নিউজিল্যান্ড কেন, গোটা বিশ্ব ঘুরে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) মতো বিশাল আকৃতির স্টেডিয়াম খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইডেন গার্ডেন, লর্ডস, ওয়াংখের স্টেডিয়ামও বড়। কিন্তু এমসিজি সবকিছুকে ছাড়িয়ে। আজ ফাইনাল। প্রতিপক্ষ চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মিচেল জনসনরা। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠল এমসিজি! মানসিকভাবে ভেঙে দিতে অসি সাংবাদিকরা বারবার প্রশ্ন করছিলেন এমসিজির বিশালত্ব নিয়ে। স্বপ্নের ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম অসি মিডিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া বাউন্সারে সপাটে হুক খেলেননি ঠিকই, তবে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় ডাক করে জানিয়ে দেন, মাঠ নিয়ে ভাবছে না তার দল ও সতীর্থরা। তাদের ভাবনায় শুধুই বিশ্বকাপ। সেটা জিততে প্রস্তুত গোটা দল।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে অল ব্ল্যাকসদের নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের কথা ভাবলে স্মরণে আসাই স্বাভাবিক। ঘরের মাঠে বাঘ-ট্যাগ লাগানো ব্ল্যাক ক্যাপসরা টানা আট ম্যাচ জিতে জায়গা করে নেয় এবার ফাইনালে। এর মধ্যে সেমিফাইনালে টানটান উত্তেজনার ম্যাচ খেলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডের (ডিএল) ম্যাচটি ম্যাককালাম বাহিনী জিতে নেয় শেষ ওভারে গ্রান্ট অ্যালিয়ট ছক্কা মেরে। ওই ছক্কায় অতীতকে স্মৃতির খেরো খাতায় স্থায়ীভাবে বন্দী করে কিউইরা জায়গা নেয় ফাইনালে। এখন অপেক্ষায় বিশ্বকাপ ট্রফি দু’হাত উঁচু করে তুলে ধরার। সেই কাজটি করতে প্রস্তুত ম্যাককালাম, ‘বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাটাই একটি স্বপ্ন। দলের ছেলেরা সেই স্বপ্নটা পূরণ করেছে। এখন স্বপ্ন আরও বড়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে যা যা দরকার, সেটা করতে আমরা প্রস্তুত। এর জন্য আপেক্ষায় ছিলাম বহুকাল। সেটা করতে এবং আমাদের জনগণ সেটা পেতে মুখিয়ে আছে। আমরা তাদের নিরাশ করতে চাই না।’ পরিসংখ্যান গণনায় অস্ট্রেলিয়া থেকে পিছিয়ে যোজন যোজন। ৮৫ হারের বিপক্ষে জয় মাত্র ৩৫টি। সেই ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপেও। ৯ ম্যাচের ৬টিতেই হার। তবে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে আবার হেসেছে তারাই। সেটা ঘরের মাটিতে, অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে। আজ খেলবে ক্রিকেটে ‘অমরত্ব’ পাওয়া এমসিজিতে। যার ধারণ ক্ষমতা ৯০ হাজার। উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট। বাউন্ডারি সীমানা লং অন, লং অফে ১১০ গজ এবং স্কয়ার অব দ্য উইকেটে ৮০-৮৫ গজ। সেই মাঠে তালগোল পাকিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। আসরে ব্ল্যাক ক্যাপসরা টানা ৮ ম্যাচ জিতলেও এই প্রথম এবারের বিশ্বাকাপ খেলছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সেটা আবার মেলবোর্নে এবং ফাইনালে। তাই মাঠের বিশালত্ব বাড়তি চাপে ফেলা স্বাভাবিক। কিন্তু তা নিয়ে বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই কিউই অধিনায়কের, ‘পরিসংখ্যান ও ভেন্যু অস্ট্রেলিয়ার সহায়ক। এমসিজি বিশাল। অনেক লোক খেলা দেখবে। এটা বাড়তি চাপ যে কোনো দলের জন্য। কিন্তু আমরা দেশে অনেক লোকের সামনে খেলেছি। তাই দর্শকের চাপ কি রকম হতে পারে আমরা জানি। সুতরাং মাঠের বিশালত্ব কিংবা দর্শক নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের ভাবনায় শুধুই ফাইনাল। আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে যে কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সেটার ফল পেতে চাই।’ ১৯৭৫ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছে তাসমান পাড়ের দেশটি। ছয় ছয়বার সেমিফাইনাল খেললেও এই প্রথম খেলছে ফাইনাল।
শিরোনাম
- শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে
- খাদ্য নিরাপত্তায় বিনিয়োগে জোর বাণিজ্য উপদেষ্টার
- স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন
- হজযাত্রীদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বার্তা
- ঢাকার ৩৩টি খাল দখল-দূষণ মুক্ত রাখতে সেচ্ছাসেবক নিয়োগ
- সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ
- ‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া
- চসিক মেয়রে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
- শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল যুবাদের
- প্যাথলজিক্যাল নমুনা বিদেশে পাঠাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি লাগবে
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
- গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- চাঁদপুরে জব্দ করা ৭ নৌকার নিলাম সম্পন্ন
- হাসনাতের গাড়িতে হামলা : গাজীপুরে ১০০ জনের নামে মামলা
- ট্রাম্পের নীতির কঠোর সমালোচনায় ফ্রান্স ও ইইউ
- সিরাজগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে নিহত শহীদ পরিবারে চেক বিতরণ
- ‘শিখতে আসিনি, জিততে এসেছি’, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সোহান
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বাড়ির উঠানে বৃদ্ধকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে মারল হাতি
- বেইলি রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার
ইতিহাস গড়তে চান ম্যাককালাম
আসিফ ইকবাল মেলবোর্ন থেকে
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর