পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা অনেক। এটি ময়লা, মৃত কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া যেমন দূর করে, তেমনি ত্বক রাখে পরিষ্কার এবং সতেজ। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন, দিনে কতবার মুখ ধোবেন, এমনকি কেমন পানি ব্যবহার করবেন পরিচর্যায়! অল্প গরম! গরম! নাকি ঠাণ্ডা!

ঠাণ্ডা পানি এবং ত্বক : ঠাণ্ডা পানি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। যেমন- ব্রণ প্রতিরোধ সেই সম্ভাব্য সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি। কারণ গরম পানি ত্বকের উপরিভাগের তেল সরিয়ে দেয়। যা অনেক সময় ব্রেকআউটের কারণ হতে পারে। কসমোলজিস্ট সোফিয়া ন্যাপ বলেন, ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও বেশি উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করবে। এটি ত্বকের তেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করতে পারে। ফলে ঠাণ্ডা পানি ত্বকের জন্য ভালো। কেননা গরম পানি রক্তনালিগুলোকে আরও প্রসারিত করে। ফলে বেশির ভাগ মানুষের ত্বকই খানিকটা লালচে দেখায়।

কেন গরম পানি সেরা হতে পারে : কসমোলজিস্ট সোফিয়া ন্যাপ বলেন, গরম পানি ত্বকের ফোলাভাব বাড়ায়। ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলো ছোট দেখায়। অন্যদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বকের ফোলাভাব কমায়। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির এই বিশেষজ্ঞ মুখে কুসুম গরম পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। এটি সব ধরনের ত্বকের মাঝামাঝি পন্থা। এর কারণ গরম পানি ত্বকের সুরক্ষামূলক তেলগুলোকে সরিয়ে দেয়, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার সুবিধা হলো- এটি ত্বকের যত্নের প্রসাধনীগুলোকে আরও ভালোভাবে শোষণে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, অতিরিক্ত গরম পানি বা বেশি ঠাণ্ডা পানি ত্বকের নিচের অংশের কোষগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে।

দিনে কতবার মুখ ধোয়া উচিত : সাধারণত প্রতিদিন দুবার মুখ ধোয়া উচিত- সকাল এবং রাতে। অত্যধিক মুখ ধোয়া হলে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। ঘুমানোর বালিশে উদ্বেগজনক পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই সকালে মুখ ধোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একই ভাবে সারা দিনের রোদ, ধুলোবালি আর মেকআপে বিধ্বস্ত ত্বকের সুরক্ষায় দিনশেষে বাড়ি ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে মুখমণ্ডল ধুয়ে নিতে হবে।

লেখা : সাদিয়া সারা