গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এবার রৌমারি, রাজিবপুর ও চিলমারী নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু রবিবার কুড়িগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হলে প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারেন। গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে তাই আবেদন করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে অজুহাতে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাহলে আমার মনে হয় না কারও মনোনয়ন টিকবে। আমার আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, তাদের সকলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে।”  তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি আমরা জানি না। যারা সাধারণ নাগরিক, যারা দলের বাইরে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, তাদের নিরুৎসাহিত করা হল।” রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়া ইমরান ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন।

 নিজের মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেখা গেল ১ থেকে ২৯০০ নম্বরের ভোটার তালিকা।

প্রয়োজনের চেয়ে ৫০০ বেশি স্বাক্ষর নিয়েছিলেন দাবি করে ইমরান বলেন, “দাখিলের সময় বলেছিলাম, আমি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দাখিল করি। যদি দুই একটা কম বেশি হয়। সেটা কিন্তু তারা নেয়নি। তাৎক্ষণিক সংশোধনের সুযোগ ছিল, সেটাও তারা আমাকে দেয়নি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”