জিম্বাবুয়ের মতো ক্ষয়িষ্ণু দলের বিপক্ষে ১৫১ রানে হার, তাও চতুর্থ দিনের অর্ধেকটা সময়ে পার না হতেই! ওয়ানডে ক্রিকেটে যাদের ধবলধোলাই করল, সেই দলের কাছেই এমন হারের আর কিইবা ব্যাখ্যা থাকতে পারে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও তাই বললেন-নিজেদের ওপর বিশ্বাসের ঘাটতিই হয়তো এমন লজ্জার পরাজয়ের মূল কারণ।
শুরুর নানা আয়োজন ও উৎসবের পর মাঠের খেলাতেও বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যুর অভিষেক স্মরণীয় হল, তবে সেটি জিম্বাবুয়ের জন্য। ১৭ বছর পর দেশের বাইরে টেস্ট জয়ে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে জড়িয়ে গেল সিলেটের নাম।
লজ্জাজনক এ হারের পর মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে এবং খেলোয়াড় হিসেবেও এটা মানা কষ্টকর। দর্শকরা এসেছে আমাদের ভালো খেলা দেখতে। আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। এটার জন্য আমরা দুঃখিত। সব সময় প্রত্যাশা করি উনারা যেভাবে সব সময় সমর্থন করেন সেভাবে করবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আগেও এমন সময় এসেছে তখনও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আশা করি সবাই মিলে আবার ঘুরে দাঁড়াব।’
তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের এই কথায় ভরসা রাখা দায়। কেননা টানা আট ইনিংসে দুইশ ছাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে অন্যরূপে। সাদা পোশাক গায়ে জড়াতেই বিবর্ণ সেই ব্যাটিং। টেস্ট নিয়ে নতুন করে ভাববার তাগিদ মাহমুদউল্লাহর কথায়।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাপারে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে। আমরা হয়তো পাঁচ ছয়টা (আট ইনিংস) ইনিংসে রান করতে পারিনি। বোলাররা যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছে। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলছে। ব্যাটসম্যানরা ভালো করছে না। ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো ছন্দে আছে। কিন্তু সেটি হয়তো আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নিতে পারছি না।’
‘অবশ্যই এটা চিন্তার বিষয়। আমাদের এটা খুব ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। কারণ এভাবে ব্যাট করতে থাকলে মনে হয় না আমরা টেস্ট ক্রিকেটে কোনো অবস্থানেই থাকব। এটা আমাদের ইমেজের ইস্যু। আমাদের অবশ্যই শক্তভাবে ফাইট ব্যাক করতে হবে। যদি এমন খেলতে থাকি তাহলে টেস্ট খেলার কোনো যথার্থতা থাকে না।’
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং নিয়ে হতাশা বাড়ছে। বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিংয়ের মূল সমস্যাটা আসলে কোথায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতাই মূল কারণ। শট খেলায় আরও ধৈর্য ধরতে হবে। আর ছোট ছোট জুটি গড়তে হবে।'
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামর্থ্য আছে। আমরা যদি নিজেরা আলোচনা করি, ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি, তাহলে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম