তার সময়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ছায়া ভয়ঙ্কর ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে। এবং তার সতীর্থরাই ছিলেন জুয়াড়ির ভূমিকায়। পাকিস্তান ক্রিকেটের কালো অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন শোয়েব আখতার। তিনি বললেন, ‘আমি খেলতাম ২১ জনের বিরুদ্ধে। বিপক্ষের ১১ জন এবং নিজের দলের ১০ জন।’
২০১১ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে স্পটফিক্সিং কাণ্ডে নির্বাসিত হন পাকিস্তানের তিন প্লেয়ার মোহম্মদ আমির, মোহম্মদ আসিফ এবং সালমান বাট। টেলিভিশনের একটি টক শোতে শোয়েব সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। কোনওদিন ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়াব না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। কিন্তু আমার চারপাশে ছিল জুয়াড়িরা। সবসময় ২১ জনের বিরুদ্ধে লড়তে হত। বিপক্ষের ১১, নিজের দলের ১০ জন। দলের কে জুয়াড়ি, কে নয়- কিছুই বুঝতে পারতাম না। ম্যাচ ফিক্সিং চলতেই থাকত। কতগুলো ম্যাচ ফিক্সড করেছে, কীভাবে করেছে আসিফ নিজেই আমাকে বলেছিল।’
আমির আর আসিফ ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছেন জেনে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘আমি ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, কীভাবে প্রতিভার প্রতি ওরা অবিচার করছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে ওরা জড়িয়েছে জেনে এত বিরক্ত হয়েছিলাম যে দেয়ালে ঘুসি মেরেছিলাম। পাকিস্তানের দু’জন দক্ষ, স্মার্ট, বুদ্ধিমান জোরে বোলার এভাবে নিজেদের শেষ করে দিল। তাও সামান্য ক’টা টাকার জন্য, এটা ভেবেই সবচেয়ে বিরক্ত লেগেছিল।’
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ