মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

চসিকে খোলা ট্রাকে বর্জ্য অপসারণ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকে খোলা ট্রাকে বর্জ্য অপসারণ

চট্টগ্রাম নগরের সাব এরিয়ার সড়কের ওপরই জমানো ময়লাগুলো খোলা ট্রাকে তুলছেন চার-পাঁচজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তখন ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তাছাড়া ট্রাকে ময়লাগুলো তোলার সময় কিছু এদিক-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। তখন দুর্গন্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় থেকে যায় ময়লা। কেবল সাব এরিয়া এলাকার বর্জ্য নয়, পুরো নগরের বর্জ্যগুলো খোলা ট্রাকে করে অপসারণ করা হচ্ছে। এ সময় ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ, নষ্ট হয় পরিবেশ, পথচারীদের হাঁটতে হয় নাকে রুমাল চেপে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের বর্জ্যগুলো অপসারণ করে। 

চসিকের অন্যতম প্রধান কাজ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর ৩৩ বছর পার করলেও এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চলছে সনাতন পদ্ধতিতে। বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণ এখনো আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত কোনো ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

অভিযোগ আছে, নগরের বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে শ্রেণিভিত্তিক পৃথক করে সংগ্রহ করা হয় না। ফলে কঠিন বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, শিল্পবর্জ্য এবং তরল বর্জ্যগুলো এক সঙ্গেই সংগ্রহ ও অপসারণ করা হয়। ফলে দূষণ করছে পরিবেশ। অন্যদিকে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিলেও তা অনেক ওয়ার্ডেই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণে নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। চসিকের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, চসিকের হাতে মাত্র কয়েকটি ঢাকনাযুক্ত ড্রাম ট্রাক আছে। বাকিগুলো খোলা ট্রাক। এসব ট্রাকে করেই নগরের বর্জ্যগুলো অপসারণ করা হয়। তবে খোলা ট্রাকে করে অপসারণ করা হলেও রাস্তায় যাতে না পড়ে এবং দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় তেমন করে ময়লা অপসারণ করা হয়। তিনি বলেন, নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরো নগরকে ছয় ভাগে ভাগ করে বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।  জানা যায়, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। এর সঙ্গে আছে শিল্পকারখানা ও হাসপাতাল-ক্লিনিক। এসব মিলে নগরে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে চসিক। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন হাসপাতাল বর্জ্য। বর্জ্য অসপারণে ব্যবহার হয় প্রায় ১০০ ট্রাক এবং ৫৫টি টমটম ও ৫০০টি ভ্যান। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন ৩ হাজার ৫৫৮ জন শ্রমিক।

সর্বশেষ খবর