মার্টিন গাপটিলের থ্রো’টা যখন উইকেট ভেঙে দিল, আম্পায়ারও পর্যন্ত ঠোঁট উল্টে ফেললেন। যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন কিউয়ি ক্রিকেটার। ম্যানচেস্টার স্টেডিয়াম তখন চুপ। গ্রাস করেছে বিষণ্নতা। ভারতের শেষ আশা তখন ফিরে যাচ্ছেন ড্রেসিংরুমে। মাথা নিচু করে। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তার ফেরার সঙ্গেই যেন বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার ভারতের।
১৯৮৩ সালে এই ইংল্যান্ডেই কাপ জিতেছিলেন কপিল দেব। ভারতীয় ক্রিকেটে এসেছিল নবজাগরণ। আর সেই ইংল্যান্ডের মাটিতেই স্বপ্নভঙ্গ। গ্রুপ টেবিলে টপ। বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। দলে বিশ্বের একনম্বর ব্যাটসম্যান এবং একনম্বর বোলার। তবুও পারল না ভারত। যে ধোনি গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে সমালোচনায় বিদ্ধ। সেই ধণিএবং চেন্নাই সুপারকিংসে তার সতীর্থ রবীন্দ্র জাদেজা শেষ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারলেন না।
প্রথমে জাদেজা (৭৭), পরে ধোনি (৫০) ফিরতেই সব আশা শেষ হয়ে গেল। আর শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ তো বটেই। এদিনই হয়ত নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটিও খেলে ফেললেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও নিজের অবসর নিয়ে এখনও কিছু জানাননি। তবে যেভাবে জায়ান্ট স্ক্রিনে ‘আউট’ লেখাটি ফুটে উঠতেই মাথা নিচু করে ফেললেন, তাতেই যেন সব উত্তর পাওয়া হয়ে গেল। ধীরে ধীরে ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
আশাহত সমর্থকরা উঠে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানালেও সম্রাটের প্রস্থান হল অনেকটা মনখারাপে। দেখে মনে হবে, চোখের সামনে একটা যুগের অবসান ঘটল। ২০১১ সালের মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। ছয় মেরে ভারতকে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে হেরে যাওয়া একজন সৈনিক হিসেবে ফিরলেন ধোনি। সত্যিই, সব সাম্রাজ্যেরই একটা পতন হয়। কালের নিয়ম মেনেই হয়ত ধোনির সেই সাম্রাজ্যও পতনের পথে।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ