শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

দেশে দেশে নির্বাচন কমিশন

প্রিন্ট ভার্সন
দেশে দেশে নির্বাচন কমিশন

বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা পরেই অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্টারি নির্বাচন। এই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে স্ব স্ব দেশের নির্বাচন কমিশন। একেক দেশে আবার এই কমিশনের কর্মপদ্ধতি থাকে ভিন্ন। তবে সব দেশেরই একটি মূল বিষয়ে মিল থাকে। তাদের নেওয়া যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত, কর্ম পরিচালনা এবং নিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করে দেশটির গণতন্ত্রের সফল বাস্তবায়ন। তাদের দক্ষ পরিচালনায় দেশের গণতান্ত্রিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। দলীয় এজেন্ডা নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। সর্বশেষ পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেই দলকে দেওয়া হয় দেশ শাসনের ভার। মোটামুটি এই নিয়মগুলো সব দেশেই এক। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু পার্থক্য থাকে একে অপরের মধ্যে। দেশে দেশে নির্বাচন কমিশনগুলোর সেসব বিষয় নিয়েই আজকের রকমারি আয়োজন। বিস্তারিতা লিখেছেন— তানিয়া তুষ্টি

 

স্বশাসিত সংস্থা

ভারতের নির্বাচন কমিশন

ভারতের একটি স্বশাসিত সংস্থা ‘ভারত নির্বাচন কমিশন’। কমিশনটি দেশের সব নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। পৃথিবীর বৃহত্তম সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত হওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারের সংখ্যা এখানে অনেক বেশি। আর তাই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয় কমিশনকে। এ কারণেই প্রয়োজন পড়ে একটি নিরপেক্ষ, দায়িত্বশীল ও কার্যকরী নির্বাচন কমিশনের। দেশভাগের পর স্বাধীন ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি গঠিত হয় প্রথম নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুকুমার সেনের দায়িত্বে স্বাধীন ভারতের প্রথম দুটি (১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে) সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

কমিশনের সংস্কার

১৯৯০ সাল থেকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর আগে, নির্বাচন কমিশন বলতে ছিলেন শুধুই একজন প্রধান কমিশনার। কিন্তু ১৯৯০ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হলে, অন্তত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গড়ার প্রচলন শুরু হয়। আইন বদলের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন আর ভি এস পেরি শাস্ত্রী। তাঁর নেতৃতে ভোট দিতে পারার বয়স কমিয়ে ১৮-তে আনা এবং একাধিক সদস্যের নির্বাচন কমিশনের শুরুও হয় শাস্ত্রীর আমলে। শাস্ত্রীর পর নির্বাচন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব পান ভারতের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ভি এস রামাদেবী। তিনি অল্পদিন দায়িত্বে থাকার পর কমিশনের ভার নেন টি এন সেশন। তাঁর অধীনে (১৯৯০ থেকে ১৯৯৬) ভারতের নির্বাচনের সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আসে। তামিলনাড়ুর এই সাবেক প্রশাসনিক ক্যাডারকে অনেকে ‘চেঞ্জমেকার’ বা পরিবর্তনের রূপকার হিসেবে চেনেন। আমলাতান্ত্রিকতা ও রাজনীতিকদের একাধিপত্য থেকে মুক্ত করেছিলেন তিনি ভারতের নির্বাচনকে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষমতা ধরে রেখে আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রের রক্ষায় নামেন। তার হাত ধরেই ভারতে শুরু হয় পরিচয়পত্রের প্রচলন - দুর্নীতিমুক্ত হয় নির্বাচন ব্যবস্থা। কিন্তু ২০০৯ সালের পর আবার নির্বাচন কমিশনের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে শুরু করে। ২০১৫ সালে প্রবল মাওবাদী সংঘর্ষের মধ্যেও সংবাদমাধ্যমের বাড়তি নজর এড়িয়ে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় নির্বাচন ভি এস সম্পতের কর্তৃত্বে।

কমিশনের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি

সীমানা পুনর্নিধারণ আইন, ১৯৫২ অনুসারে প্রতি দশ বছর অন্তর আয়োজিত জনগণনা অনুযায়ী নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর সীমা পুনর্নির্দেশ ও ভোটদাতার পরিধির পুনর্বিন্যাস, ভোটদাতাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া, রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক ঠিক করা, নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনুকূলে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করা, অবৈধ কিছু ঘটলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্থগিত বা বাতিল করা, কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অযোগ্য বিবেচিত হলে এই সংক্রান্ত সুপারিশ ক্ষেত্রবিশেষে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো। এ ছাড়াও ভোটপ্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্যপালনীয় কর্তব্যের তালিকা ও বিধিনিষেধ রচনা ও প্রয়োগ, আকাশবাণী ও দূরদর্শনে ভোটপ্রার্থীদের প্রচারের সময় বণ্টন, প্রার্থীপিছু নির্বাচনজনিত ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করা, প্রযুক্তিগত বিষয়ে (যেমন বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের ব্যবহার) ভোটদাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করাও এই কমিশনের কাজ।

কমিশন গঠন, নিয়োগ ও অপসারণ

ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংবিধান-স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণের নিয়মের অনুরূপ। অবশ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুপারিশ অনুযায়ীও রাষ্ট্রপতি অপর নির্বাচন কমিশনারকে অপসারিত করতে পারেন।

 

ভুটানের রাজা নিয়োগ দেন নির্বাচন কমিশন

ভুটানের সংবিধান মোতাবেক দেশে দুই দফা নির্বাচন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম দফায় সব অংশগ্রহণকারী দলকে ভোটাররা ভোট প্রদান করে। এ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুটি দল দ্বিতীয় দফা বা চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এতে বিজয়ী দলটি সরকার গঠন করে। এই কাজগুলো সে দেশের নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। রাজাশাসিত স্বাধীন পর্বতময় দেশ ভুটান কখনো ভারতের অংশ ছিল না। তবুও এটা স্বীকৃত সত্য যে, ঐতিহাসিকভাবেই ভুটান ভারতনির্ভর। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারতের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে থাকে। তারই পরিণতিতে ১৯৪৯ সালে ভুটানকে ভারতের সঙ্গে ‘বন্ধু চুক্তি’ নামের এক চুক্তি স্বাক্ষরে কার্যত বাধ্য হতে হয়। এ চুক্তিতে ভুটানকে সম্পূর্ণরূপে ভারতনির্ভর করা হয়। চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল, নয়াদিল্লির সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে ভুটান তার বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করবে। আজও সে চুক্তি বহাল আছে। কিন্তু, ২০০৮ সালে ভুটানের রাজা ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেন। ভুটানে বইতে শুরু করে গণতন্ত্রের সুবাতাস। তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিগত ১০ বছরে দেশটিতে গণতন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করেছে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির প্রথম নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে ডিপিটি। প্রধানমন্ত্রী হন জিগমে থিনলে। বলা হয়, তিনি ছিলেন ভারতের আধিপত্যবিরোধী। তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই তিনি ভারতের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করার চেষ্টা শুরু করেন। সে বছরই রাজা প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় পরিষদের স্পিকার, জাতীয় কাউন্সিলরের চেয়ারপারসন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর লিখিত তালিকা থেকে আরও দুজন কমিশনার পাঁচ বছর মেয়াদে নিয়োগ পান। কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর নজরদারি, নির্বাচন পরিচালনা, নির্বাচনী ব্যবস্থা পর্যালোচনা, আইন ও বিধি প্রণয়ন, আদালতের সমালোচনার পরিদর্শন ও বিচারিক ক্ষমতা রাখে। কমিশন যথাযথ ক্ষমতাবলে যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রাইভেট পার্টির কাছ থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের এবং প্রয়োজনীয় স্থান, যানবাহন এবং ঘোড়া মোতায়েন করতে পারে।

 

স্বায়ত্তশাসিত ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’

পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’। ১৯৫৬ সালে জারি করা শাসনতন্ত্রের ১৩৭নং ধারা অনুসারে ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন সদস্য নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। ১৮তম সংশোধনীতে এই নিয়োগ-পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সংশোধনীর পর থেকে সরকারি ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে যারা সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য, তাদের মধ্য থেকেই সিইসি নিয়োগ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের অপর চারজন সদস্য, অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনারদের একেকজনকে পাকিস্তানের একেকটি প্রদেশের হাই কোর্টের বিচারপতিদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান একসঙ্গে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু, ভারত নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেও পাকিস্তান তা পারেনি। ভারতে ১৯৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও পাকিস্তানে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে। কারণ, ১৯৪৮ সালে দেশটির স্থপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মারা যান, ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের ষড়যন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানও প্রাণ হারান। এরপর চলে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের কর্তৃত্ব। চৌধুরী মুহম্মদ আলী যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁদের দুজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে একটা শাসনতন্ত্র পাস হয়। এরপর সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে

নেপালের নির্বাচন কমিশন

১৯৫১ সালে গঠিত হওয়া নেপালের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০০৮ সালে প্রথম বিশুদ্ধ সংসদীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আসে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেপালে ২৪০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান হয়। তখন কমিশনের প্রধান ছিলেন সাবেক সচিব ভোঙ্গরাজ পোখারেল। ওই নির্বাচন ছিল ‘পোস্ট-কনফ্লিক্ট’ তথা সংঘাত-উত্তর সময়ের নির্বাচন। নেপালের ২০ বছরের মাওবাদী ‘ইনসারজেন্সি’ পরবর্তী নির্বাচন। প্রথম গণপরিষদে প্রায় ২৬টি দলের উপস্থিতি ছিল। এত বড় সংখ্যক দলের সংসদে থাকার কারণ ছিল মিশ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা। যেখানে ছোট ছোট দল আনুপাতিকহারে আসন পেয়েছিল। অতীতের দুটি গণপরিষদ নির্বাচন একদিনে অনুষ্ঠিত করতে নেপালের নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থাপনায় যে জটিল অভিজ্ঞতা অর্জন করে, সে প্রেক্ষাপটে হালের নির্বাচন দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় নতুন সৃষ্ট প্রাদেশিক নির্বাচনও। এটাও একটি কারণ ছিল দুই পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পেছনে। তাছাড়া নেপালে মিশ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিধান রাখা আছে যাতে বহুজাতিক দেশটির পিছিয়ে পড়া জাতি-গোষ্ঠী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে পারেন। এ বিষয়টি সংবিধানের ৮৪(২) এ নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নেপালের ইতিহাসে প্রথম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্য একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের সংবিধান রচনায় গণপরিষদ গঠন করা হয়। নির্বাচন হয়েছিল ৫৭৫টি আসনে। এ উপমহাদেশে নেপালই প্রথম দেশ যেখানে মিশ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়া তথা মিক্সড ইলেক্টোরাল সিস্টেম, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট এবং আনুপাতিক হারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

স্বৈরাচার হটিয়ে শ্রীলঙ্কায় গণতন্ত্র

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনার মাহিন্দা দেশাপ্রিয়া। দৃঢ়চেতা এই ব্যক্তির কারণেই শ্রীলঙ্কায় বর্তমান পাল্টে যাওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচন ছিল দেশটিতে গণতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারণের নির্বাচন। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের শাসনামলে তারই নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনার হয়ে দেশাপ্রিয়া রাজাপাকসের সব অন্যায় আবদার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে ঐতিহাসিক নির্বাচন সম্পন্ন করেন। ফলে রাজাপাকসের ১০ বছরের ‘একনায়কতন্ত্রে’র অবসান হয়। সে নির্বাচনে রাজাপাকসের থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। দেশাপ্রিয়া স্বৈরাচারের নিপাত ঘটিয়ে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করেন। শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচন কিছুটা জটিল। এর মোট আসন সংখ্যা ২২৫টি। এর মধ্যে ১৯৬টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হয় এবং বাকি ২৯টি আসনে নির্বাচন হয় আনুপাতিক হারে। এই ২৯ সংসদ সদস্যের পদকে বলা হয় ন্যাশনালিস্ট। একজন ভোটার ব্যালটে প্রথমে একটি রাজনৈতিক দলকে ভোট দেবেন। তারপর ভোটার সেই পার্টির সর্বোচ্চ তিনজনকে ভোট দিতে পারবেন। ভোটাররা যখন ভোট দেবেন তখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যে কোনো তিনজনকে ভোট দিতে পারবেন। এটাকে বলা হয় প্রিফারেন্সিয়াল ভোট। আবার ইচ্ছে করলে সিঙ্গেল ভোটও দিতে পারবেন। প্রথমে এক পার্ির্টকে ভোট দিয়ে পরে অন্য পার্টির মনোনীত ব্যক্তিকে ভোট দিলে সেই ভোট বাতিল হয়ে যাবে। এ ছাড়া মূল নির্বাচনের আগে ছিল পোস্টাল ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। প্রতিটি জেলার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই পোস্টাল ভোটে অংশ নেন ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগে। সেখানে মোট ১৩টি নির্বাচনী এলাকা থেকে ১২ জন নির্বাচিত হবেন। এক একটি রাজনৈতিক দল ১২টি সংসদ সদস্য পদের জন্য ১৫ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়। এই নির্বাচনে বিচ্ছিন্নভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে একটি প্লাটফর্মে এসে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে হবে এবং সে মোতাবেক নির্বাচন কমিশন তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর জোট হিসেবে ঘোষণা দেবে।

 

পূর্ণ গণতান্ত্রিক যুক্তরাজ্য

গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাজ্য। জনমত, রাজনৈতিক দল, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে একটি দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাফল্য। যুক্তরাজ্যে এর সব কিছুই বিদ্যমান। আর তাই গ্রেট ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য হয়ে উঠেছে একটি আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। ব্রিটেনে এখনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান আছে। কিন্তু রাজা-রানীকে চলতে হয় পার্লামেন্টের নির্দেশ মেনে। পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ, অর্থাৎ হাউস অব কমন্স নির্বাচিত হয় সাধারণ ভোটারদের ভোটে। শুধু তাই নয়, দেশের বৃহত্তর নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারদের বেশ প্রভাব পড়ে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা হাউস অব লর্ডস থাকলেও তার তেমন ক্ষমতা নেই। বর্তমানে ব্রিটেনে হাউস অব কমন্স-ই হল প্রকৃত নীতিনির্ধারক ও দেশের পরিচালক। সে দেশের হাই কোর্ট অব দ্য পার্লামেন্ট বলতে বোঝায়, রাজা বা রানী, হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমন্সকে একত্রে। এই নামটি এখনো ব্যবহার হয় অতীত ইতিহাসের ধারাবাহিকতা হিসেবে। কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতা এখন একমাত্র হাউস অব কমন্সেরই হাতে। গ্রেট ব্রিটেনের কোনো লিখিত সংবিধান নেই। তাদের আছে কতগুলো মৌলিক আইন, যা ব্রিটেনে পালিত হয় খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে। এসব আইন হলো ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সার্বভৌম। সেখানকার পার্লামেন্টের বিশেষ কমিটি যদি কোনো বিচারপতিকে অসাধু আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য সুপারিশ করেন, তবে রাজা অথবা রানীর নির্দেশে তাকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে। কিন্তু সাধারণত এ রকম কিছু ঘটে না। সেখানে বিচার বিভাগ অনেক মুক্ত ও সম্মানের অধিকারী। তাদের সিভিল সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাজনীতি করবার কথা ভাবতে পারে না। ফলে ভোট হয় অবাধ ও নিরপেক্ষ। যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের সময় বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকেন, কিন্তু তারা ভোটের ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপের কথা আদৌ ভাবেন না। আর সে কারণেই যুক্তরাজ্যে নির্বাচন হতে পারে পূর্ণ গণতান্ত্রিক, অবাধ ও নিরপেক্ষ।

 

ইলেকট্রোরাল পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

আমেরিকার সবকটি স্টেট এবং ওয়াশিংটন ডিসি মিলিয়ে মোট ইলেকট্রোরাল ভোট সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থীকে এর অর্ধেকের চেয়ে এক বেশি অর্থাৎ ২৭০টি ইলেকট্রোরাল ভোট পেতে হবে। ধরা যাক কোনো প্রার্থী জনবহুল ১১টি স্টেটের সব মানুষের ভোট মানে ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং জনবিরল ৩৯টি স্টেটের বাইশ শতাংশ ভোটের ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে, গোটা দেশের ভোটারদের ৮৮ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়েও তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। মাত্র বারো শতাংশ ভোট পেয়েই অন্য প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন। সাধারণ মানুষের ভোট বেশি পেয়েও ইলেকট্রোরাল ভোটের নিয়মে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি, আমেরিকায় এমন উদাহরণ আছে। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট আল গোর পান ৪৮.৪% ভোট। রিপাবলিকান বুশ তাঁর চেয়ে কম ৪৭.৯% পপুলার ভোট পেয়েও ইলেকট্রোরাল ভোট সংখ্যার হিসাবে আল গোরকে টেক্কা দিয়ে প্রেসিডেন্ট বনে যান। ১৮৮৮ এবং ১৮৭৬ সালেও পপুলার ভোটে পিছিয়ে থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার নজির আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে স্টেটে যে দল যতগুলো ইলেকট্রোরাল ভোট হাসিল করে, সেই দলের ততজন প্রতিনিধি আবার সরাসরি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে ভোট দেন। অর্থাৎ, কোনো প্রার্থী যদি ২৭০টি ইলেকট্রোরাল ভোট পান তা হলে তাঁর দলের ২৭০ জন প্রতিনিধির দেওয়া সরাসরি ভোটে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে চাইলে ইলেকট্রোরাল কলেজের কোনো দলীয় প্রতিনিধি নিজের দলের বদলে অন্য দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। এঁদের বলা হয় ফেথলেস ইলেক্টর বা বেইমান ইলেক্টর। আমেরিকায় এরকম বেইমানির একশ’ সাতান্নটি উদাহরণ আছে। তবে, তাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলের নজির নেই।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
মাটিরাঙ্গায় সেনা অভিযানে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী আটক
মাটিরাঙ্গায় সেনা অভিযানে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী আটক

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

যে কোন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত জানিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি
যে কোন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত জানিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চসিকের বিশেষ হেলথ ক্যাম্প
চসিকের বিশেষ হেলথ ক্যাম্প

৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এখনো ভয় কাটেনি, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেলেন অভিনেত্রীর বাবা
এখনো ভয় কাটেনি, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেলেন অভিনেত্রীর বাবা

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৫

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলল অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান
রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলল অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

৩০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান চান জামাল
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান চান জামাল

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শরীয়তপুরে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এ রায় দেশে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে : ইসলামী আন্দোলন
এ রায় দেশে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে : ইসলামী আন্দোলন

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তিনজন গ্রেফতার
বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তিনজন গ্রেফতার

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম শিশুদের হাতে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম শিশুদের হাতে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মওলানা ভাসানী মজলুম-নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন : দুদু
মওলানা ভাসানী মজলুম-নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন : দুদু

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনার দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক ২৩ নভেম্বর
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনার দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক ২৩ নভেম্বর

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই
কুমিল্লায় মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ
দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন
পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

৫৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

চট্টগ্রামে হত্যা মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে হত্যা মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনার রায়ে জনমনে আতঙ্ক নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনার রায়ে জনমনে আতঙ্ক নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শেরপুরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন
শেরপুরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
শাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির হলে ৫০ টাকার উন্নয়ন ফি বাতিল
রাবির হলে ৫০ টাকার উন্নয়ন ফি বাতিল

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে পদোন্নতির দাবিতে প্রভাষকদের ‌‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি
মুন্সীগঞ্জে পদোন্নতির দাবিতে প্রভাষকদের ‌‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে