শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ আপডেট:

যুক্তরাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট

প্রিন্ট ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত রাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট। সে দেশের ইতিহাসে চলমান ধর্মঘট রেকর্ড গড়েছে। এই অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। এই পরিস্থিতিতে পড়ে দেশের সরকারি চাকরিজীবী থেকে যেকোনো পেশাজীবীর মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রেসিডেন্টকে নানাভাবে সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী উত্থাপিত কোনো বিল অনুমোদনের পক্ষে সিনেটের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষের সিংহভাগের সমর্থন দরকার হয়। কিন্তু এই অনুমোদনে সবার সম্মতি না থাকায় বেঁকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের উত্থাপিত বিল অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত দেশের অচলবস্থা জারি করেছেন। আমেরিকার ইতিহাসে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র অচল করার এমন ঘটনা আরও রয়েছে। বিগত বছরে আমেরিকায় সৃষ্টি হওয়া নানা মেয়াদের অচলাবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন - তানিয়া তুষ্টি

 

ট্যাক্স বাড়ানোর দাবি

মেয়াদকাল : ২ দিন,

সময়কাল : ৬-৮ অক্টোবর ১৯৯০ সাল

প্রেসিডেন্ট :  জর্জ ডব্লুউ বুশ

১৯৯০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার দুদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। এটি ৬ অক্টোবর সপ্তাহের শেষের দিন শনিবার কলম্বাস ডে’তে জারি করা হয়, চলে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত। শাটডাউনটি করার কারণ ছিল ট্যাক্স বাড়ানো কেন্দ্র করে। ১৯৯১ সালের আগত বাজেটে তিনি ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়াতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট বুশ চেয়েছিলেন ঘাটতি বাজেট পূরণে ট্যাক্ট বাড়াতে। কিন্তু এই ট্যাক্স বাড়ানোর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন হয়। স্লোগান ছিল ‘রিড মাই লিপস: নো নিউ ট্যাক্স’। হাউসের সংখ্যালঘু হুইপ নিউট গিংরিচের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। ক্যাম্পেইনের কারণে মূলত প্রেসিসেন্টর এই দাবি প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পায় না। সপ্তাহের শেষ দিনে জারি করা শাটডাউনটি ভোগায় ২৮০০ জন শ্রমিককে। এতে রাজস্ব ক্ষতি ও কর্মীদের বেতন হারিয়েছিল ২.৫৭ মিলিয়ন ডলার।

 

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার দাবিতে দেশ অচল

ইস্যু : মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল

শুরু : ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

শেষ : চলমান

ক্ষতির আশংকা : ৬০০ কোটি ডলার।

প্রেসিডেন্ট :  ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একগুঁয়েমির জেরে সে দেশের সরকার ব্যবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা বা শাটডাউন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়ালের বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছেন। অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে চলমান শাটডাউন ২৫ দিনে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে। অচলাবস্থার কারণে সরকারের এক-চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার আট লাখের বেশি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। এর মধ্যে বহু কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দীর্ঘ অচলাবস্থা ছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে। সেবার সর্বোচ্চ ২১ দিন অচল ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ মাইল। দীর্ঘ এই দেয়ালের খরচ কত হবে আর তা কোথা থেকে আসবেÑ এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, অল্প খরচেই তিনি বিশাল দেয়াল নির্মাণ করবেন। তিনি দাবি করেন, এই দেয়াল তৈরিতে ব্যয় হবে ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কিন্তু এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা মনে করছেন, এই খরচ ট্রাম্পের হিসাবকে কয়েকগুণ ছাড়িয়ে যাবে। কেননা, মেক্সিকোর সঙ্গে ৬৫০ মাইলজুড়ে থাকা দুর্বল বেড়ার সীমান্ত নির্মাণেই খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। দেয়ালের জন্য বাজেটের অনুমোদন করতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের নিয়ে ট্রাম্প মিটিংয়ে বসেন। তার প্রস্তাবে উভয় পক্ষ একমত হতে না পারায় তিনি অচলাবস্থার ঘোষণা দেন। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৬২ শতাংশেরই সীমান্ত দেয়াল প্রশ্নে এই অচলাবস্থার প্রতি সমর্থন নেই। বিপরীতে সমর্থন রয়েছে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোটারের। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে সিনেটেও। ট্রাম্প যেমনটি আশঙ্কা করছেন, ঠিক সেভাবেই নিজ দলের অনেক সিনেটর এরই মধ্যে এই অচলাবস্থা নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা সীমান্ত দেয়াল প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখেই সরকার চালুর পক্ষে অবস্থান করছেন। অচলাবস্থা আরও দীর্ঘ হলে রিপাবলিকান সিনেটররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে বরাদ্দ না পেয়ে গো ধরে বসেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বরাদ্দ ছাড়া কোনো অর্থবাজেটে স্বাক্ষর করবেন না। অন্যদিকে বিরোধী ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের নেতারা ‘জনগণের করের টাকায়’ ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না দেওয়ার ‘প্রতিজ্ঞা’ করেছেন।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে যখন এই অবচলাবস্থার শুরু হয় তখন প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের দাবি মেনে নিয়ে একটি অর্থবাজেট অনুমোদন পেয়েছিল, যা উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে আটকে যায়। এখন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদের হাতে চলে যাওয়ায় আবার বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প।

কারারক্ষী, বিমানবন্দরকর্মী এবং এফবিআই এজেন্টসহ আরও অনেকগুলো সরকারি সংস্থার কর্মীরা নতুন বছরের প্রথম বেতন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দাবি জানাচ্ছেন, দেয়াল নয়, আমাদের বেতন চাই। এদিন অনেক সরকারি কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের খালি ‘পে স্লিপ’র ছবি পোস্ট করেছেন। ব্যস্ততম মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি পুরো টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি প্রধান লিন্ডসে গ্রাহাম অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও ট্রাম্পকে শাটডাউন তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের গ্রাহাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে থাকলে প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হবে। তবে, সব রিপাবলিকান সদস্যের কাছে এই কৌশল পছন্দনীয় নয়।’

দীর্ঘদিনের শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিমানবন্দরের কর্মী, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক, এফবিআই কর্মীরাও। এই শাটডাউন চলমান থাকলে জননিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান শাটডাউনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাটডাউনের কারণে মার্কিন জিওলোজিক্যাল সার্ভের আট হাজার কর্মীর মধ্যে মাত্র ৭৫ জন এখন কাজ করতে পারছেন। এছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে এই শাটডাউন মানবিক সহায়তা এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো এটি চলা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব হবে ভয়াবহ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তহবিলের সমর্থন অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ভিসা ও পাসপোর্ট ইস্যু অব্যাহত রাখবে। তবে শাটডাউনের প্রভাব শুরু হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত লাখ লাখ কর্মীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনকি বন্দরে কন্টেইনারগুলো অসহায় পড়ে থাকলে রফতানিকারক বা ব্যবসায়ীরা এই শাটডাউনের প্রভাব টের পেতে শুরু করবেন।

 

দ্য ওবামাকেয়ার শাটডাউন

মেয়াদকাল : ১৬ দিন

শুরু : ১ অক্টোবর ২০১৩

শেষ : ১৭ অক্টোবর ২০১৩

প্রেসিডেন্ট : বারাক ওবামা

 

এখনো অনেকের স্পষ্ট মনে আছে ২০১৩ সালে ওবামাকেয়ার শাটডাউনের কথা। এর সূচনা হয়েছিল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউস থেকে। জনস্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত ‘প্যাসেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা ওবামাকেয়ারের জন্য সরকারের কাছে একটি তফসিল প্রস্তাব করেন বারাক ওবামা। কিন্তু সিনেট বিলটি প্রত্যাখ্যান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারাক ওবামা শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। এই শাটডাউন ১৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে, শাটডাউনের আগেই ৮৫ ভাগ তহবিল বাধ্যতামূলক বাজেটের অংশ হিসাবে ওবামাকেয়ারে যোগ হয়ে গিয়েছিল।

 

ক্লিনটন ভার্সেস গিংরিচ

সময়কাল : ২১ দিন,

শুরু : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সাল, শেষ : ৬ জানুয়ারি ১৯৯৬ সাল

প্রেসিডেন্ট : বিল ক্লিনটন, শাটডাউন করেন নিউট গিংরিচ।

 

আমেরিকায় শুধু প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কয়েকবার দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির ঘটনা আছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে ঘটেছিল ভিন্ন ঘটনা। এই সময় হাউসের সংখ্যালঘু হুইপ নিউট গিংরিচের নেতৃত্বে দেশে টানা ২১ দিন অচলাবস্থা চলে। প্রেসিডেন্টকে মেডিকেয়ার, মেডিকেডসহ অন্যান্য সেবাদানমূলক প্রোগ্রামে অনুমোদন দেয়ার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় গিংরিচ সরকারকে বন্ধ করে দেবেন। শেষমেষ ঘটেও তাই। তিনি কেন সরকারকে অচল করার সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় গিংরিস বলেছিলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়েতজাক রবিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বিমান বাহিনীর এক সফরে ক্লিনটন তার সঙ্গে কথা বলেননি। তাকে বিমানের পিছনে থেকে প্রস্থান করার জন্য বাধ্য করা হয়। তারপর যখন গিংরিচ এই বিল উত্থাপন করে তখন ক্লিনটন ভেটো দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গিংরিচ অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। পরে তা আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থার রেকর্ড গড়ে।

 

কার্টারের আমলেই চারবার অচল

আমেরিকার প্রথম অচলাবস্থা

প্রথম অচলাবস্থা : ১৯৮০ সাল

ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর সংখ্যা : ১৬০০

আর্থিক ক্ষতি : ৭ লাখ মার্কিন ডলার

১৯৮০ সালের ১ মে ফেডারেল ট্রেড কমিশন ১ দিনের জন্য অচলাবস্থা জারি করেছিল। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল কংগ্রেস এজেন্সির জন্য একটি অনুমোদন বিল পাস করতে না পারা। ২৫ এপ্রিল সিভাইলটির মতামত প্রকাশের মাত্র কয়েকদির পরই এটি ঘটেছিল। বাজেট বিতর্ক নিয়ে এটিই আমেরিকার জন্য প্রথম অচলাবস্থা। শাটডাউন কার্যকর করার জন্য ফেডারেল মার্শালকে কিছু বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়। এ সময় ১ হাজার ৬০০ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হন। একদিনের শাটডাউন কার্যকর করতে ৭ লাখ ডলার খরচ হয়।

 

কার্টার ভার্সেস কংগ্রেস

সময়কাল : ১৮ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮

শেষ : ১৮ অক্টোবর ১৯৭৮

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

১৯৭৮ সালে কংগ্রেস একটি পারমাণুচালিত বিমানের জন্য তহবিলসহ একটি প্রতিরক্ষা বিল পাস করে। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সেই বিলকে ফেডারেল তহবিলের অপচয় হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। তিনি বিলটি ভেটো করে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জনসাধারণের প্রকল্প অনুমোদন বিলের সঙ্গেও বিলগুেেলাও হতাশাব্যঞ্জক বলে বিবেচনা করেছিলেন। এছাড়া গর্ভপাতের জন্য ঘোষিত তহবিলও সে সময় সৃষ্টি হওয়া আরেকটি বিতর্কের কারণ ছিল। প্রেসিডেন্ট এই খরচকে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে দেখেছিলেন। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ১৯৭৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অচলাবস্থা সৃষ্টি করেন। তার দাবি ছিল, এটি নতুন প্রতিরক্ষা বিলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

 

দ্য অ্যাবরসন শাটডাউন

সময়কাল : ১২ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭

শেষ : ১৩ অক্টোবর, ১৯৭৭

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

যদিও সে সময় সিনেট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ছিল ডেমোক্র্যাটদের। তবুও ১২ দিনের সরকার অচল মেনে নিতে হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ পর্যন্ত চলে এই অচলাবস্থা।  মাদকাসক্ত ব্যতীত, গর্ভপাতের জন্য মেডিকেড ডলার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হাউস জোর দিয়েছিল। অপরদিকে সিনেট ধর্ষণ ও নিপীড়নের ক্ষেত্রে ভাতা বরাদ্দ করতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, হাউস জিতে যায় এবং মেডিকেড নিষেধাজ্ঞা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। পরবর্তী মেডিকেডের মাধ্যমে গর্ভপাতের জন্য তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে হাউস এবং সিনেটের মধ্যে এই চুক্তি হয়। অবশেষে, ৯ ডিসেম্বরে একটি চুক্তি প্রবর্তিত হয়েছিল, যেখানে মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও অনাচারের বিষয়ে মায়েরা জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠার জন্য মেডিকেডকে অর্থ প্রদানের অনুমতি দেয়।

 

কংগ্রেসের উচ্চ বেতন দাবি ও গর্ভপাত কমানো

সময়কাল : ১১ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯

শেষ : ১২ অক্টোবর ১৯৭৯

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের সময়ে গর্ভপাতের তহবিলের ওপর একটি আইন উত্থাপন করা হয়। এই আইনে দেশে গর্ভপাতের জন্য রাখা বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। তবে যেখানে মায়েদের জীবন বিপন্ন ও অসহায় নারীর ক্ষেত্রে আগের মতোই সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখার কথা সেই আইনে ছিল। এছাড়া কংগ্রেসিয়াল এবং সিনিয়র সিভিল সার্ভিস হোল্ডারদের বেতন বাড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সিনেট এই দুই প্রস্তাবেরই বিরোধিতা করে। ফলে জিমি কার্টার অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। এটি ১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অবশেষে হাউস তার বেতন বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু আপসের ক্ষেত্র ধর্ষণ এবং বর্বর ক্ষেত্রে গর্ভপাত তহবিল রাখতে হয় আগের মতোই।

 

আমেরিকায় একদিনের যত অচলাবস্থা

আমেরিকায় একদিনের অচলাবস্থা হয় মোট ৪টি। জিমি কার্টারের আমলে ১৯৮০ সালে ১ বার। রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে ১৯৮১, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে তিনটি একদিনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

সাবেক যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময়ে বেশ কয়েকবার সরকারি ধর্মঘটের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এই ধর্মঘটের সময়সীমা দীর্ঘ হওয়ার রেকর্ড না গড়লেও তার সময়েই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বারবার ধর্মঘট হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। দেশে বিভিন্ন সময়ে রোনাল্ড রিগ্যানের বিল পাস করা নিয়ে এই সংকট দেখা দেয়। জনগণের পক্ষে আনীত বিলের পক্ষে প্রেসিডেন্টের অবস্থান থাকলেও সিনেট তাতে সায় দিচ্ছিল না। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

১৯৮১, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৬ সালে কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ধর্মঘটের ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে প্রথম অচলাবস্থা দেখা দেয় ১৯৮১ সালের ২৩ নভেম্বর। প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা ধর্মঘটের ডাক দেন। সরকারি অর্থছাড় বিলে রিগ্যানের সই করা এবং না করা নিয়ে সংকটের দেখা দেয়। রিগ্যান চাচ্ছিলেন, ব্যয় বিলে কাটছাঁট করতে। কিন্তু তা জনগণের পক্ষে মেনে নেয়া হচ্ছিল না। তখন প্রেসিডেন্ট নিজের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হন। এতে দেশে অসন্তোষের দেখা দেয়। এই বিলের প্রতি প্রেসিডেন্টের সম্মতি অর্জনে সে দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মঘট করেন। ধর্মঘটে ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ এই বিলে হাত দিতে হয়। যদিও সরকারি বহু প্রতিষ্ঠান এ সময় খোলা ছিল।

দ্বিতীয় ধর্মঘট দেখা দেয় ১৯৮৪ সালের ৪ অক্টোবর। একবেলা কাজ বন্ধ রাখেন প্রায় ৫ লাখ সরকারি কর্মকর্ত ও কর্মচারী। এবারের বিলটি ছিল নাগরিক অধিকার এবং কয়েকটি পানি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে। রিগ্যান এই বিলগুলো নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখোমুখি সংকটে জড়িয়ে পড়েন। এই সংকট কাটাতে পরিশোধ করতে হয়েছিল প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তৃতীয় ধর্মঘটের দেখা দেয় ১৯৮৬ সালের ১৭ অক্টোবর। এবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একবেলা কাজ বন্ধ রাখেন। ৫ লাখ কর্মচারী এই ধর্মঘটে নেমেছিলেন। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া জিমি কার্টারের আমলে ১৯৮০ সালের ১ মে একদিনের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম