কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ১-৩ গোলে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দল তাজিকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারবে কিনা এ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। না, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মামুনুল, এমিলিরা তাজিকের বিপক্ষে ম্যাজিক প্রদর্শনই করেছিলেন বলা যায়। শুরু থেকেই বাংলাদেশের অলআউট ফুটবল খেলে দর্শকদের মুগ্ধ করে। ফিটনেসে আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশ একের পর এক আক্রমণ করে তাজিকদের দিশেহারা করে ফেলে। আক্রমণ সামাল দিতে তাজিকরা বার বার ফাউলের আশ্রয় বেছে নিচ্ছিলেন। তাতেও লাভ হচ্ছিল না, যে কোনো সময় গোল করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ম্যাচের অবস্থা তাই ছিল।
তারপরও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ ছিল আরও উজ্জীবিত। সত্যি বলতে কি আগের ছয় ম্যাচে তাজিকরা চার ম্যাচ জিতলেও কাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কুলিয়ে উঠতে পারছিল না। আসলে আগের ম্যাচের ব্যর্থতা মামুনুলদের জেদ বাড়িয়ে দেয়। অনেক দিন পর জাতীয় দল ছন্দময় খেলা খেলেছে। এমিলির গোলে এগিয়ে গেলে গ্যালারিতে যেন উৎসবের ঝড় বয়ে যায়। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর আবার দুই হলুদ কার্ড দেখার অপরাধে তাজিকদের এক ফুটবলার বহিষ্কার হন। সময় শেষ হতে চলেছে। মনে হচ্ছিল জয়টা শুধু সময়ের ব্যাপার। না হলো না জয়। সেই ফ্রি কিকই বাংলাদেশের সর্বনাশ ডেকে আনল। আগের বেশ কটি ম্যাচে বাংলাদেশ ফ্রি কিকে গোল খেয়েছে। কোচ ক্রুইফ তাই শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাজিকদের বিপক্ষে যেন এ দশা না হয়। আসলে কপালে যদি জয় না থাকে তাহলে কী করার আছে। তাজিকদের অসংখ্য আক্রমণ গোলরক্ষক রাসেল দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দিলেও লাভ হলো না। শেষ মুহূর্তে ফ্রি কিকে গোল করে বাংলাদেশের জয় কেড়ে নিল তাজিকরা। তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ড্র করার পরও মামুনুল, এমিলিরা হতাশায় কথা বলতে পারছিলেন না। শেষ মুহূর্তে এমনভাবে বাংলাদেশ গোল খাবে কেউ ভাবতেও পারেনি।