয়েলটন, সানডে, রাকিব, ফাহিম দুর্দান্ত খেলছেন। তবে একটা বিষয় না বললেই নয়, কিউবা মিচেলকে শুরু থেকে কেন খেলানো হচ্ছে না? বদলি হিসেবে নামার পর কিংসের যে গতি বেড়ে যায় তাকে শুরুতে নামালে কি কিংস উপকৃত হতো না? দেখা যাক কোচ আজ কী করেন?