১৯৩৬ সালে বার্লিন অলিম্পিকে চারটি স্বর্ণ জিতেছিলেন জেসি ওয়েন্স। অলিম্পিক ইতিহাসে সেটাই ছিল প্রথম কোনো অ্যাথলেটের এক আসরে চারটি স্বর্ণ জয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য থেমে গিয়েছিল এই মার্কিন অ্যাথলেটের দৌড়। তবে থেমে থাকেননি ওয়েন্স। অর্থ উপার্জনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন অদ্ভুত এক পথ। ঘোড়ার সঙ্গে দৌড়! ৭৮ বছর পর অ্যাথলেটিক্সে জীবন্ত কিংবদন্তি জ্যামাইকার উসাইন বোল্ট দৌড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের দ্রুততম প্রাণী চিতার সঙ্গে। শুধু দৌড়াতেই চান না বিশ্বের দ্রুততম মানব, হারাতেও চান চিতাকে। ভারতে এক সপ্তাহের সফরে এসে এমন স্বপ্নের কথাই জানান 'জ্যামাইকান কিং'।
জীবনে হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয় বলে বাবা তাকে অ্যাথলেট হতে বলেন। বাবার কথা রেখেই আজ কিংবদন্তি হয়ে গেছেন বোল্ট। ১০০ মিটার দৌড়াতে সময় নিয়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ড। অদূর ভবিষ্যতে এ রেকর্ড ভাঙবে কি না, সময়ই বলবে। ২০০ মিটার দৌড়ের রেকর্ডও তার গড়া। এবার সেটাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চান। নিজেকে নিয়ে যেতে চান অনন্য উচ্চতায়। ভারতীয় মিডিয়ার মুখোমুখিতে 'জ্যামাইকান বিদ্যুৎ' বোল্টকে প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে বেছে নেবেন- জানতে চাইলে বলেন, 'স্পোর্টস কার নয়, দৌড়াতে চাই চিতার বিপক্ষে। স্পোর্টস কার একটি যন্ত্র। চিতার রয়েছে প্রাণ। তাই চিতার বিপক্ষেই দৌড়াতে চাই।' চিতার গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। একজন মানবসন্তানের গতি সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ কিলোমিটার। সে হিসেবে লড়াই একপেশে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু বোল্ট বলেই অন্যরকম লড়াইয়ের গন্ধ পাওয়া যায়!
ছয়টি অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী বোল্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখনকার কাউকে আমলে আনছেন না। যদিও স্বদেশি ইয়োহান ব্লেক, দুই মার্কিন স্প্রিন্টার জাস্টিন গ্যাটলিন ও টাইসন গে রয়েছেন। তাদের নিয়ে উচ্ছ্বসিতও। কিন্তু তার রেকর্ড ভাঙার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য নেই তাদের বলে মনে করেন বোল্ট, 'গ্যাটলিন, গে, ব্লেক ভালো স্প্রিন্টার। কিন্তু তারা আমার রেকর্ড ভাঙার মতো নয়। আমার রেকর্ড ভাঙতে আমার চেয়েও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।' ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক এবং ২০১৭ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর ট্রাক ছেড়ে দেবেন। এরপর পেশাদার ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পাঁড় সমর্থকের।