গাজীপুরে কারখানার বিষে বিষাক্ত পরিবেশ। নগরীতে অবস্থিত ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল কারখানা, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য ও বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। আবার এই বিষাক্ত তরল বর্জ্য সাপ্লাই পানির সঙ্গে মিশে যায়। পরে ওই পানি পান করে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিবেশ অধিদফতর এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানের নামে চোর পুলিশ খেলছেন বলে মন্তব্য করছেন পরিবেশবিদরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য ও বিষাক্ত তরল বর্জ্যে পরিবেশ বিষাক্তের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। অনেক কারখানার মালিক আন্ডারপাস লাইনে সরাসরি বিষাক্ত পানি জমিতে ও তুরাগ নদে ফেলছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার অসাধু মালিকরা পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। আবার কিছু মালিক ইটিপি নির্মাণের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করছেন। তবে এসব কারখানা মালিকরা পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিলমুন, টঙ্গীর মরকুন, শিল্পনগরী বিসিক, আউচপাড়া, গোপালপুর, মিরেরবাজার, পুবাইল, বড়বাড়ী, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী বিসিক, কাশিমপুর, সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য ফসলি জমি ও নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন উপচে সড়কে প্রবাহিত হয়ে পরিবেশ দূষণ করছে।
স্থানীয় শিলমুন এলাকার বাসিন্দা আবদুল বাতেনসহ এলাকাবাসী জানান, ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে একদিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে বিষাক্ত পানি সড়কে প্রবাহিত হওয়ার ফলে হাঁটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে টঙ্গীর শিলমুন জাম্বুরারটেক এলাকার পদ্মা ওয়াশিং কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল হোসেন বলেন, ইটিপির নকশা অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করব। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ বলছেন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
