২৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:২২

কথায় নয়, মাঠেই সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

কথায় নয়, মাঠেই সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে চায় বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আজ রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। 

হার দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হারে টাইগাররা। তবে পরের ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। আর গ্রুপ পর্বে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানের বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে টাইগাররা। তবে সুপার টুয়েলভ পর্ব বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রথম রাউন্ডে প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেললে এই ম্যাচ বাংলাদেশের খেলা হতো না। এই গ্রুপেই তো থাকা হতো না। প্রাথমিক পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের ধাপে আসে দল। ওই হারে শঙ্কা জেগেছিল প্রাথমিক পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার। চাপে থাকা ক্রিকেটারদের স্নায়ু চাপ আরও বাড়িয়ে দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। ৬ রানে হেরে যাওয়ার পর কাঠগড়ায় তোলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে। 'কাটা গায়ে নুনের ছিটা' কারও ভালো লাগার কথা নয়। লাগেনি ক্রিকেটারদেরও। কথা বলায় নানা বিধি-নিষেধ থাকায় সেভাবে তারা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি। কিছুটা ক্ষোভের ইঙ্গিত মেলে পাপুয়া নিউগিনিকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকা নিশ্চিত করার পর মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে। সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে আসার আভাস দিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। 

শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানিয়েছেন, এখন তারা মন দিতে চান মাঠের ক্রিকেটে। যখন বাইরের সমালোচনার মতো ব্যাপারগুলোতে মনোযোগ দিতে হয়, তখন আমাদের আসলেই মনোযোগ সরে যায়। কোথায় মনোযোগ দিতে হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ ও কড়া কথা হয়েছে। মনোযোগ দেওয়ার জায়গাটা হলো ক্রিকেট।

প্রথম রাউন্ডের চেয়ে এবার চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। আরও শক্তিশালী সব দলের বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্যের পরীক্ষা দিতে হবে। তবে ওমানের চেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। ওমানের উইকেটে স্পিনারদের জন্য তেমন সহায়তা ছিল না, লড়াই করতে হয়েছে শিশিরের সঙ্গে। এবার বাংলাদেশের সব ম্যাচ স্থানীয় সময় দুপুরে এবং এমন উইকেটে, যেখানে স্পিনারদের জন্য বেশ সুবিধা আছে। বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথাও এখন ভাবতে পারে বাংলাদেশ। এই সুবিধাকে অনেক বড় করে দেখছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

শারজাহর উইকেট দেখে মিরপুরের উইকেটের কথাই মনে পড়ছে ডমিঙ্গোর। ততটা স্পিন ধরলে সাকিব-মেহেদি হাসান এবং সুযোগ পেলে নাসুম আহমেদ কী করতে পারেন, তা জানা আছে বাংলাদেশ কোচের। লঙ্কান স্পিনারদেরও এমন উইকেটে ভালো না করার কোনো কারণ নেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তারা সেটা করেও দেখিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে অতটা ভাবছে না বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর ভাবনা নিজের দলকে নিয়েই।

তিনি বলেন, বেলা ২টায় ম্যাচ শুরু হওয়া নিয়ে আমরা খুশি। এটা আমাদের জন্য দারুণ মানানসই। এজন্য শিশির পুরোপুরি হিসাবের বাইরে চলে গেছে। আমার মনে হয়, আমাদের স্পিনাররা এই পর্বে খুব ভালো করবে। আমরা জানি, অনেক দল শিশির নিয়ে প্রচুর ভাবছে। গত কয়েক মাসে হাসারাঙ্গার বিপক্ষে আমরা কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি। তার সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। আমাদের খুব ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল আছে যেটায় দক্ষ সব বোলার ও কয়েকজন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান আছে। সাকিবের মতো বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আছে আমাদের। আমিরাতের কন্ডিশন আমাদের জন্য মানানসই।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর