কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন বিষয়ে এআইয়ের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ক্যাসপারস্কি’র সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি এআই চ্যাটবট ‘চ্যাট-জিপিটি’, যা ২০২২ সালের নভেম্বরে চালুর পর প্রথম মাসেই ১৫৩ মিলিয়ন ভিজিট হয়েছে।
২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে ২ বিলিয়ন ইউজার এই প্ল্যাটফর্ম ভিজিট করেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ ইউজার মনে করছে মানুষের তুলনায় এআই ব্যবহারে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে এবং ৫৬ শতাংশ বিশ্বাস করে যে, এআই ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা ও মেটাভার্স শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ ইউজার মনে করে এআই জীবনের একটি অনিবার্য অংশ এবং ৫১ শতাংশ ইউজারের মতে এআই ব্যাপক সুযোগ নিয়ে আসবে ও ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে। ৫৬ শতাংশ ইউজার মনে করেন সৃজনশীল ক্ষেত্রে এআই নির্ভরযোগ্য আর্ট বা শিল্প তৈরিতে সক্ষম। এ ছাড়া, ৭০ শতাংশ ইউজার এআইকে একটি প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসাবে দেখছে ও দৈনন্দিন কাজে এআই ব্যবহারে আগ্রহী।
সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে, ৬২ শতাংশ ইউজার চ্যাটবট বা ভার্চুয়াল সহকারীদের মতো এআইয়ের সাথে কথোপকথনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং ৩৭ শতাংশ ইউজার জীবনসঙ্গী খুঁজতে এআই ব্যবহার করে। তবে ৫৬ শতাংশ ইউজার মনে করে, এআই মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে। অর্থাৎ, বাস্তব সম্পর্কগুলোর সাথে ভার্চুয়াল সম্পর্কের প্রতিস্থাপন করতে পারে।
ফিশিং, ডিপফেক ও পরিচয় চুরির মতো এআই-চালিত হুমকি মোকাবিলায়, ক্যাসপারস্কি একটি নির্ভরযোগ্য সাইবার সিক্যুরিটি সল্যুশন ইনস্টল করার এবং ডেটা বা অর্থ শেয়ার করার আগে বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে যাচাই ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে, প্রাইভেসি চেকার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই