মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস এবারের আইপিএলের প্রথম দল যারা প্লে-অফের জায়গা নিশ্চিত করল। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শারজায় মুখোমুখি হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
এ ম্যাচে ক্রিকেটমহল এগিয়ে রেখেছিল সুরেশ রায়নাদের। পাশাপাশি একের পর এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর জাদেজারা। হায়দরাবাদের প্লে অফের আশা প্রায় শেষই হয়ে গেছে। তারা একপ্রকার নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। যদিও গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জিতে কিছুটা মনোবল বেড়েছিল অরেঞ্জ আর্মির। কিন্তু ধোনির সিএসকের কাছে এসে মাথা নত করতে হল।
প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১২০ বলে ১৩৫ রান তোলাটা সিএসকের মতো ফর্মে থাকা দলের পক্ষে কোনও কঠিন কাজ ছিল না। আর হলও তাই ২ বল বাকি থাকতেই দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন ইংল্যান্ডের জেসন রয়। কিন্তু চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে চমক দেখাতে পারলেন না জেসন রয়। মাত্র ২ রান করে জস হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে গেলেন তিনি। হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন ২২ গজে দলের হয়ে বড় অবদান রাখতে পারেননি। ১১ রান করে ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর প্রিয়ম গর্গ (৭) এর উইকেটও তুলে নেন ব্র্যাভো। তবে সিএসকের বিরুদ্ধে ফর্মে ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ২টি ছয় ও ১টি চার দিয়ে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। অরেঞ্জ আর্মির হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে ঋদ্ধির ব্যাট থেকেই।
এরপরই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে জোড়া ধাক্কা দেন জস হ্যাজেলউড। পরপর দুইটি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথমে অভিষেক শর্মা (১৮) তারপর আব্দুল সামাদ (১৮)। এরপর জেসন হোল্ডারকে ফেরান শার্দূল ঠাকুর। উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন ক্যাপ্টেন ধোনি। এবং আইপিলএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে শততম ক্যাচ নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি। জেসন রয়, প্রিয়ম গর্গের পর ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচ নিয়ে শততম ক্যাচ পূর্ণ করলেন ধোনি।
রান তাড়া করতে নেমে অন্যান্য দিনের মতো আজও ভালো শুরু করে সিএসকের ওপেনিং জুটি। ঋতুরাজ-ডু প্লেসি দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন একাধিক ম্যাচে। আজও তার অন্যথা হল না। ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ওভার পর্যন্ত দলকে এগিয়ে নিয়ে যান চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটি। ৭৫ রানে সিএসকে প্রথম ধাক্কা দেন জেসন হোল্ডার। হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করে সাজঘরে ফেরেন ঋতুরাজ (৪৫)। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন মইন আলি (১৭)। রায়না বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। নেপথ্যে জেসন হোল্ডার।
তবে ফাফ ডু প্লেসিকে খুব একটা সহজে টলাতে পারেননি ভুবি-রশিদ-হোল্ডাররা। ১৫.৫ ওভার পর্যন্ত খেলেন ডু প্লেসি। তারপর হোল্ডারের বাউন্সারে উইকেট দিয়ে বসেন সিএসকে ওপেনার। ৪১ রানের দুরন্ত ইনিংস ডু প্লেসি সাজিয়েছিলেন ২টি ছয় ও ৩টি চার দিয়ে। সিএসকেকে শেষের দিকে কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন আম্বাতি রায়ডু (১৭*) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (১৪*) জুটি। শারজায় এ ম্যাচে ফিনিশার ধোনির দেখা মিলল। সেই পুরনো ঢংয়ে ছয় মেরে দলকে জেতানোর পাশাপাশি প্লে অফে নিজের দলের জায়গা নিশ্চিত করলেন ক্যাপ্টেন কুল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত