এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল গতকাল রাতেই ঢাকা ত্যাগ করেছে। সিঙ্গাপুরে দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দলটি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে। সিঙ্গাপুরে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ইনচেনে ১৭তম এশিয়ান গেমসের পর্দা উঠবে। তার আগেই ১৪ সেপ্টেম্বর ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়ে যাবে। বাংলাদেশ এবার বি গ্রুপে উজবেকিস্তান, হংকং ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে। ১৫ সেপ্টেম্বরই বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ১৮ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তান ও ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে হংকংয়ের সঙ্গে। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ দুই ডাচ্ কোচ লোডডিক ক্রুইফ ও রেনে কোস্টারের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করে। লোকাল দলের বিপক্ষে ছয়টি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেয়। একটি ড্র ছাড়া বাকি পাঁচ ম্যাচই বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে। প্রস্তুতি জোরালো করতে ঢাকা ও সিলেটে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। প্রথমটি ১-০ গোলে জয় পেলেও পরের ম্যাচে হেরে যায় ০-১ গোলে।
দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মামুনুল বলেন, এশিয়ান গেমসে এশিয়ার সেরা দলগুলো অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে পদক জেতার সম্ভাবনা নেই। তবে লক্ষ্য থাকবে গ্রুপে প্রতিটি ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করা। গ্রুপে শক্তির তুলনা করলে বাংলাদেশকেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলা যায়। উজবেক এশিয়ান ফুটবলে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। হংকংয়ের সঙ্গে গত গেমসে ১-৪ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। আফগানিস্তান বর্তমানে সাফ চ্যাম্পিয়ন। বাবু বলেন, নিঃসন্দেহে তিনটি দলই শক্তিশালী। কিন্তু সবার সঙ্গে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস যে ধরনের প্রস্তুতি হয়েছে তা যদি খেলোয়াড়রা মাঠে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে ফলাফল হতাশাজনক হবে না। ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে অংশ নিচ্ছে। ১৯৮২ সালে দিলি্ল গেমসে মালয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারানোটাই ফুটবলে বড় প্রাপ্তি। এরপর ১৯৮৬ সালে সিউল গেমসে নেপালকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ।
ফিকশ্চার
১৫ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান
১৮ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ বনাম উজবেকিস্তান
২২ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ বনাম হংকং