বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিনের সর্বশেষ সুখবর

আবদুল কাদের

ভ্যাকসিনের সর্বশেষ সুখবর

রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’

ভ্যাকসিনের প্রতীক্ষায় গোটা বিশ্ব। গবেষণা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তবে প্রথম সুখবরটা দিল রাশিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে মানব শরীরে করোনার ভ্যাকসিনের সফল প্রয়োগে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। সেই সাফল্যের পথ ধরে সব পরিকল্পনামাফিক গত মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি হলো বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট খোদ ভøাদিমির পুতিন ঘোষণা করলেন বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বে প্রথমবার কোনো করোনা ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রি হলো। আমি জানি, এতে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হবে। আর রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পুটনিক-৫’। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছিল, এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বে সাড়া ফেলবে। উপকার হবে সাধারণ মানুষের। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই ভ্যাকসিন? এ বিষয়ে গামালায়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গ বলেন, ‘এটি মানব শরীরে কোনো ক্ষতি করবে না।’ এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে কিছু জড় বা নি®প্রাণ পার্টিকলস তৈরি করবে। শরীরের অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এগুলো তৈরি হবে। সেখান থেকেই তৈরি হবে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার মতো অ্যান্টি বডি। এখন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গের বক্তব্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অনেকের জ্বর আসতে পারে। কারণ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যদিও প্যারাসিটামল খেয়ে খুবই সহজে তার থেকে মুক্তি মিলবে। গতকাল রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালায়া ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা। অক্টোবর মাস থেকে জনগণকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়।

 

১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার পেল রাশিয়া

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ঘটে গেছে রুশ বিপ্লব। করোনার এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বপ্রথম করোনা ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে এসেছে রাশিয়া। রুশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের পাশাপাশি উৎপাদনও হবে। করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রি হওয়ার পর ‘স্পুটনিক-৫’ নিয়ে বিশ্বের ২০টি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সাফল্য ঘোষণার পরেই রাশিয়ার দাবি, বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশ ‘স্পুটনিক-৫’ ভ্যাকসিন চেয়ে রেখেছে। আর তার পরিমাণ ১ বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি ডোজ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তার মেয়েকে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি সুস্থ আছেন। রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘ইতিমধ্যে বিশ্বের ২০টি দেশ রাশিয়ার কাছে ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন সরবরাহের আগ্রহ দেখিয়েছে। এমনকি পাঁচটি দেশের সঙ্গে রাশিয়ার অংশীদারিত্বের কথা হয়েছে। রাশিয়া আরও জানিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, ফিলিপিনস এবং ভারতে। এরপর শুরু হবে উৎপাদন। দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ব্রাজিল, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং কিউবায় উৎপাদন হবে বলে জানা গেছে রুশ সরকারের বিবৃতিতে। রাশিয়ার লক্ষ্য, ২০২০ সালের মধ্যেই ২০ কোটি ডোজ উৎপাদন। এর মধ্যে শুধু রাশিয়ার জন্য ৩ কোটি ডোজ। রাশিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। যদিও ভøাদিমির পুতিন ভ্যাকসিনটিকে নিরাপদ দাবি করলেও এই ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো নানা মহলে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। অনেকেই মনে করছেন প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। কারণ, ভ্যাকসিনের প্রথম স্তরের ট্রায়ালের পরেই রাশিয়া দাবি করে এটি সার্বিকভাবে প্রয়োগের জন্য তৈরি। যেখানে অক্সফোর্ড, মোডার্না এখনো তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে। 

 

সর্বশেষ পরীক্ষার ফল হাতে পেলেই বাজারে আসবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

কবে আসবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন? বিশ্ববাসী তাকিয়ে বিজ্ঞানী-গবেষকদের দিকে। রাশিয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেও সবাই তাকিয়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে। আর হবেই না কেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দিক থেকেই নয়, ফলাফলেও ব্যতিক্রমী অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করা করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাদের তৈরি ভ্যাকসিন, এমনটাই দাবি করলেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান সারা গিলবার্ট। এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর মানব শরীরে কভিড-১৯ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া উৎপন্ন হয়েছে শ্বেত রক্তকণিকা, যা কভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াই করে। এই ভ্যাকসিন প্রাথমিকভাবে সফল বলছে ল্যানসেট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ভ্যাকসিনটির নাম ChAdOx1 n CoV-19। প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি ‘নিরাপদ’ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ‘উজ্জীবিত’ করতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। গত এপ্রিলে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর শুরু হওয়া ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে তারা। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ব্রিটেনে ১০ হাজার রোগী জোগাড় প্রায় শেষের পথে। ব্রাজিলেও দ্রুত এগিয়ে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অক্সফোর্ডের ট্রায়াল মাত্র শুরু হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে আমেরিকায়ও আরেকটি ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্টের শেষেই গবেষকরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবেন, ভ্যাকসিনটিতে কতটা কাজ হবে। বিখ্যাত আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, যারা এই ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ গ্রহণ করেছিলেন তাদের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ নজিরবিহীন গতিতে এগিয়ে চলছে। যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হচ্ছে, তার ভিতরে কভিড-১৯ স্পাইক প্রোটিনের জিনগত বৈশিষ্ট্য ঢুকিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর অর্থ হলো-- ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তখন শরীরের ভিতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনাকে পরাস্ত করার কৌশল শিখতে পারে। করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে এখনো বেশির ভাগ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবডিতে। ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের ১৪ দিন পর টি-সেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে অ্যান্টিবডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ২৮ দিন পর। অক্সফোর্ড রিসার্চ গ্রুপের সদস্য অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, যে ফল প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে আমরা আসলেই সন্তুষ্ট। আমরা নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল; দুটিই দেখতে পেয়েছি। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র এক ডোজ নেওয়ার পর প্রায় ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। মাত্র ১০ জনকে দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের শরীরে নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হয়েছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারক দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই ভ্যাকসিন। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছরখানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের। তবে সবার আগে প্রতিষেধকের সুরক্ষার বিষয়টিকেই জোর দিয়ে দেখছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে কোনো রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তারা। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এক বছর পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে বলে জানান অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকল সারিওট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এর ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ফল জানা যাবে। এর মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবর মাসেই ভ্যাকসিনটির সরবরাহ শুরু করা যাবে।

 

চীনের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ফলাফল শিগগিরই

খুব শিগগিরই শেষ হচ্ছে চীনের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বর্তমানে বাজারজাতকরণের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এটি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক- সাইনোফার্মের গবেষণাধীন করোনাভাইরাস প্রতিষেধক চলতি বছরের শেষ দিকেই বাজারে পাওয়া যাবে। দেশটির সরকারি গণমাধ্যম সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। চীনের জাতীয় জৈব-প্রযুক্তি গ্রুপ-সিএনবিজির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস নতুন করোনাভাইরাস প্রতিষেধকটি যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে। ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা নিয়ে তার বক্তব্য, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এর প্রভাব ছিল আদর্শ। পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও দেহে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।’ চীনা বায়ো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক বলেছে, তাদের উদ্ভাবিত করোনাভ্যাকসিন কাজ করবে এ ব্যাপারে তারা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। ‘করোনাভ্যাক’ নামক এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ফলাফল কোম্পানিটি অ্যাকাডেমিক জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশ করেছিল। ফলাফলে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বানরকে রক্ষা করেছিল। সিনোভ্যাকের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনটির স্টেজ-২ ট্রায়ালে সফলতার দাবি করেন। চীনের বেইজিংভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী এই কোম্পানি জানায়, চীনে ভ্যাকসিনটির দুই দফা পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম ও দ্বিতীয়, উভয় ধাপের পরীক্ষাতেই ইতিবাচক ফল এসেছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১৪ দিনের মাথায় নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, করোনাভ্যাক নামে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে চীন এবং বাংলাদেশও তাতে সম্মতি জানিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ব্রাজিলে করারও অনুমতি পেয়েছে সিনোভ্যাক। চীনা করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালে অনেক লোকের প্রয়োজন। তাই তারা জনবহুল দেশকে বেছে নিয়েছে। এখন ব্রাজিলে এর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে ছয় হাজার ৭০০ জনের ওপর।

ব্রাজিলের হেলথ রিসার্চ সেন্টার বুটানটানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সাও পাওলোতে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে সিনোভ্যাক। বুটানটান ইনস্টিটিউটের প্রধান ডিমাস কোভাস জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দেশের ছয়টি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সাও পাওলোর স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দুটি ডোজে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হবে। অন্তত তিন মাস চলবে ট্রায়াল। তারপর মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রভাব কী হলো সেটা সামনে আনা হবে। কোম্পানিটি ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনে সক্ষম প্লান্ট নির্মাণের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।

 

ক্যানসিনো বায়োলজিকসের ভ্যাকসিনটি বেশ সম্ভাবনাময়

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট শুরু হওয়ার সাত মাস পর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দৌড় এখনো চলমান। সেই দৌড়ে এগিয়ে থাকা ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটিই চীনের। দেশটির ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনকরপোরেশন ও সেনাবাহিনীর গবেষণা ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিনটি বেশ সম্ভাবনাময় বলে দাবি করা হয়েছে। চীনের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর জন্য চারটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশ চারটি হলোÑ রাশিয়া, ব্রাজিল, চিলি এবং সৌদি আরব। তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্যানসিনো বায়োলজিকস ৪০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করার কাজও সম্পন্ন করেছে। চীনে প্রথমবারের মতো গত মার্চে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য যে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় সেটি ক্যানসিনোর তৈরি এড৫-এনকভ।

ক্যানসিনোর তৈরি ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৫০৮ জন মানুষের দেহে প্রয়োগ করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের পরীক্ষার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং সুরক্ষার দিক থেকে আরও বেশি ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এর পরই তারা চীনে একটি কারখানা তৈরি শুরু করে। আগামী বছরের শুরু থেকে প্রতি বছর এর মাধ্যমে ১০০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব। চীনা সামরিক বাহিনীর গবেষক দল এই ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত। ইতিমধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীতেও সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

সুখবর রয়েছে জার্মানির ভ্যাকসিনে

করোনাভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশার কথা শোনাল জার্মানি। জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে দিতেই তা সফল ফলাফল দিতে শুরু করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন তাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং এটি রক্তে শ্বেতকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জার্মানির সংস্থার ভ্যাকসিনটি নিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর ২৮ দিনের মধ্যে রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। যা সচরাচর করোনা রোগীদের মধ্যে দেখা যায় না। জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ফাইজার যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি, ‘এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএনটি-১৬২। জার্মানি দাবি করে, সম্পূর্ণ ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে ড্রাগের অনুমোদন দেওয়া হয়। জার্মানির তৈরি ভ্যাকসিনটি নিয়ে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে চূড়ান্তভাবে করোনার একটি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য কমপক্ষে আরও এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

 

পিছিয়ে নেই ভারতও

ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দেশটির মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে কো-ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন গবেষকরা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানায়, মোট ছয়টি ভারতীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যুক্ত। এর মধ্যে কো-ভ্যাকসিন আর জাইকোভ-ডি অনেকটাই এগিয়ে। ১১টি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে হৈচৈ ফেলে দেয় বায়োটেক। কো-ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষার সবুজ সংকেত দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়া। ভারত বায়োটেক চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের পথে বেশ কয়েকটি ধাপ এগিয়ে যায় দ্রুত। ৪০ দিনের গবেষণায় কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের (কো-ভ্যাকসিন) প্রথম ভার্সনটি তৈরি করেন তারা। সহযোগিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ইন্ডিয়ান ড্রাগ কন্ট্রোল রিসার্চ। পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিও যোগ দেয়। এরপর শুরু হয় প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্ব। প্রাণীদেহের ওপর কো-ভ্যাকসিনের সফল পরীক্ষার পর মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পায় বায়োটেক। প্রক্রিয়াটি যদিও দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের ওপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এদিকে ভারতের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে আইসিএমআরের মহাসচিব বলরাম ভার্গবের লেখা একটি চিঠি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে হায়দরাবাদভিত্তিক বায়ো-থেরাপিউটিকস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ভারত বায়োটেক’, যারা এ সপ্তাহে ভ্যাকাসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইসিএমআরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ওই চিঠিটি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার উদ্দেশে লেখা হয়েছিল এবং সেটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

 

ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও যারা এগিয়ে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অন্তত ১০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনকে মানবদেহে প্রয়োগ করার কাজ চলছে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী খুব শিগগিরই অন্তত যে কোনো কোম্পানির একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বাজারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি এক মাস আগেই বলেছিলেন, আমি আশাবাদী যে খুব দ্রুত বিশ্ব একটি ভ্যাকসিন পাবে। যা মহামারীর অবসান ঘটাবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক। চীনের ছয়টি ভ্যাকসিন নিয়ে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। করোনায় আশাব্যঞ্জক ভ্যাকসিনের প্রথম সারিতে রয়েছে সিনোভ্যাক। চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক এই ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় সফল হয়েছে। চীনের পর ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে এই ভ্যাকসিনের। অন্যদিকে জার্মান কোম্পানি কিউরভ্যাক বলছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম ফলাফল এ বছরের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে জানা যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি দুটি ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত গ্লাক্সোস্মিথকাইন (জিএসকে) তাদের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্যায়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্না। মেরিল্যান্ডের নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় তারা আশাবাদী ভ্যাকসিনটি কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে ভ্যাকসিন তৈরি ও বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইসরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার দাবি করেছে, তারা ইঁদুরের ওপর করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের সফল পরীক্ষা করেছে। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের শেষ নাগাদ বা তার আগেই ভ্যাকসিন তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার আশা করছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চালিয়েছে। গত ১৫ জুন তারা ভ্যাকসিনটি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য মর্নিংসাইড ভেঞ্চারের সঙ্গে চুক্তি করে। এ বছরের শেষ দিকে এটি প্রস্তুত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এদিকে পি-্রক্লিনিক্যাল পর্যায়ে রয়েছে এমন করোনা ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্ক। ভাক্সার্ট কোম্পানিও তাদের একটি প্রি-ক্লিনিক্যাল ভ্যাকসিনের কথা জানিয়েছে। ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। আগস্টের ১৫ তারিখে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত মানবশরীরে এটি পরীক্ষা করা হবে। সফল হলে ২০২১ সালে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে। সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের গবেষকদের একটি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি রোগ নিরাময়েও ব্যবহার করা যাবে। সম্প্রতি গবেষকেরা এ দাবি করেছেন। আগস্ট মাসে এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অক্সফোর্ড বা মডার্নার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ফরাসি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সানোফির তৈরি এই ভ্যাকসিনের অগ্রগতিও আশানুরূপ। একাধিক টিকা প্রস্তুত করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বেশ শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের ভ্যাকসিন নামের একটি কোম্পানি জুলাইয়ে প্রথম ধাপের পরীক্ষা চালানোর কথা ঘোষণা করেছে। মানুষের দেহে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে গ্ল্যাক্সোস্মিথ। গ্ল্যাক্সোস্মিথের প্রধান মেডিকেল অফিসার থমাস ব্রিউয়ার বলেছেন, সংস্থাটি ধীরে কাজ করে একটি সঠিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বেশি বিশ্বাসী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ছাড়াও ভ্যাকসিন তৈরির পথে রয়েছে জাপান। দেশটির জৈবপ্রযুক্তি উদ্যোগ অ্যানজিসের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল আগামী বছরের মার্চের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ উৎপাদন ক্ষমতা প্রস্তুত করবে।

সর্বশেষ খবর