দীর্ঘ চার বছর নিবিড়ভাবে ঘাম ঝরালে তবেই অলিম্পিকের আসরে নেমে পদক জেতা সম্ভব। যদিও অলিম্পিকের আসর থেকে পদক জেতা আসলে বিরাট বড় একটা জুয়া। নির্দিষ্ট দিন যে ভাল খেলবে, তার গলাতেই উঠবে পদক। আমরা জানি, সাফল্যের কোন শর্টকাট হয় না। পরিশ্রম করলে তার ফলাফল ঠিকই পাওয়া যায়। কিন্তু একটা জিনিসের অর্থ কিছুতেই বুঝতে পারছেন না বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়াপ্রেমীরা। একটা ছবি তাদের কৌতূহলের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বেশ কয়েকগুণ।
রিও অলিম্পিক শুরু হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস সোনা জিতে রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। আট বছর আগে এক খুদে ভক্তের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন ফেল্পস। আট বছর পরে সেই ভক্তটিই হারিয়ে দিলেন ফেল্পসকে। আর পদক গলায় ঝোলানোর মঞ্চে উঠে অদ্ভুত এক ভঙ্গিমার জন্ম দিচ্ছেন ফেল্পস থেকে নব্য সেই তারকা। সেই ছবি দেখে বিস্মিত হয়ে যাচ্ছেন সবাই। সোনাজয়ী অ্যাথলেটরা জয়ের মঞ্চে উঠে সোনার পদকটা কামড়াচ্ছেন!
কেন এমন হচ্ছে তা অনেকেরই বোধগম্য হচ্ছে না। এই দৃশ্যের অর্থ কী? কেনই বা সোনার পদকে কামড় বসান সফল অ্যাথলিটরা? প্রশ্ন অনেক। স্বর্ণপদক জয়ী অ্যাথলেটদের এ ধরনের আচরণ বিস্ময়ের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে বাকি দুনিয়ার কাছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঝড় উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন সোনা নরম ধাতু। সোনার পদকে কামড় বসালে তাতে দাঁতের দাগ স্পষ্ট হয়ে যাবে। পদকে কতটা সোনা রয়েছে, সেটা জানার জন্যই কি অ্যাথলেটরা কামড় বসান? গত পঞ্চাশ বছর ধরে অবশ্য সোনার পদকে খুব একটা সোনা থাকছে না। এবার তো মাত্র এক শতাংশ সোনা রয়েছে সোনার পদকে।
খবরের ভিতরকার খবর অন্য কথা বলছে। প্রকৃত সোনা যাচাই করার জন্য অ্যাথলেটরা মোটেও সোনার পদকে কামড় বসান না। এটা আসলে জেতার একটা বিশেষ ভঙ্গিমা। দীর্ঘদিন ধরেই যা চলে আসছে অলিম্পিকের আসরে। অ্যাথলেটরা সোনা জিতছেন আর পদক জয়ের মঞ্চে দাঁড়ানো মাত্র সেই সোনার পদকে কামড় বসাচ্ছেন। এই দৃশ্য এখন আইকনিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোনাজয়ী অ্যাথলেটরা বিজয়ীর মঞ্চে দঁড়িয়ে সোনার পদকে কামড় বসাচ্ছেন, এমন পোজ দেন। আর সেই পোজটাই আলোকচিত্র শিল্পীরা বেশি পছন্দ করেন। নামী ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও এ ধরনের ছবিই দেখা যায়।
সূত্র : এবেলা
বিডি প্রতিদিন/১৫ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৩