লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন গলির রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ফুটপাতে হকার বসতে নিষেধ করে মাইকিং করা হলেও তা না মানায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উচ্ছেদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে অভিযানের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফুটপাত ও রাস্তা ফের দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। পরে বাজার প্রধান সড়ক, ভক্তের গলি, গেঞ্জি হাটা, মাছবাজার, গোস্তের বাজারসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক। এসময় জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর সচিব আলাউদ্দিনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা সহায়তা করে লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশ।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক, গলি ও বাজারগুলোতে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজারসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। পরে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও তা মানেনি অবৈধ দখলদাররা। এ কারণে অভিযান চালিয়ে সেসব দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ এসব স্থাপনা নির্মাণকারী ও ফুটপাত দখলদারদের সতর্কও করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু অভিযানের কিছুক্ষণ পর পরই উত্তর তেমুহনী ও প্রেসক্লাব এর সামনে ফের দখল হওয়া শুরু হয়ে গেছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি থেকে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেন, লক্ষ্মীপুর শহরে ফুটপাত ও রাস্তা দখল হওয়ার কারণে তীব্র যানজট লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত। এছাড়া জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। এজন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী ও ফুটপাত দখলদারদের সচেতন করা হয়েছে। এজন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। এরপরও কেউ পুনরায় দখল করলে স্থাপনা বাজেয়াপ্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ