ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর চেলসিতে একটা গৃহযুদ্ধই শুরু হয়ে গেল! এ যুদ্ধের শুরুটা করেছেন কোচ হোসে মরিনহোই। ম্যানসিটি ম্যাচে অধিনায়ক জন টেরিকে সাইডলাইনে বসিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আর এতেই নাকি বেধেছে বিপত্তি। পুরো দলই বিদ্রোহ করে বসল। চেলসির স্বাভাবিক ছন্দ একেবারেই চোখে পড়ল না। হোসে মরিনহো নিজেও বিষয়টা ম্যাচ শুরুর মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই ধরতে পেরেছিলেন। ম্যানসিটি নিজেদের মাঠে আগুয়েরো, ভিনসেন্ট কোম্পানি আর ফার্নান্দিনহোর গোলে দারুণ এক জয় নিয়ে মৌসুমে জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। শিরোপা লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত তারাই সেরা। দুই ম্যাচে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি +৬ গোল ব্যবধান নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ম্যানসিটিই। আর ইংলিশ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসি দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ১৬ নম্বরে! এ অবস্থান থেকে উত্তরণের পথ হলো চেলসিকে গৃহযুদ্ধ থেকে বের করে ঐক্যবদ্ধ করা। তবে জন টেরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এরই মধ্যে অনেকখানি কর্তৃত্ব হারিয়েছেন হোসে মরিনহো।
অন্তত ইংলিশ মিডিয়া এমনটাই ভাবছে। মরিনহো মনে করছেন, ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে চেলসির ভুলটা ছিল তারা ডিফেন্স লাইনে আগুয়েরোকে রুখতে পারেনি। এর ফলাফলই ভোগ করতে হয়েছে তাদেরকে। আর জন টেরিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ব্যাপারে বলেছেন, 'আমার সিদ্ধান্তটা সঠিকই ছিল।' মরিনহো কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এই বক্তব্যের চরম মূল্যই তাকে দিতে হতে পারে!