র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই আমাদের। এই ধরনের কিছু ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে অনেক বানোয়াট কথা ছড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ-সব কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর বিষয়টা অনেক চ্যালেঞ্জিং আমাদের জন্য। এবারই প্রথম আমরা এ উদ্যোগটি হাতে নিয়েছি তাঁদের কথা ভেবে। নবীন শিক্ষার্থীদের আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে নবীন বরণ করব এবং পাশাপাশি তাঁদের একটি শিক্ষা সহায়িকা, আইডি কার্ড, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে।
উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের সকল আইডি কার্ড প্রস্তুত হয়ে গেছে। আগামীকালের মধ্যে সব বিভাগে চলে যাবে। আমরা নতুন করে চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য কাজ করা। পুরো দিবসের আয়োজন শিক্ষার্থীদের ঘিরে সবকিছু করা হচ্ছে আমাদের জন্য কোনোকিছু নয়। এতবড় আয়োজন সুন্দরভাবে শেষ করতে পারাই অনেক বড় ব্যাপার।
উপাচার্য রেজাউল করিম আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে অনেক বানোয়াট কথা ছড়ানো হচ্ছে। সাউন্ড সিস্টেম, কেক কাটা, প্রতিটি বিভাগের নবীন বরণ, ৫০০০ হাজার জনের খাবার এগুলো সবই মিথ্যা কথা। এ ধরনের কোনো কথা আমি বলেনি।
অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, বিকেল আড়াইটা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যে হবে তাহলে সেখানে কি সাউন্ড সিস্টেম থাকবে না? বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ রেলিতেও সাউন্ড বক্স থাকবে। বিভাগগুলো নিজেরাই নিজেদের মত নবীন বরণ করে আয়োজন করবে। এগুলো বিষয়ে আমরা কেন কথা বলব। সকলের উচিত আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করা।
অধ্যাপক রেজাউল করিম আরও বলেন, ৫০০০ হাজার খাবারের আয়োজন হবে এটা কোথায় থেকে আসল আমি নিজেও জানি না। আমরা প্রায় ৭০০০ হাজার খাবারের আয়োজন করছি এবং পাশাপাশি ক্যান্টিনে রেগুলার খাবার তো থাকবে। এই প্রথম আমরা এতকিছুর আয়োজন করছি। আগে তো কখনো দিবসে খাবার কিংবা নবীন শিক্ষার্থীরা এতকিছু পায়নি। যে-কেউ সমালোচনা করতে পারে আমরা এটা সাদুবাদ জানায় কিন্তু না জেনে-বুঝে শুধু শুধু সমালোচনা না করার আহবান জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক