আইপিএলে একমাত্র দল হিসেবে এখনও জয়ের সন্ধান পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হাফডজন ম্যাচ খেলার পর একটাও জয় নেই রোহিত শর্মার দলের। আর পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের দুর্দশার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বোলিং ব্যর্থতা।
বোলিং বিভাগে যেমন অভিজ্ঞতার অভাব। তেমন বিদেশি তারকারাও প্রচুর খরুচে বোলিং করছেন। এমন অবস্থায় মুম্বাই বোলিং আক্রমণের ভরসা জোগাতে ফেরানো হচ্ছে ধাওয়াল কুলকার্নিকে।
ধাওয়াল আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এপ্রিলের শেষের দিকেই মুম্বাই স্কোয়াডে যোগ দিতে পারেন ধাওয়াল কুলকার্নি।
বর্তমানে ধাওয়াল খেলা ছেড়ে আইপিএলের ধারাভাষ্যও করছেন। স্টার স্পোর্টসের হিন্দি কমেন্ট্রি টিমের সদস্য তিনি। টিভিতে নিয়মিত ম্যাচের বিশ্লেষণ করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধাওয়ালের মত অভিজ্ঞ তারকাকে দলে ফেরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রোহিত শর্মা।
মুম্বাই ফ্রাঞ্চাইজির এক সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, “মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা পেস বিভাগের শক্তি বাড়াতে ধাওয়াল কুলকার্নিকে সই করাতে চাইছেন। মুম্বাইয়ে রাজ্যস্তরে খেলার সুবাদে ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন এবং ডিওয়াই পাতিলে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সে বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ধাওয়াল।”
ঘরোয়া স্তরে নিয়মিত ক্রিকেট এখনও খেলছেন ধাওয়াল কুলকার্নি। আইপিএলেও টানা খেলেছেন। আইপিএলে ৯২ ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৮৬। মুম্বাইয়ের জার্সিতেই আইপিএলে অভিষেক ঘটেছিল ধাওয়াল কুলকার্নির। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালে টানা মুম্বাইয়ের জার্সিতে আইপিএল খেলেছেন তিনি। পরের দুই মৌসুম তাকে খেলতে দেখা গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে।
২০১৬, ২০১৭ সালে ধাওয়াল কুলকার্নি সুরেশ রায়নার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স দলে খেলেছিলেন। ২০২০, ২০২১ সালে মুম্বাইয়ে পুনরায় ফিরে আসেন ধাওয়াল। আইপিএলের মেগা নিলামে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন। তারপরই ধারাভাষ্যকারের প্যানেলে নাম লেখান তিনি।
আইপিএলে খেলার পাশাপাশি জাতীয় দলে ১২ ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ খেলেছেন। টেস্ট দলের স্কোয়াডে থাকলেও সুযোগ মেলেনি অভিষেকের।
ছয় ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর মুম্বাইকে প্লে অফে উঠতে হলে গ্রুপ পর্বের বাকি সমস্ত ম্যাচ জিততে হবে। এমন অবস্থায় ধাওয়াল কুলকার্নির আগমন মুম্বাইকে জয়ের পথে ফেরাতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ক্রিকট্র্যাকার, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিডি প্রতিদিন/কালাম