শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ আপডেট:

যুক্তরাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট

প্রিন্ট ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত রাষ্ট্রেও হয় সরকারি ধর্মঘট। সে দেশের ইতিহাসে চলমান ধর্মঘট রেকর্ড গড়েছে। এই অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। এই পরিস্থিতিতে পড়ে দেশের সরকারি চাকরিজীবী থেকে যেকোনো পেশাজীবীর মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রেসিডেন্টকে নানাভাবে সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী উত্থাপিত কোনো বিল অনুমোদনের পক্ষে সিনেটের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষের সিংহভাগের সমর্থন দরকার হয়। কিন্তু এই অনুমোদনে সবার সম্মতি না থাকায় বেঁকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের উত্থাপিত বিল অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত দেশের অচলবস্থা জারি করেছেন। আমেরিকার ইতিহাসে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র অচল করার এমন ঘটনা আরও রয়েছে। বিগত বছরে আমেরিকায় সৃষ্টি হওয়া নানা মেয়াদের অচলাবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন - তানিয়া তুষ্টি

 

ট্যাক্স বাড়ানোর দাবি

মেয়াদকাল : ২ দিন,

সময়কাল : ৬-৮ অক্টোবর ১৯৯০ সাল

প্রেসিডেন্ট :  জর্জ ডব্লুউ বুশ

১৯৯০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার দুদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। এটি ৬ অক্টোবর সপ্তাহের শেষের দিন শনিবার কলম্বাস ডে’তে জারি করা হয়, চলে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত। শাটডাউনটি করার কারণ ছিল ট্যাক্স বাড়ানো কেন্দ্র করে। ১৯৯১ সালের আগত বাজেটে তিনি ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়াতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট বুশ চেয়েছিলেন ঘাটতি বাজেট পূরণে ট্যাক্ট বাড়াতে। কিন্তু এই ট্যাক্স বাড়ানোর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন হয়। স্লোগান ছিল ‘রিড মাই লিপস: নো নিউ ট্যাক্স’। হাউসের সংখ্যালঘু হুইপ নিউট গিংরিচের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। ক্যাম্পেইনের কারণে মূলত প্রেসিসেন্টর এই দাবি প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পায় না। সপ্তাহের শেষ দিনে জারি করা শাটডাউনটি ভোগায় ২৮০০ জন শ্রমিককে। এতে রাজস্ব ক্ষতি ও কর্মীদের বেতন হারিয়েছিল ২.৫৭ মিলিয়ন ডলার।

 

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার দাবিতে দেশ অচল

ইস্যু : মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল

শুরু : ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

শেষ : চলমান

ক্ষতির আশংকা : ৬০০ কোটি ডলার।

প্রেসিডেন্ট :  ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একগুঁয়েমির জেরে সে দেশের সরকার ব্যবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা বা শাটডাউন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়ালের বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছেন। অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে চলমান শাটডাউন ২৫ দিনে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে। অচলাবস্থার কারণে সরকারের এক-চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার আট লাখের বেশি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। এর মধ্যে বহু কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দীর্ঘ অচলাবস্থা ছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে। সেবার সর্বোচ্চ ২১ দিন অচল ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ মাইল। দীর্ঘ এই দেয়ালের খরচ কত হবে আর তা কোথা থেকে আসবেÑ এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, অল্প খরচেই তিনি বিশাল দেয়াল নির্মাণ করবেন। তিনি দাবি করেন, এই দেয়াল তৈরিতে ব্যয় হবে ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কিন্তু এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা মনে করছেন, এই খরচ ট্রাম্পের হিসাবকে কয়েকগুণ ছাড়িয়ে যাবে। কেননা, মেক্সিকোর সঙ্গে ৬৫০ মাইলজুড়ে থাকা দুর্বল বেড়ার সীমান্ত নির্মাণেই খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। দেয়ালের জন্য বাজেটের অনুমোদন করতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের নিয়ে ট্রাম্প মিটিংয়ে বসেন। তার প্রস্তাবে উভয় পক্ষ একমত হতে না পারায় তিনি অচলাবস্থার ঘোষণা দেন। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৬২ শতাংশেরই সীমান্ত দেয়াল প্রশ্নে এই অচলাবস্থার প্রতি সমর্থন নেই। বিপরীতে সমর্থন রয়েছে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোটারের। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে সিনেটেও। ট্রাম্প যেমনটি আশঙ্কা করছেন, ঠিক সেভাবেই নিজ দলের অনেক সিনেটর এরই মধ্যে এই অচলাবস্থা নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা সীমান্ত দেয়াল প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখেই সরকার চালুর পক্ষে অবস্থান করছেন। অচলাবস্থা আরও দীর্ঘ হলে রিপাবলিকান সিনেটররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে বরাদ্দ না পেয়ে গো ধরে বসেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বরাদ্দ ছাড়া কোনো অর্থবাজেটে স্বাক্ষর করবেন না। অন্যদিকে বিরোধী ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের নেতারা ‘জনগণের করের টাকায়’ ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না দেওয়ার ‘প্রতিজ্ঞা’ করেছেন।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে যখন এই অবচলাবস্থার শুরু হয় তখন প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের দাবি মেনে নিয়ে একটি অর্থবাজেট অনুমোদন পেয়েছিল, যা উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে আটকে যায়। এখন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদের হাতে চলে যাওয়ায় আবার বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প।

কারারক্ষী, বিমানবন্দরকর্মী এবং এফবিআই এজেন্টসহ আরও অনেকগুলো সরকারি সংস্থার কর্মীরা নতুন বছরের প্রথম বেতন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দাবি জানাচ্ছেন, দেয়াল নয়, আমাদের বেতন চাই। এদিন অনেক সরকারি কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের খালি ‘পে স্লিপ’র ছবি পোস্ট করেছেন। ব্যস্ততম মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি পুরো টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি প্রধান লিন্ডসে গ্রাহাম অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও ট্রাম্পকে শাটডাউন তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের গ্রাহাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে থাকলে প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হবে। তবে, সব রিপাবলিকান সদস্যের কাছে এই কৌশল পছন্দনীয় নয়।’

দীর্ঘদিনের শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিমানবন্দরের কর্মী, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক, এফবিআই কর্মীরাও। এই শাটডাউন চলমান থাকলে জননিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান শাটডাউনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাটডাউনের কারণে মার্কিন জিওলোজিক্যাল সার্ভের আট হাজার কর্মীর মধ্যে মাত্র ৭৫ জন এখন কাজ করতে পারছেন। এছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে এই শাটডাউন মানবিক সহায়তা এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হলো এটি চলা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব হবে ভয়াবহ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তহবিলের সমর্থন অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ভিসা ও পাসপোর্ট ইস্যু অব্যাহত রাখবে। তবে শাটডাউনের প্রভাব শুরু হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত লাখ লাখ কর্মীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনকি বন্দরে কন্টেইনারগুলো অসহায় পড়ে থাকলে রফতানিকারক বা ব্যবসায়ীরা এই শাটডাউনের প্রভাব টের পেতে শুরু করবেন।

 

দ্য ওবামাকেয়ার শাটডাউন

মেয়াদকাল : ১৬ দিন

শুরু : ১ অক্টোবর ২০১৩

শেষ : ১৭ অক্টোবর ২০১৩

প্রেসিডেন্ট : বারাক ওবামা

 

এখনো অনেকের স্পষ্ট মনে আছে ২০১৩ সালে ওবামাকেয়ার শাটডাউনের কথা। এর সূচনা হয়েছিল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউস থেকে। জনস্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত ‘প্যাসেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা ওবামাকেয়ারের জন্য সরকারের কাছে একটি তফসিল প্রস্তাব করেন বারাক ওবামা। কিন্তু সিনেট বিলটি প্রত্যাখ্যান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারাক ওবামা শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। এই শাটডাউন ১৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে, শাটডাউনের আগেই ৮৫ ভাগ তহবিল বাধ্যতামূলক বাজেটের অংশ হিসাবে ওবামাকেয়ারে যোগ হয়ে গিয়েছিল।

 

ক্লিনটন ভার্সেস গিংরিচ

সময়কাল : ২১ দিন,

শুরু : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সাল, শেষ : ৬ জানুয়ারি ১৯৯৬ সাল

প্রেসিডেন্ট : বিল ক্লিনটন, শাটডাউন করেন নিউট গিংরিচ।

 

আমেরিকায় শুধু প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কয়েকবার দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির ঘটনা আছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে ঘটেছিল ভিন্ন ঘটনা। এই সময় হাউসের সংখ্যালঘু হুইপ নিউট গিংরিচের নেতৃত্বে দেশে টানা ২১ দিন অচলাবস্থা চলে। প্রেসিডেন্টকে মেডিকেয়ার, মেডিকেডসহ অন্যান্য সেবাদানমূলক প্রোগ্রামে অনুমোদন দেয়ার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় গিংরিচ সরকারকে বন্ধ করে দেবেন। শেষমেষ ঘটেও তাই। তিনি কেন সরকারকে অচল করার সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় গিংরিস বলেছিলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়েতজাক রবিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বিমান বাহিনীর এক সফরে ক্লিনটন তার সঙ্গে কথা বলেননি। তাকে বিমানের পিছনে থেকে প্রস্থান করার জন্য বাধ্য করা হয়। তারপর যখন গিংরিচ এই বিল উত্থাপন করে তখন ক্লিনটন ভেটো দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গিংরিচ অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। পরে তা আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থার রেকর্ড গড়ে।

 

কার্টারের আমলেই চারবার অচল

আমেরিকার প্রথম অচলাবস্থা

প্রথম অচলাবস্থা : ১৯৮০ সাল

ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর সংখ্যা : ১৬০০

আর্থিক ক্ষতি : ৭ লাখ মার্কিন ডলার

১৯৮০ সালের ১ মে ফেডারেল ট্রেড কমিশন ১ দিনের জন্য অচলাবস্থা জারি করেছিল। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল কংগ্রেস এজেন্সির জন্য একটি অনুমোদন বিল পাস করতে না পারা। ২৫ এপ্রিল সিভাইলটির মতামত প্রকাশের মাত্র কয়েকদির পরই এটি ঘটেছিল। বাজেট বিতর্ক নিয়ে এটিই আমেরিকার জন্য প্রথম অচলাবস্থা। শাটডাউন কার্যকর করার জন্য ফেডারেল মার্শালকে কিছু বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়। এ সময় ১ হাজার ৬০০ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হন। একদিনের শাটডাউন কার্যকর করতে ৭ লাখ ডলার খরচ হয়।

 

কার্টার ভার্সেস কংগ্রেস

সময়কাল : ১৮ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮

শেষ : ১৮ অক্টোবর ১৯৭৮

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

১৯৭৮ সালে কংগ্রেস একটি পারমাণুচালিত বিমানের জন্য তহবিলসহ একটি প্রতিরক্ষা বিল পাস করে। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সেই বিলকে ফেডারেল তহবিলের অপচয় হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। তিনি বিলটি ভেটো করে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জনসাধারণের প্রকল্প অনুমোদন বিলের সঙ্গেও বিলগুেেলাও হতাশাব্যঞ্জক বলে বিবেচনা করেছিলেন। এছাড়া গর্ভপাতের জন্য ঘোষিত তহবিলও সে সময় সৃষ্টি হওয়া আরেকটি বিতর্কের কারণ ছিল। প্রেসিডেন্ট এই খরচকে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে দেখেছিলেন। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ১৯৭৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অচলাবস্থা সৃষ্টি করেন। তার দাবি ছিল, এটি নতুন প্রতিরক্ষা বিলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

 

দ্য অ্যাবরসন শাটডাউন

সময়কাল : ১২ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭

শেষ : ১৩ অক্টোবর, ১৯৭৭

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

যদিও সে সময় সিনেট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ছিল ডেমোক্র্যাটদের। তবুও ১২ দিনের সরকার অচল মেনে নিতে হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ পর্যন্ত চলে এই অচলাবস্থা।  মাদকাসক্ত ব্যতীত, গর্ভপাতের জন্য মেডিকেড ডলার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হাউস জোর দিয়েছিল। অপরদিকে সিনেট ধর্ষণ ও নিপীড়নের ক্ষেত্রে ভাতা বরাদ্দ করতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, হাউস জিতে যায় এবং মেডিকেড নিষেধাজ্ঞা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। পরবর্তী মেডিকেডের মাধ্যমে গর্ভপাতের জন্য তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে হাউস এবং সিনেটের মধ্যে এই চুক্তি হয়। অবশেষে, ৯ ডিসেম্বরে একটি চুক্তি প্রবর্তিত হয়েছিল, যেখানে মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও অনাচারের বিষয়ে মায়েরা জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠার জন্য মেডিকেডকে অর্থ প্রদানের অনুমতি দেয়।

 

কংগ্রেসের উচ্চ বেতন দাবি ও গর্ভপাত কমানো

সময়কাল : ১১ দিন

শুরু : ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯

শেষ : ১২ অক্টোবর ১৯৭৯

প্রেসিডেন্ট : জিমি কার্টার

রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের সময়ে গর্ভপাতের তহবিলের ওপর একটি আইন উত্থাপন করা হয়। এই আইনে দেশে গর্ভপাতের জন্য রাখা বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। তবে যেখানে মায়েদের জীবন বিপন্ন ও অসহায় নারীর ক্ষেত্রে আগের মতোই সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখার কথা সেই আইনে ছিল। এছাড়া কংগ্রেসিয়াল এবং সিনিয়র সিভিল সার্ভিস হোল্ডারদের বেতন বাড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সিনেট এই দুই প্রস্তাবেরই বিরোধিতা করে। ফলে জিমি কার্টার অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। এটি ১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অবশেষে হাউস তার বেতন বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু আপসের ক্ষেত্র ধর্ষণ এবং বর্বর ক্ষেত্রে গর্ভপাত তহবিল রাখতে হয় আগের মতোই।

 

আমেরিকায় একদিনের যত অচলাবস্থা

আমেরিকায় একদিনের অচলাবস্থা হয় মোট ৪টি। জিমি কার্টারের আমলে ১৯৮০ সালে ১ বার। রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে ১৯৮১, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে তিনটি একদিনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

সাবেক যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময়ে বেশ কয়েকবার সরকারি ধর্মঘটের জন্য অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এই ধর্মঘটের সময়সীমা দীর্ঘ হওয়ার রেকর্ড না গড়লেও তার সময়েই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বারবার ধর্মঘট হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। দেশে বিভিন্ন সময়ে রোনাল্ড রিগ্যানের বিল পাস করা নিয়ে এই সংকট দেখা দেয়। জনগণের পক্ষে আনীত বিলের পক্ষে প্রেসিডেন্টের অবস্থান থাকলেও সিনেট তাতে সায় দিচ্ছিল না। এতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

১৯৮১, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৬ সালে কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ধর্মঘটের ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে প্রথম অচলাবস্থা দেখা দেয় ১৯৮১ সালের ২৩ নভেম্বর। প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা ধর্মঘটের ডাক দেন। সরকারি অর্থছাড় বিলে রিগ্যানের সই করা এবং না করা নিয়ে সংকটের দেখা দেয়। রিগ্যান চাচ্ছিলেন, ব্যয় বিলে কাটছাঁট করতে। কিন্তু তা জনগণের পক্ষে মেনে নেয়া হচ্ছিল না। তখন প্রেসিডেন্ট নিজের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হন। এতে দেশে অসন্তোষের দেখা দেয়। এই বিলের প্রতি প্রেসিডেন্টের সম্মতি অর্জনে সে দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মঘট করেন। ধর্মঘটে ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ এই বিলে হাত দিতে হয়। যদিও সরকারি বহু প্রতিষ্ঠান এ সময় খোলা ছিল।

দ্বিতীয় ধর্মঘট দেখা দেয় ১৯৮৪ সালের ৪ অক্টোবর। একবেলা কাজ বন্ধ রাখেন প্রায় ৫ লাখ সরকারি কর্মকর্ত ও কর্মচারী। এবারের বিলটি ছিল নাগরিক অধিকার এবং কয়েকটি পানি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে। রিগ্যান এই বিলগুলো নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখোমুখি সংকটে জড়িয়ে পড়েন। এই সংকট কাটাতে পরিশোধ করতে হয়েছিল প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তৃতীয় ধর্মঘটের দেখা দেয় ১৯৮৬ সালের ১৭ অক্টোবর। এবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একবেলা কাজ বন্ধ রাখেন। ৫ লাখ কর্মচারী এই ধর্মঘটে নেমেছিলেন। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া জিমি কার্টারের আমলে ১৯৮০ সালের ১ মে একদিনের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
সর্বশেষ খবর
আমেরিকার আটলান্টিক সিটিতে কুলাউড়ার সোহেলের জয়
আমেরিকার আটলান্টিক সিটিতে কুলাউড়ার সোহেলের জয়

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ ‘লজ্জাজনক’, অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ ‘লজ্জাজনক’, অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘ঐকমত্য হওয়া ইস্যুগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, বাকিগুলো জনগণ ঠিক করবে’
‘ঐকমত্য হওয়া ইস্যুগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, বাকিগুলো জনগণ ঠিক করবে’

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

গ্রামীণফোনকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকসের
গ্রামীণফোনকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় বসুন্ধরা স্ট্রাইকসের

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল: সেলিমুজ্জামান
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল: সেলিমুজ্জামান

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট : প্রেস সচিব
সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট : প্রেস সচিব

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মুশফিকও বললেন, যৌন হয়রানির প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’
মুশফিকও বললেন, যৌন হয়রানির প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীতে তুলার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
টঙ্গীতে তুলার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’
‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল
কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত
ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’
‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার
মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ
এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম