বিসিএলে সিলেটে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দারুণ একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের জহুরুল ইসলাম। দিন শেষে ১৫২ রান করে অপরাজিত আছেন এ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটে ভর করে বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষে উত্তরাঞ্চলের রান ৭ উইকেটে ৪৩৩।
এবারের বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন জহুরুল। সেই ফর্ম এবার বয়ে আনলেন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও। উত্তরাঞ্চল দিন শুরু করেছিল বিনা উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে। একশ ছাড়ানোর পরপরই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। নাজমুল হোসেন শান্তকে ৪৪ রানে বোল্ড করে দেন তাসকিন।
আরেক ওপেনার মিজানুর রহমানের সামনে ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা চার ইনিংসে সেঞ্চুরির হাতছানি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেদিকেই। কিন্তু ৬৪ রানে ফিরতি ক্যাচ দেন মোশাররফ রুবেলকে। আরেক পাশে ঝড় তোলেন তাসকিন। ফিরিয়ে দেন তিন ও চারে নামা জুনায়েদ সিদ্দিক ও নাঈম ইসলামকে। বিনা উইকেটে ১০২ থেকে উত্তরাঞ্চলের রান তখন ৪ উইকেটে ১২৬।
পঞ্চম উইকেটে আরিফুল হককে নিয়ে জহুরুল গড়েন ৭১ রানের জুটি। দারুণ ফর্মে থাকা আরিফুল এবার বড় করতে পারেননি ইনিংস, ফেরেন ৩৭ রানে।
আরিফুল যেটি পারেননি, সেটিই করেছেন ধীমান ঘোষ। বড় জুটি গড়ে তুলেছেন জহুরুলের সঙ্গে। ১৫৬ বলে জহুরুল স্পর্শ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বাদশ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন ধীমানও। রান করেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু কাছে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। মোশাররফের বাঁহাতি স্পিনে বোল্ড হয়েছেন ১১২ বলে ৯৩ রান করে। ষষ্ঠ উইকেট জুটির রান ছিল ১৭৬।
এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভও ফিরেছেন দ্রুত। কিন্তু পথ হারাননি জহুরুল। আরও বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে দিন শেষে অপরাজিত তিনি ১৫২ রানে। ২৩২ বলের ইনিংসে ১৪ চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে উত্তরাঞ্চল এগিয়ে গেছে ২৪৫ রানে। আর জহুরুলের সামনে ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮৮
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১৬ ওভারে ৪৩৩/৭ (আগের দিন ৯৩/০) (শান্ত ৪৪, মিজানুর ৬৪, জুনায়েদ ১৩, নাঈম ০, জহুরুল ১৫২*, আরিফুল ৩৭, ধীমান ৯৩, শুভ ২, ফরহাদ রেজা ১৬*; তাসকিন ৩/১১৬, শরিফ ০/৫৩, মোশাররফ ২/৮৮, শুভাগত ২/১২২, তানবীর ০/৪৮)।
বিডিপ্রতিদিন/ ১১ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান