মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিবন্ধন ৯ হাজার চলে আট গুণ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

নিবন্ধন ৯ হাজার চলে আট গুণ

রাজশাহী এসেছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। তিনি রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে অভিভূত হন। তবে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এত সুন্দর একটা সাজানো-গোছানো শহরকে নষ্ট করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অটোরিকশার কারণে মূল শহরে পায়ে হেঁটে চলাও দায়। ছোট এই শহরে এত অটোরিকশার কোনো দরকার নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এই শহরটির এখন অন্যতম সমস্যা মনে হচ্ছে অটোরিকশা। উন্নয়নে পাল্টে গেছে নগরী। কিন্তু অটোরিকশার চাপে যেন ধুঁকছে।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী নিবন্ধিত রিকশা আছে ৯ হাজার। সেই নিবন্ধন নম্বরগুলো নিয়েই শহরজুড়ে চলাচল করছে অন্তত ৭০ হাজার অটোরিকশা। ফলে একই নিবন্ধন নম্বরে চলছে চার-পাঁচটি করে অটোরিকশা। একেকটা রুটে চলছে এসব নম্বরের অটোরিকশা।

মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলির রাস্তাগুলোও চলে যাচ্ছে অটোরিকশার দখলে। পরিস্থিতি এমন-  যেন যাত্রীর চেয়ে অটোরিকশার সংখ্যা বেশি। নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, বন্ধগেট, কাদিরগঞ্জ মোড়, বর্ণালির মোড়, লোকনাথ স্কুল মার্কেট মোড়, রাজশাহী কলেজ গেট, সোনাদীঘির মোড়, আলুপট্টির মোড়, কাজলা মোড়, বিনোদপুর বাজার, সালবাগান বাজার, নওদাপাড়া বাজার ও কোর্ট বাজারগুলোতে যেন অটোরিকশার জট লেগেই থাকে। বিপুল অটোরিকশার জট থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশরাও। অদক্ষ চালক আর নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশার কারণে হরহামেশায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি প্রাণ হারাতেও হচ্ছে।

সূত্র মতে, অটোরিকশা চালকদের অসহযোগিতার কারণেই দুই শিফটে দুই রঙের অটোরিকশা চলাচলের সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাসিক। অথচ নগরীতে এখনো প্রতিদিন প্রধান প্রধান সড়ক দখলে থাকছে অটোরিকশার। আগের সব নিবন্ধন বাতিল করা হলেও সেই অটোরিকশাগুলোই আগের ভুয়া নিবন্ধন নিয়ে চলছে নগরীর রাস্তাগুলোতে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, অটোরিকশা চালকরা অনেকটাই বেপরোয়া। এদের নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে প্রচুর। আবার যানজট তো লেগেই থাকছে এই অটোরিকশার কারণে। আমরা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করছি এ সমস্যা সমাধানের। কিন্তু তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূরে সাইদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা যানবাহন হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত এখন একটু শিথিল করা হয়েছে। তবে দ্রুতই দুই শিফটে দুই রঙের অটোরিকশা চলাচলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।’

সর্বশেষ খবর