শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০১৮ আপডেট:

ভুট্টো পরিবারের ট্র্যাজেডি

তানিয়া তুষ্টি
ভুট্টো পরিবারের ট্র্যাজেডি

বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাকিস্তানের ভুট্টো পরিবার অন্যতম। রাজনীতিবিদরা দেশসেবার কঠোর সাধনা, রাজনৈতিক জ্ঞানার্জন ও দলীয় কাজে অবদান রাখার মাধ্যমে শীর্ষে পৌঁছান। নির্বাচনে জিতে সংসদ সদস্য, মন্ত্রিত্ব এমনকি সৌভাগ্যক্রমে দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ভুট্টো পরিবার থেকে বাবা ও মেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর তাই এই পরিবারের প্রতি মানুষের যেমন সুনজর ছিল তেমনি কুনজরও ছিল। ক্ষমতার জন্য এই রাজনৈতিক পরিবারের খুব কাছ থেকে মিশে বড় ধরনের ক্ষতি করাটাও শত্রুর জন্য সহজ হয়েছে। এই পরিবারেরই চারজন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আজকের রকমারিতে থাকছে ভুট্টো পরিবারের করুণ কাহিনী।

 

বেনজির ভুট্টো

প্রায় ৮ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে ২০০৭ সালের অক্টোবরে করাচিতে ফিরে আসেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। দেশে ফেরার দিনই করাচির বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হন। এ সময় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। তবে ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সভায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন এই লড়াকু রাজনীতিবিদ। এ সময় বোমা হামলায় তার সঙ্গে আরও ২০ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। নিহত বেনজিরের লাশ দাফন করা হয় তার নিজ শহর ঘারি খোদা বক্সে পারিবারিক কবরস্থানে।

বেনজির ভুট্টো ১৯৫৩ সালের ২১ জুন পাকিস্তানের করাচিতে এক ধনাঢ্য এবং রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং মা বেগম নুসরাত ইস্পাহানি। চার ভাইবোনের মধ্যে বেনজিরই ছিলেন সবার বড়। বেনজিরের শিক্ষাজীবন শুরু হয় লেডি জেনিংস নার্সারি স্কুল দিয়ে। পরে তিনি পাক-ভারত সীমান্তের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে ‘ও’ লেভেল পাস করেন। এরপর ‘এ’ লেভেল পাস করেন করাচি গ্রামার স্কুল থেকে। ১৯৭৩ সালে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির রেডক্লিফ কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড থেকে তার উচ্চ ডিগ্রি লাভের বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং কূটনীতি।

১৯৭৭ সালে বেনজির ভুট্টো অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষ করে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা দখল করেন সেনাশাসক জিয়াউল হক। সামরিক অভ্যুত্থানের পর জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জুলফিকার আলী কারাগারে থাকাকালীন তার স্ত্রী নুসরাত আলী ভুট্টো এবং মেয়ে বেনজির ভুট্টো পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। জিয়াউল হক ১৯৭৯ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসির আদেশ দেন। বাবার মৃত্যুর পর বেনজির সক্রিয়ভাবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে কাজ করা শুরু করেন। এ সময় সেনাশাসক জিয়াউল হক সরকার মোট ৮ বার বেনজিরকে গৃহবন্দী ও কারাবন্দী করে।

এত বাধা সত্ত্বেও ১৯৭৮ সালে তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

এত চাপের মুখেও ১৯৮৪ সালে তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে লন্ডন চলে যান। লন্ডনে নির্বাসনে যাওয়ার আগে ৩ বছর তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। লন্ডনে থাকাকালীন রহস্যজনকভাবে তার ভাই শাহনেওয়াজ ভুট্টোর মৃত্যু ঘটে। ১৯৮৫ সালে বেনজির মৃত ভাই শাহনেওয়াজের লাশ নিয়ে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। সে সময় সামরিক শাসক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনসভায় বেনজির বক্তৃতা দেন। বক্তৃতায় তিনি পাকিস্তান সরকারকে ভাইয়ের হত্যার জন্য দায়ী করেন। এ সময় বেনজিরকে আবারো গ্রেফতার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি লন্ডনে ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে এবং বেনজীরকে পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়।

দেশে ফিরে তিনি আবারো রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় বেনজির সমর্থিত পাকিস্তান পিপলস পার্টি। মাত্র ৩৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করে ইতিহাস গড়েন বেনজির ভুট্টো। ক্ষমতায় বসার পর তিনি দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি গণতন্ত্রকে সুদূরপ্রসারী করার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি সমাজসেবামূলক নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি নারীদের সুযোগ-সুবিধা দানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। বেনজির নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিচারক, পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনিই প্রথম রক্ষণশীল পাকিস্তান সমাজে নারী দ্বারা পরিচালিত নারী পুলিশ বাহিনী গঠন করেন। ১৯৯০ সালে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বছরের মাথায় মিথ্যা প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের মুখে বেনজির ভুট্টোকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোলাম ইসহাক খান।

১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় পাকিস্তান পিপলস পার্টি। এবার বেনজির ভুট্টো দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দেশের আনাচে-কানাচে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা জোরদারের জন্য কাজ করে যান। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন সংকটময় হয়ে পড়ে বেনজিরের। রাজনৈতিক বিরোধী দলের ক্রমবর্ধমান বিরোধিতা করা ছাড়াও তার ছোট ভাই মুর্তজা ভুট্টো দশ বছর নির্বাসনে থাকার পর পাকিস্তানে এসে পিপলস পার্টির নেতৃত্ব দাবি করেন। এই দাবির পক্ষে ছিলেন স্বয়ং বেনজির ভুট্টোর মা নুসরাত ভুট্টো। এর মধ্যে আততায়ীর হাতে মুর্তাজা ভুট্টোর হত্যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দেয়। বিরোধী দল অভিযোগ করে যে, বেনজির এবং তার স্বামী জারদারি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এভাবে পরিস্থিতি যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন বেনজিরকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ। এ সময় তিনি ও তার স্বামী জারদারিকে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফলে আবারও তিনি নির্বাসনে লন্ডনে পাড়ি জমান।

 

জুলফিকার আলী ভুট্টো

মৃত্যুদণ্ডাদেশ শোনার সময়ে ভুট্টোর মুখে কোনো রকম ভীতি বা দুশ্চিন্তার ছাপই ছিল না। বিস্ময়করভাবে ভুট্টো বেশ শান্ত, নিশ্চিন্ত ভঙ্গিতে ছিলেন, এমনকি মুখে হাসিও ফুটে উঠল। ভুট্টো জেলসুপারের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী আমাকে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ২৪ ঘণ্টা আগেই অবহিত করার কথা...

 

অতি ধনী জমিদার বংশে জন্মগ্রহণকারী, ভোগ বিলাসে জীবন কাটানো, ইউসি বার্কলে ও অক্সফোর্ড শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ইয়াহিয়াকে হটিয়ে তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দিনকাল মোটেও ভালো গেল না। একের পর এক বড় ধরনের ঝামেলা সামাল দিয়ে দিয়েই তার দিন যায়। বেলুচিস্তানের কসাই নামে পরিচিত ভুট্টোর অতি প্রিয় টিক্কা খানকে লেলিয়ে নিষ্ঠুর উপায়ে বালুচিদের শায়েস্তা করা হলো। চিরকালের বেয়াড়া উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশেও চরম অস্থিরতা দেখা দিল। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আসল। দেশজুড়েই অসন্তোষ ক্রমশ দানা বেঁধে উঠতে থাকল, ভুট্টোর এক নায়কোচিত আচার-আচরণ রাজনৈতিকভাবে তাকে ক্রমশই দুর্বল করে তুলতে লাগল। এই সুযোগে জেনারেল জিয়াউল হক সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের নিয়োগদাতা ভুট্টোকে হটিয়ে ১৯৭৭ সালে ক্ষমতা দখল করে বসলেন। ১৯৭৪ সালে ভুট্টোর এক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আহমেদ রাজা কাসুরির বাবাকে হত্যা করা হয়। সেই মামলায় ভুট্টোকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো। রায়ে তার ফাঁসি হয়ে গেল, আপিল আবেদন, আন্তর্জাতিক চাপ কিছুতেই কিছু হলো না। জিয়াউল হক তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বন্দোবস্ত করে। তবে ভুট্টো সাহেব তখনো বিশ্বাস করতে পারেননি যে মৃত্যুদণ্ডের মতো তেমন কিছু আসলেই হতে পারে।

১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় চারজন কারা কর্মকর্তা রাওয়ালপিন্ডি কারাগারে ভুট্টোকে রাখা ডেথ সেলে ঢুকাল। ভুট্টো তখন মেঝেতে তার তোষকে শুয়ে আছেন। জেল সুপার মোহাম্মদ সরকারি মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাঠ করলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ শোনার সময়ে ভুট্টোর মুখে কোনো রকম ভীতি বা দুশ্চিন্তার ছাপই ছিল না। বিস্ময়করভাবে ভুট্টো বেশ শান্ত, নিশ্চিন্ত ভঙ্গিতে ছিলেন, এমনকি মুখে হাসিও ফুটে উঠল। ভুট্টো জেল সুপারের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,

‘জেল কোড অনুযায়ী আমাকে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ২৪ ঘণ্টা আগেই অবহিত করার কথা, যা করা হয়নি। এমনকি আজ সকালে যখন আমার স্ত্রী-কন্যা দেখা করতে এসেছিল তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়নি। আমি জেল সুপার সাহেবকে ডেকে পরিষ্কার করতে বলেছিলাম, তিনি ভাসা ভাসাভাবে শুধু বলেছিলেন যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ তার হাতে এসেছে। তিনি আমাকে আরো বলেছিলেন যে আমার বোন মনোয়ারুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই মমতাজ ভুট্টো আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। তিনি নিজে আমার সেলে এসে আমার করে যাওয়া উইল জমা নেবেন। আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেখানো হয়নি। আমি অনতিবিলম্বে আমার উকিলের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার অন্য আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আমাকে দেখা করতে দেওয়া উচিত ছিল। আমার দাঁত আমাকে খুব ভোগাচ্ছে, আমি এই মুহূর্তেই আমার ডেন্টিস্ট জাফর নিয়াজিকে এখানে চাই।’"

জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বশীর খান জানালেন যে, ভুট্টো সাহেব চাইলে উইল লিখতে পারেন, এ জন্য তাকে কাগজ-কলম দেওয়া হবে। এরপর তিন কর্মকর্তা সেল ত্যাগ করে বেরিয়ে গেলেন। বস্তুত ভুট্টো তখনো দণ্ডাদেশ বিশ্বাস করতে পারেননি যে তাকে আসলেই ঝোলানো হতে পারে। তার ধারণা ছিল এটা জিয়াউল হকের চাল, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনীতি ছাড়া করা হবে। এর মাঝে সময় ঘনিয়ে এলো, সুপার প্রধান কারা রক্ষককে তার শান্ত্রীদের সেলে ঢুকতে নির্দেশ দিলেন। তারা একপ্রকার জোর করেই তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে উঠিয়ে নিল। রাত ঠিক ২টা বেজে ৪ মিনিটে তার দণ্ড কার্যকর হয়। জেল কোড ভেঙে তাকে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ভোরবেলায় সাংবাদিকরা যখন জড়ো হচ্ছেন জেলগেটে ততক্ষণে ভুট্টোর দেহ সিন্ধুর পথে উড়ে গেছে। বিশ্ব নেতারা, জাতিসংঘ এই ফাঁসির তীব্র নিন্দা জানাল। এতে জেনারেল জিয়াউল হকের কিছুই আসল-গেল না। পরবর্তীতে তার সরকারের আমলে পাকিস্তান একনায়ক ভুট্টোর আমলের গৃহীত উদার নীতিগুলো থেকে সরে গেল। ব্যাপক ইসলামীকরণের নামে শুরু হলো জঙ্গিবাদ।

 

মীর গোলাম মুর্তজা ভুট্টো

১৯৯৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর করাচিতে মুর্তজা তার বাড়ির সামনে আততায়ীর হাতে নিহত হন। এতে করে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে ৬ সহযোগীসহ মুর্তজার মৃত্যু হয়। ধরে নেয়া হয় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বেনজির এবং তার স্বামী জারদারি দায়ী।

 

পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি সমধিক পরিচিত। তবে বাবার পরিচয় তাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। তিনি মীর গোলাম মুর্তজা ভুট্টো। পাকিস্তানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর বড় ছেলে। ১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। খুব বেশিদিন তিনিও রাজনীতির মঞ্চে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৯৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভুট্টো পরিবারের সন্তান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আততায়ীর গুলিতে তাকে প্রাণ হারাতে হয়।

 

জেনারেল জিয়াউল হকের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে তার বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো উত্খাত এবং ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে তিনি জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে যান। তার অপরাধ সংগঠনের নাম ছিল আল-জুলফিকার। এরপর তিনি আফগানিস্তানে রিফিউজি হিসেবে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন। তবে সে দেশের সামরিক ট্রাইব্যুনাল দ্বারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন। এর পর অনেক দিন মুর্তজা আত্মগোপনে ছিলেন।

 

১৯৯৩ সালে মুর্তজা আবার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার আপন বোন বেনজির ভুট্টো। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন সংকটময় হয়ে পড়ে বেনজিরের। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকা ছোটভাই মুর্তজা ভুট্টো দশ বছর নির্বাসনে থাকার পর পাকিস্তানে এসে পিপলস পার্টির নেতৃত্ব দাবি করেন। এই দাবিতে বেনজির ভুট্টোর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। এদিকে মুর্তজাকে মা নুসরাত ইস্পাহানি ইন্ধন জোগাতে থাকেন। ফলে পারিবারিকভাবেই বেনজির ভুট্টো বিপাকে পড়ে যান।

 

এই সময় ভাইকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেফতার করেন। তারপর তিনি জামিনে মুক্তি নিয়ে সিন্ধু প্রদেশ এলাকায় বোনের বিপক্ষে নির্বাচনী লড়াইয়ে যান। সেখানে মুর্তজা সফলভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় বোন বেনজির ভুট্টো ও তার স্বামী আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে থাকেন। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরপর ১৯৯৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর করাচিতে মুর্তজার বাড়ির সামনে আততায়ীর হাতে নিহত হয়। এতে করে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে ৬ সহযোগীসহ মুর্তাজার মৃত্যু হয়। ধরে নেয়া হয় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বেনজির এবং তার স্বামী জারদারি দায়ী।

 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মাস পরেই বেনজির সরকারকে রাষ্ট্রপতি ফারুক লিঘারি মুর্তাজা হত্যায় দায়ী করেন।

পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে বেনজিরকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। মুর্তজার মৃত্যুর জন্য জারদারিকে আটক করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফলে আবারো বেনজির নির্বাসনে লন্ডন চলে যান। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ও বেনজির ভুট্টোর মধ্যে রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রায় ৮ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ২০০৭ সালের অক্টোবরে করাচিতে ফিরেন বেনজির। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সভায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন।

 

শাহনেওয়াজ ভুট্টো

১৯৮৫ সালের ১৮ জুলাই ফ্রান্সে ২৬ বছর বয়সী শাহনেওয়াজ ভুট্টোর মরদেহ পাওয়া যায়। তার মৃত্যুটা অনেকটাই রহস্যজনক। ভুট্টো পরিবার বিশ্বাস করত যে, শাহনেওয়াজকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ এই মৃত্যুর দায়ভার কাঁধে নেয়নি। তবে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ...

 

১৯৮৫ সালে ১৮ ফ্রান্সে রহস্যজনকভাবে তরুণ শাহনেওয়াজ ভুট্টোর মৃত্যু হয়। শাহনেওয়াজ ভুট্টোকে বিষপানে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছেলে ছিলেন। শাহনেওয়াজ ভুট্টোর জন্ম হয় ১৯৫৮ সালের ২১ নভেম্বর। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শাহনেওয়াজের স্কুলজীবন কাটে পাকিস্তানেই। ভালো ফলাফল করায় শাহনেওয়াজকে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা শুরু করেন। এ সময় দেশে সামরিক শাসক জিয়াউল হকের শাসন চলছে। তত দিনে বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো কারাগারে আটক রয়েছেন। তখন শাহনেওয়াজ এবং বড় ভাই মুর্তজা ভুট্টো আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনিংয়ের মাধ্যমে তাদের বাবাকে রক্ষা করার জন্য জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। দুই ভাই মিলে তাদের পরিবারের ওপর জেঁকে বসা অভিশাপ দূর করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। তারা বিশ্বাস করতেন বিশ্ব কর্তাব্যক্তিদের তৎপরতায় তার বাবা রেহাই পাবেন। কিন্তু কোনো লাভ শেষমেষ হয়নি।

শাহনেওয়াজ ও ভাই মুর্তজা আফগানি রক্ষণশীল পরিবারের আপন দুই পশতু বোন বিয়ে করেন।

১৯৮৫ সালের ১৮ জুলাই ফ্রান্সে ২৬ বছর বয়সী শাহনেওয়াজ ভুট্টোর মরদেহ পাওয়া যায়। তার মৃত্যুটা অনেকটায় রহস্যজনক। ভুট্টো পরিবার বিশ্বাস করত যে, শাহনেওয়াজকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ এই মৃত্যুর দায়ভার কাঁধে নেয়নি। তবে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ শাহনেওয়াজের স্ত্রী রেহানাকে এই মৃত্যুর জন্য দোষারোপ করে। পরে অবশ্য আদালত রেহানাকে দোষী প্রমাণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতিপত্রও পান। এই সুযোগে রেহানা আশ্রয় নেন আমেরিকাতে। ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ভাইয়ের বউয়ের প্রতি মুর্তজার মাঝে কিছুটা প্রতিহিংসা কাজ করে। সে কারণে নিজের বউকে তালাক দিয়ে দেন। সে সময় পাকিস্তানে চলছে জেনারেল জিয়াউল হকের শাসন। তাই মিডিয়াও ভুট্টো পরিবারের বিপক্ষে বলা শুরু করল। মারা যাওয়ার পরেও শাহনেওয়াজ ভুট্টোকে নিতে হলো ড্রাগ ও অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর অভিযোগ।

এই বিভাগের আরও খবর
অ্যাজটেক সভ্যতার অজানা গল্প
অ্যাজটেক সভ্যতার অজানা গল্প
বিখ্যাতদের নির্বাসন
বিখ্যাতদের নির্বাসন
যে ছবিগুলো সময় সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিতে পারে
যে ছবিগুলো সময় সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিতে পারে
ঢেউয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে
ঢেউয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে
হেমন্তের চাঁদ
হেমন্তের চাঁদ
গোপন মানুষ
গোপন মানুষ
গোলাপ ফোটার দিন
গোলাপ ফোটার দিন
সাকরাইন
সাকরাইন
কবি আবুল হাসান : স্বতন্ত্র ও শানিত শিল্পস্বর
কবি আবুল হাসান : স্বতন্ত্র ও শানিত শিল্পস্বর
ভয়ংকর গাছ
ভয়ংকর গাছ
এ যুগের আবিষ্কার
এ যুগের আবিষ্কার
অবাক জলযান
অবাক জলযান
সর্বশেষ খবর
সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় চারজন গ্রেফতার
সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় চারজন গ্রেফতার

১৮ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

কমল স্বর্ণের দাম
কমল স্বর্ণের দাম

৩০ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

চায়না কমলা চাষ করে আয় চার লাখ টাকা!
চায়না কমলা চাষ করে আয় চার লাখ টাকা!

৫ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সীমান্তে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সীমান্তে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

১১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

বধ্যভূমি রক্ষা করতে হবে: ডা. শাহাদাত
বধ্যভূমি রক্ষা করতে হবে: ডা. শাহাদাত

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে গাঁজা-ফেনসিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে গাঁজা-ফেনসিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাতে নিখোঁজ, সকালে লাশ
রাতে নিখোঁজ, সকালে লাশ

২৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

সিলেটে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
সিলেটে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

২৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না
বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই : আইজিপি
দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই : আইজিপি

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

উখিয়ার ৪ জেলের হদিস নেই এক মাসেও
উখিয়ার ৪ জেলের হদিস নেই এক মাসেও

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
দিনাজপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দিল্লি এখন দুষ্কৃতীদের রাজধানী : কেজরিওয়াল
দিল্লি এখন দুষ্কৃতীদের রাজধানী : কেজরিওয়াল

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
চাঁদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১৬
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩১৬

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

জিয়া পরিষদ বেসরকারি ব্যাংক ইউনিট শাখার অনুমোদন
জিয়া পরিষদ বেসরকারি ব্যাংক ইউনিট শাখার অনুমোদন

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
টাঙ্গাইলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী
নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজের আলোচনা সভা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজের আলোচনা সভা

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

হবিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
হবিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | চায়ের দেশ

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা রিজেন্সির ‘বিজয় কিডস আর্ট কমপিটিশন’ অনুষ্ঠিত
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা রিজেন্সির ‘বিজয় কিডস আর্ট কমপিটিশন’ অনুষ্ঠিত

১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

‘জুলাই বিপ্লবের ফসল জনগণ এবার ৭১ এর মত হাইজ্যাক করতে দিবে না’
‘জুলাই বিপ্লবের ফসল জনগণ এবার ৭১ এর মত হাইজ্যাক করতে দিবে না’

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সেটি হবে সবার জন্য বাসযোগ্য’
‘যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সেটি হবে সবার জন্য বাসযোগ্য’

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

কুষ্টিয়ায় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের আলোচনা সভা
কুষ্টিয়ায় বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের আলোচনা সভা

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে স্বস্তি ক্রেতাদের
চট্টগ্রামে সবজির বাজারে স্বস্তি ক্রেতাদের

১ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাদারগঞ্জে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
মাদারগঞ্জে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মঙ্গলের পরিবেশে ফাঙ্গাস নিয়ে গবেষণা করবে নাসা
মঙ্গলের পরিবেশে ফাঙ্গাস নিয়ে গবেষণা করবে নাসা

২ ঘন্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লোকসভায় যা বললেন জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লোকসভায় যা বললেন জয়শঙ্কর

১০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্যাটেলাইটে ধরা পড়লো ইরানের নতুন ড্রোন ক্যারিয়ার
স্যাটেলাইটে ধরা পড়লো ইরানের নতুন ড্রোন ক্যারিয়ার

৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লু জামিন পেতেই ‘বিস্ফোরক’ কঙ্গনা
আল্লু জামিন পেতেই ‘বিস্ফোরক’ কঙ্গনা

১১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

২৩ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

কীভাবে সব দোষ একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো : রাশমিকা
কীভাবে সব দোষ একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো : রাশমিকা

১১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

আসাদ পরিবারের গন্তব্য কোথায়?
আসাদ পরিবারের গন্তব্য কোথায়?

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, সতর্কবার্তা
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, সতর্কবার্তা

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

১২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যাবো’
‘নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যাবো’

৬ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র শেষ: কে কোন গ্রুপে
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র শেষ: কে কোন গ্রুপে

৯ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী
বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে’
‘ভারত সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে’

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

'প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা কিংবা সক্ষমতা কোনটিই আওয়ামী লীগের নেই'
'প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা কিংবা সক্ষমতা কোনটিই আওয়ামী লীগের নেই'

৯ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে’
‘আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে’

৪ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ওপেন এআইয়ের তথ্য ফাঁসকারী ভারতীয় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে ওপেন এআইয়ের তথ্য ফাঁসকারী ভারতীয় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শিশু নোভা
বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শিশু নোভা

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন হবে : আশাবাদ মির্জা ফখরুলের
জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন হবে : আশাবাদ মির্জা ফখরুলের

৯ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগ এখনো সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে’
‘আওয়ামী লীগ এখনো সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে’

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার
বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার

২০ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইগারদের এমন হারের পর যা বললেন বিসিবি সভাপতি
টাইগারদের এমন হারের পর যা বললেন বিসিবি সভাপতি

৭ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নবীজি (সা.) কোন নামাজে কোন সুরা পড়তেন
নবীজি (সা.) কোন নামাজে কোন সুরা পড়তেন

১২ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল
বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

১০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারত থেকে এলো ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
ভারত থেকে এলো ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

৬ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

ব্যাটেও ধার নেই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিবের বোলিং?
ব্যাটেও ধার নেই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিবের বোলিং?

৬ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেসির চোখে বর্তমান প্রজন্মের সেরা ফুটবলার যিনি
মেসির চোখে বর্তমান প্রজন্মের সেরা ফুটবলার যিনি

১৩ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নানা নাটকীয়তার পর অভিশংসিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
নানা নাটকীয়তার পর অভিশংসিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল
বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন
আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতির গেম চেঞ্জার
অর্থনীতির গেম চেঞ্জার

প্রথম পৃষ্ঠা

বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা
বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!
গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!

প্রথম পৃষ্ঠা

নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক
নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসকনকে ‘জঙ্গি’ বলায় বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ইসকনকে ‘জঙ্গি’ বলায় বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

পেছনের পৃষ্ঠা

নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ
নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য
জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ
জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাহসী রুনা খান
সাহসী রুনা খান

শোবিজ

চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা
চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা

শনিবারের সকাল

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি
বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি

মাঠে ময়দানে

বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে
বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই
লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মশা নিধনের ওষুধ সংকট
মশা নিধনের ওষুধ সংকট

নগর জীবন

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত

নগর জীবন

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপগামী শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা কাটছে না
ইউরোপগামী শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা কাটছে না

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দিতে হবে
শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দিতে হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস
চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস

নগর জীবন

ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি
ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি

নগর জীবন

সরকারের কাজে আমরা হ্যাপি
সরকারের কাজে আমরা হ্যাপি

নগর জীবন

দায়িত্ব ছাড়লেন পাকিস্তান টেস্ট দলের
দায়িত্ব ছাড়লেন পাকিস্তান টেস্ট দলের

মাঠে ময়দানে