২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল প্রিমিয়ার হকি লিগের দল-বদলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্লাব কাপের মধ্যেদিয়ে হকির নতুন মৌসুম শুরু হবে। এরপর উঠবে প্রিমিয়ার লিগের পর্দা। গত বছর মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ছাড়া হকির মৌসুম শেষ হয়েছিল। চার ক্লাবই ফেডারেশনের নির্বাচনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে হকির সব আসরই বয়কট করেছিল। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ আশা প্রকাশ করেন সব অভিমান ভুলে হকির বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে চার ক্লাবই মাঠে ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। চার ক্লাবই তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল রয়েছে। চার ক্লাবের শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ ছিল। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজন পড়লে বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করবেন। কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি। এ অবস্থায় কোনোভাবেই হকির কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারি না। অর্থাৎ চার ক্লাব ছাড়া হকির আরেকটি মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিতই বলা যায়।
রহমতউল্লাহ এখন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। সে কারণে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান পিলা জানালেন, আমরা এখনো আশাবাদী চার দল এবার মাঠে ফিরবে। দল-বদলে অংশ না নিলে আমরা নিশ্চিত হবো তারা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল রয়েছে। না, খেললে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন, বাইলজ অনুযায়ী গতবারই চার ক্লাবের প্রথম বিভাগে নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু ফেডারেশন ছাড় দিয়েছিল। ভেবেছিলাম সব কিছু ভুলে সামনের মৌসুমে মাঠে ফিরবে। তিনি বলেন, আমি এখনো আশা করি চার ক্লাব ভুল সংশোধন করে মাঠে ফিরে আসবে। না এলে অবশ্যই আমরা হার্ডলাইনে যেতে বাধ্য হবো। হার্ডলাইন কি- তিনি বলেন, বাইলজে যা আছে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ অন্যায় একবার না হয় মানা যায় কিন্তু বার বার না।