এক অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ। সিরিজের প্রথম টেস্টে পার্থের উইকেট যেন ছিল বোলারদের স্বর্গরাজ্য। বাউন্সি ও গতিময় পিচে প্রথম দিনে ১৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় দিনে পড়ল ১২টি। ১০৪ বছর পর আবার দুই দিনে শেষ হলো অ্যাশেজের কোনো টেস্ট। বল হাতে জ্বলে ওঠেন মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ডরা। যে পিচে টিকতেই পারলেন না ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটার, সেখানে দাপট দেখালেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড। টি-২০ মেজাজে খেলা তার সেঞ্চুরির ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ৮৩ বলে ১২৩ রান করেন হেড। তিনি ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ১৬ চারে। ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করে ভাঙেন ১২৩ বছরের রেকর্ড। এটি অসিদের হয়ে টেস্টে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চম। আর অ্যাশেজে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। এ দিন তিনি গিলবার্ট জেসপের ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৬ বলের সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙেছেন। অ্যাশেজের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, যিনি ২০০৬-০৭ মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
এর আগে অপ্টাস স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে একাই ৭ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ইনিংসে গুটিয়ে দেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র হ্যারি ব্রুক (৫২) ছাড়া আর কেউ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তবে ছেড়ে কথা বলেননি ইংলিশ পেসাররাও। ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ৩০-এর গন্ডি পেরোতে পারেননি কোনো অসি ব্যাটার। ইংল্যান্ডের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্স উপহার দেন বেন স্টোকস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানের লিড নিয়ে আবার ছন্নছাড়া ইংল্যান্ড। স্কট বোল্যান্ডের গতিতে ৪ উইকেট আর ডগেটের ৩ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে স্টোকসের দল। গাস অ্যাটকিনসনের ৩৭ ও অলির পোপের ৩৩ ছাড়া উল্লেখযোগ্য ইনিংস ছিল না। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৭ উইকেট নেওয়া পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা স্টার্কও অ্যাশেজে প্রথমবার ম্যাচে ১০ উইকেটের স্বাদ পেলেন, যা তার ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার।