মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে কারখানা

আফজাল, টঙ্গী

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে কারখানা

গাজীপুরে শত শত কারখানায় নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। যা আছে তা নামমাত্র। নগরজুড়ে যত্রতত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে পরিবেশ ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই কারখানা পরিচালনা করে আসছে। যে কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ফায়ার লাইসেন্স ও পরিবেশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলা এসব কারখানা তাদের কর্মীদের জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ কারখানায় পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। নেই ফায়ার লাইসেন্সও। এসব কারখানা মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী, অর্ধশতাধিক কারখানা চলছে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই। টঙ্গী শিলমুন, মরকুন, পাগাড়, বিসিক, আরিচপুর, দেওড়া, মুদাফা, ভাদাম, গাজীপুর সাতাইশ, বড়বাড়ী, বোর্ডবাজার, পুবাইল, মিরেরবাজার, মাঝুখান, বাসন, জয়দেবপুর, কাশেমপুর,  কোনাবাড়ী বিসিক, সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত কারখানায় ফায়ার লাইসেন্স নেই। টঙ্গী আরিচপুর মিরেশপাড়া এলাকায় ঢাকা ওয়াশিং প্ল্যান ইউনিট (টু) এর পরিচালক লিটন বলেন, করোনায় আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। ইটিপি নির্মাণকাজ শুরু করেছি। পরিস্থিতি ভালো হলে তা সম্পন্ন হবে। নোমান গ্রুপের জাবের অ্যান্ড জোবায়ের কারখানার অ্যাডমিন জি এম আজিজুর রহমান বলেন, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স পরিবেশবান্ধব একটি কারখানা। আমরা পরিবেশ অধিদফতরের নিয়মনীতি মেনেই কারখানা পরিচালনা করে আসছি। অগ্নিনির্বাপণে কারখানার নিজস্ব ফাইটিং টিম রয়েছে। স্বল্প পরিসরে আগুন লাগলে আমরা নিজেরাই নেভাতে সক্ষম। এ ছাড়া মাঝে-মধ্যে অগ্নি মহড়া দেওয়া হয়, কীভাবে আগুন নেভাতে হবে। আরিচপুর মিরেশপাড়া এলাকায় মোহাম্মদিয়া ইয়ার্ন ডাইং কারখানার কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্সের বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন আমাদের মালিকরা। ফায়ার লাইসেন্সের কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম বলেন, আমার দায়িত্বে টঙ্গীর ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ কারখানায় ফায়ার লাইসেন্স নেই। আমাদের পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পরিবেশ ও ফায়ার কর্মকর্তাদের টাকা দিয়েই ম্যানেজ করা যায়। এ ব্যাপারে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সালাম সরকার বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে ইটিপি নেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশদূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর