মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মরা খালের দুঃখ নগরবাসীর

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

মরা খালের দুঃখ নগরবাসীর

খালের পানির ওপর ভাসছে ময়লার আস্তরণ। উটকো গন্ধে খাল ঘেঁষে হেঁটে চলাও দায়। কোথাও খালের ওপর নির্মাণ হচ্ছে ভবন। ময়লা-আবর্জনা ও আগাছায় কোথাও খাল ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও খালের গভীরতা কমে এখন ভূমির সমান্তরালে। এমন অবস্থা ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের সড়ক ঘেঁষে প্রবাহিত শতবর্ষী মাকরজানি খালে। গত এক যুগ ধরেই খালটিকে গিলে খাচ্ছে দখলবাজ অথবা ময়লার স্তূপ। ফলে এ খাল দিয়ে এখন দ্রুতগতিতে পানি ভাটির দিকে যেতে পারে না। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। অথচ ২০ বছর আগেও খালে ছিল স্বচ্ছ পানির প্রবাহ। মিলত নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এখন এসব নগরবাসীর কাছে এক স্মৃতি। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও করেছে। কিন্তু তারপর আবারও একই স্টাইলে দখলবাজিতে মেতে ওঠে প্রভাবশালী চক্রটি। সাম্প্রতিক খাল দখল করায় প্রভাবশালী প্রকৌশলী আবদুর রহিমকে দুই দফায় ১০ হাজার টাকাও জরিমানা করে সিটি করপোরেশন। ময়মনসিংহ শহরের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম এ খালটির দৈর্ঘ্য ৫ কিলোমিটার। এ খাল সিটি করপোরেশনের পেছন দিক থেকে শুরু হয়ে বিদ্যাময়ী স্কুল, নতুন বাজার লেভেলক্রসিং, হরিজন পল্লী, নওমহল, নন্দীবাড়ী, বুচারপুল হয়ে আকুয়া চুকাইতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে শহরের মূল অংশের পানি এ খাল হয়ে ভাটির দিকে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে ভরাট হতে হতে খালটি এখন মৃতপ্রায়। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দখলবাজির টুঁটি চেপে ধরা সম্ভব নয়। সুনাগরিক হিসেবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। তবে দখলদারদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর