শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বিপথগামী তারুণ্য : প্রতিরোধ ও প্রতিকার

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও বিপথগামী তারুণ্য : প্রতিরোধ ও প্রতিকার

বিগত ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারি ক্যাফেতে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার কঠোর নিন্দা জানাই। এই দুই হামলায় পুলিশসহ নিহত সব নিরীহ মানুষের আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। হামলাকারীরা ঘৃণ্য, বিপথগামী।

অরক্ষিত এবং সহজে লক্ষ্যভুক্ত করা যায় এমন মানুষের ওপর জঙ্গি হামলা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে প্রায়শ ঘটছে। বিগত ১৪ জুলাই রাতে ফ্রান্সে নৃশংস ট্রাক আক্রমণে প্রাণ হারালেন ৮৪ জন এবং আরও অধিকসংখ্যক আহত হলেন। এক্ষেত্রে একজন ট্রাক-ড্রাইভার একটি ট্রাক ফ্রান্সের জাতীয় দিবসে দেশটির নিসে আনন্দ উল্লাসকারী অসংখ্য মানুষের ওপর দিয়ে চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এটি একটি নতুন কৌশল, যেমনটি নতুন কৌশল ছিল বিমান হাইজ্যাক করে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ নিউইয়র্কের টুইন-টাওয়ারে হামলা। আবার দেখা যায় এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে অনেককে হতাহত করে, যেমনটি দেখা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডোতে একটি নৈশক্লাবে। তা ছাড়া কয়েকজন মিলে ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটালো ফ্রান্সের প্যারিসে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এবং এক বছর ধরে তুরস্কে পরপর অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষটি ২৮ জুন, ২০১৬ তারিখে তুরস্কের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে। ধরন ও বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্নতা থাকলেও এসব জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ইসলাম ধর্মের বিকৃত ও মনগড়া ব্যাখ্যাদানকারী উগ্রবাদীদের প্ররোচনা ও পরিকল্পনা রয়েছে এগুলোর পেছনে। প্যারিসে ২০১৫-এর ১৩ নভেম্বরে সাধারণ মানুষের ওপর জঙ্গি হামলার দুই সপ্তাহ পর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আমি প্যারিস যাই এবং দুই সপ্তাহ সেখানে থাকি। দেখেছি সাধারণ মানুষের উত্কণ্ঠিত থাকার দৃশ্য, ভয়ভীতিকে নিত্যসঙ্গী করে। নিজেও ওই অবস্থার মধ্যে সময় কাটিয়েছি। গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার পর একই অবস্থা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিরাজ  করেছে সঙ্গত কারণেই। দেখা যাচ্ছে,  সাধারণ মানুষ অসহায়ভাবে এসব জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন দেশে দেশে, যেমন— ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, তুরস্ক বা বাংলাদেশে; আর ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তো তা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এসব ঘটনা ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবন অনিশ্চয়তায় নিপতিত হয়। কাজেই জঙ্গিবাদ এবং অবক্ষয় রোধ জরুরি। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, অর্থায়ন করছে এবং বাস্তবে ঘটাচ্ছে এরা প্রায় সবাই দেখা যাচ্ছে ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের অপব্যাখ্যাকারী ও বিকৃত ব্যাখ্যাদানকারী বিপথগামী ব্যক্তি। ‘ইসলাম’ মানে শান্তি এবং প্রকৃত ইসলামে অশান্তি, মানুষ হত্যা ও বর্বর হামলার স্থান নেই। তবে কেন অনেক মুসলমান সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পথে গেল এবং যাচ্ছে? দেশে দেশে কিছু দেশীয় উগ্রবাদী ও জঙ্গি থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি তত্পরতার মূল উত্পত্তিস্থল আফগানিস্তান, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ। যুগ যুগ ধরে পশ্চিমা শাসন-শোষণ ও বঞ্চনার শিকার এই অঞ্চলের মানুষেরা। এই শতাব্দীর শুরুর দিকে নেতৃত্ব পরিবর্তনের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং তাদের সহযোগী কিছু দেশ যুদ্ধ চালায় আফগানিস্তান এবং ইরাকে। ৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা সংক্রান্ত জন চিলকট রিপোর্ট পরিষ্কারভাবে স্বীকৃতি দেয় যে, ইরাক যুদ্ধ বেআইনি ও অন্যায় ছিল। তথ্যবিকৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া কী আফগানিস্তান কী ইরাক কোথাও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সুশাসন কায়েম করার কার্যকর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ইরাক সম্বন্ধে বিষয়টি চিলকট রিপোর্টে জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কাজেই এই দুই দেশে ওই যুদ্ধের এত বছর পরও হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই এবং ফলে কত সাধারণ মানুষ অকালে, অকারণে প্রাণ হারাচ্ছেন তার ইয়ত্তা নেই। এসব মানুষের জীবনের যেন কোনো মূল্যই নেই।

ইরাক ও আফগানিস্তান ছাড়াও লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায়ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের পর স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সমাজ ব্যর্থ। আর সিরিয়ায় জ্বলছে আগুন। উত্তপ্ত, অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তথাকথিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ মূলত ইরাক ও সিরিয়ায় আত্মপ্রকাশ করে। আর আল-কায়েদা তো রয়েছেই। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে এ ধরনের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনও গড়ে উঠেছে। এসব সংগঠনের প্রবক্তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে বেহেশতপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এই ধারণা দিয়ে তাদের অনুসারীদের ‘ইসলাম রক্ষায়’ জঙ্গি-সন্ত্রাসী তত্পরতা এবং হত্যাকাণ্ড ঘটাতে অনুপ্রাণিত করে। কী মুসলিম কী অ-মুসলিম যাদেরই এই জঙ্গি-উগ্রবাদীদের ‘লক্ষ্য’ অর্জন এবং ‘বিকৃত বিবেচনার ইসলাম’বিরোধী বলে চিহ্নিত করা হয় তাদের সবার বিরুদ্ধে জঙ্গি তত্পরতা ও হত্যাকাণ্ড চালাতে অনুসারীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। অর্থের লেনদেন থাকে পার্থিব প্রয়োজন মেটানোর জন্য এবং এই পথে মৃত্যু মানেই বেহেশতে প্রবেশ এই মন্ত্রে অনুসারীদের মগজ ধোলাই করা হয়। তাদের এমনভাবে অনুপ্রাণিত করা হয় যে, সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে তারা আত্মঘাতী হতেও দ্বিধাবোধ করে না। এখন দেখা যাচ্ছে এই জঙ্গিবাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মের এই বিকৃতির অনুসারী হয়ে মানুষ, বিশেষ করে অনেক তরুণ জঙ্গিবাদে এবং সাধারণ মানুষ হত্যায় লিপ্ত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ শুধু অস্ত্রের মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। যুগ যুগ ধরে যে বঞ্চনা ও অত্যাচার তাদের এপথে ঠেলে দিয়েছে তারও অবসান প্রয়োজন। বর্তমানে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত যে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি সারা বিশ্ব বাস্তবায়ন করবে বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ, তার মূলেই রয়েছে মানুষ, কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না, সবাইকে ন্যায্যভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাই যদি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মানবকেন্দ্রিক টেকসই উন্নয়নকে ধারণ করে বিন্যাস করা হয় তাহলে এই জঙ্গিবাদ থেকে মুক্তির একটি পথ পাওয়া যেতে পারে। টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির দর্শন হিসেবে বিশ্বের সব মানুষের মানব-স্বাধীনতা এবং সবার জন্য সাম্য, ন্যায্য অংশীদারিত্ব ও সর্বজনীন মানবাধিকার নিশ্চিতকরণের যে কথা স্বীকৃতি পেয়েছে তা-ই হতে পারে বিশ্বব্যবস্থা কাঙ্ক্ষিতভাবে পুনর্গঠনের দিকনির্দেশক ভিত্তিভূমি। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করার প্রয়াস নিতে হবে— আধিপত্য বিস্তার নয়, বিশ্বমানবতার বিজয়কে কেন্দ্র করে। বলা বাহুল্য, ব্যবস্থা বদলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিতে হবে। অবশ্য উগ্রপন্থিদেরও নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। তবে শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি ন্যায়ানুগ রাষ্ট্রীয় ও বিশ্বব্যবস্থা গড়ার অঙ্গীকার থাকতে হবে এবং সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। এ লক্ষ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক বিবেচনায় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসমূহকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। মূলধারার ইসলামী চিন্তাবিদ ও নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা ও সেই আঙ্গিকে ঘটানো জঙ্গি কর্মকাণ্ড বন্ধে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফিরে আসি বাংলাদেশের কথায়। গুলশানের ক্যাফে ও শোলাকিয়ায় হামলার আগে কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি লক্ষ্যভুক্ত ব্যক্তির ওপর হত্যা চালায় জঙ্গিরা। ওই সময় নিহতদের মধ্যে ছিলেন একজন মসজিদের মোয়াজ্জিন, একজন পুরোহিত-সেবায়েত, একজন ক্রিশ্চিয়ান দোকানদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রগতিশীল শিক্ষক। বোঝাই যাচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে হেয়প্রতিপন্ন করে তোলাই লক্ষ্য ছিল এসব হত্যাকাণ্ডের। তারপর ব্যক্তি হত্যা নয়, অনেককে হত্যার ঘটনা ঘটায় জঙ্গিরা গুলশানে এবং সে রকম লক্ষ্য নিয়ে শোলাকিয়ায়ও যায় জঙ্গিরা। মূলত গুলশানে বিদেশিদের এবং শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ব্যাপক হত্যার মাধ্যমে জনমনে ভয়ভীতি এবং আন্তর্জাতিক সংকট সৃষ্টি করাই এ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান হয়। অবশ্য শোলাকিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্পরতায় ঈদের জামাতে আসা মুসল্লিদের কাছে পৌঁছার আগেই জঙ্গিরা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তারা তাদের মূল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে অস্থিতিশীল বিশ্বে অন্যান্য দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। জরুরি অবস্থা বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও ফ্রান্সের নিস-এ যে অচিন্তনীয় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো তা থেকে এটি পরিষ্কার যে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঠেকানো কত কঠিন। সতর্কতা অনেক বাড়াতে হবে। সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের সম্ভাব্য আক্রমণ সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ-কার্যক্রম আরও অনেক জোরদার করতে হবে। সরকার তো বটেই, সাধারণ মানুষসহ সব মহলের দায়িত্ব রয়েছে এক্ষেত্রে। তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে মানুষের জঙ্গিবাদে সংযুক্তির উৎস দিন দিন ব্যাপকতর হচ্ছে। এই কিছুদিন আগেও সাধারণত ধারণা করা হতো জঙ্গিরা মূলত আসে একশ্রেণির মাদ্রাসাপড়ুয়াদের মধ্য থেকে বা আশা-ভরসাহীন দরিদ্রদের মধ্য থেকে। কিন্তু গুলশানের ক্যাফেতে হামলাকারীরা ইংরেজি মাধ্যমে এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এবং ধনী বা সচ্ছল পরিবার থেকে আসা। একশ্রেণির মাদ্রাসা ও দরিদ্র পরিবার থেকে যারা জঙ্গি হয় তারা হয়তো সে পথে যায় ইহজগতে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হতাশা এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন থেকে উজ্জ্বল আখেরাত সম্বন্ধে মন্ত্রণার কারণে। আর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ধনিক শ্রেণির যুবকরা এপথে যায় সম্ভবত অন্য এক ধরনের হতাশার কারণে, যা দেশে ওই শ্রেণির মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শিথিল পারিবারিক বন্ধন এবং অসৎ, ধর্মান্ধ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গ থেকে উৎসারিত। এসব তরুণের মধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এদের কেউ কেউ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাই প্রলোভনে সহজেই ধরা দিতে পারে। কাজেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধকল্পে এখন সম্ভাব্য সব ধরনের শিক্ষাঙ্গন এবং সব আর্থ-সামাজিক শ্রেণিভুক্ত সম্ভাব্য পরিবারদেরকে নজরদারি ও জঙ্গিবাদবিরোধী তত্পরতার আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশে এযাবৎ সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসমূহ দেশীয় জঙ্গিরাই ঘটিয়েছে। দেশে জেএমবি এবং হিজবুত তাহরী নিষিদ্ধ হলেও এখনো তত্পর রয়েছে। তা ছাড়া তত্পর রয়েছে অপেক্ষাকৃত নতুন জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম। রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে সব জঙ্গি ঘটনা ঘটছে সেগুলো এবং যারা ঘটাচ্ছে সে সম্বন্ধে দেশীয় জঙ্গিরা ইন্টারনেট ও খবর-মাধ্যম থেকে সহজেই জানতে পারে এবং তা থেকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ পেতে পারে। এ ছাড়া দেশীয় কোনো কোনো জঙ্গি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। কাজেই দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। যেহেতু এই জঙ্গিবাদ একটি গুরুতর বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এর সমাধানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আরও অনেক দেশ এ বিষয়ে আগ্রহী বলে বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায়। বাংলাদেশও যে জঙ্গিবাদ দমনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তা সংসদে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে আমরা জানি। বাস্তবতার আলোকে এবং দেশের স্বকীয়তা বজায় রেখে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে শুধু বাংলাদেশ থেকেই এই অমানবিক নৃশংস জঙ্গিবাদ দমন নয়, সারা বিশ্ব থেকে এর উচ্ছেদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা জঙ্গি তত্পরতা চালাচ্ছে বা ইতিমধ্যেই জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ কাজটি মূলত রাষ্ট্রের। বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সর্বোচ্চ অঙ্গীকার ও প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে আবারও। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের এযাবৎ সাফল্য উল্লেখযোগ্য। নতুন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে আগামীতে জঙ্গিবাদ দমনে সমন্বিত তত্পরতা ও কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। কখন কোথায় কি ঘটতে পারে সে সম্বন্ধে গোয়েন্দাদের যেমন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যথাযথ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো সময় কোনো একটি তথ্য সঠিক না পাওয়া গেলেও, পরবর্তীকালে প্রাপ্ত তথ্যের অবহেলা করা যাবে না— এটাই নীতি হওয়া বাঞ্ছনীয়। অবশ্য জঙ্গি চিহ্নিতকরণে জনসাধারণ তত্পর থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। স্বল্পমেয়াদে আরও একটি কাজ করতে হবে, বিশেষ করে জঙ্গি হামলায় গুলশানের ক্যাফেতে মূলত বিদেশিদের নির্মমভাবে হত্যার পর আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য, সহযোগিতা ও বিনিয়োগে যাতে এর বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে সুচিন্তিতভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। সে চেষ্টা ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে এবং সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু গুলশানের জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটছে, তাই বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে সহমর্মিতার মনোভাবই থাকার কথা। তবে জঙ্গি দমনে আমাদের প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আরও শক্তিশালী ও সমন্বিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তা অবশ্যই সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। জঙ্গিরাও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তাই তাদের দমন করতে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জঙ্গি অর্থায়ন। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন থেকে অর্থনৈতিক শক্তি গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক জঙ্গি অর্থায়ন না করতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। তবে ব্যাংকবহির্ভূত অনেক প্রতিষ্ঠানসহ জঙ্গি অর্থায়নের অন্যান্য উৎসও নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। বিভিন্ন এনজিও এবং স্থানীয় জনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামীণ অর্থায়ন ও উন্নয়ন সংস্থাসমূহকে এ বিষয়ে উঁচু মাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এ বিষয়টি এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি যে, কোনো কোনো সরকারি নেতা বা কর্মকর্তা একটি জঙ্গি ঘটনা ঘটার পর বেফাঁস কথা গণমাধ্যমে বলে থাকেন। শুধু এই বিষয় নয়, অন্য অনেক বিষয়ে যাদের যে দায়িত্ব নয় তাদেরও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্য রাখতে শোনা যায়। এটি কাম্য নয়। এক্ষেত্রে সমন্বয় প্রয়োজন।

মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে নজর দিতে হবে শিশু ও তরুণদের দিকে। প্রাথমিক শিক্ষার শুরু থেকেই শিশুদের বই, নোট বই, প্রাইভেট শিক্ষক ও পরীক্ষায় ভালো করার (গোল্ডেন পাঁচ অর্জন) তাগিদের ভারে ন্যুব্জ করে রাখা হয়। বলা যায়, তাদের শিশুকাল হরণ করে ফেলা হয়। কাজেই তাদের অনেকেই আস্তে আস্তে যন্ত্রসম হয়ে যায়। খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুকুমারবৃত্তির অনুশীলনসহ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়ার উপাদানসমূহ থেকে তারা বঞ্চিত থাকছে। পরীক্ষায় ভালো করার চাপে মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে না। আস্তে আস্তে যখন তারা বড় হতে থাকে, তখন কেউ কেউ নিজের মতো করে নিজের একটি জগৎ গড়ে নিতে চায়। এরাই খুব ভঙ্গুর থাকে এবং অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। দেশে মাদকে আসক্তি ব্যাপক হারে বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে— শহর ও গ্রাম উভয়ক্ষেত্রেই। এরা সঠিক বা সুস্থ চিন্তা করতে পারে না। ভঙ্গুর মানসিকতায় আক্রান্ত এই তরুণদের মধ্য থেকে জঙ্গি নেতারা কর্মী সংগ্রহ করতে পারে এবং করে, যা গুলশান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলাকারীদের পরিচিতি থেকে পরিষ্কার। এরা ইংরেজি মাধ্যমসহ পরিচিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিল বা পড়েছে এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে মধ্য এমনকি উচ্চ অবস্থান থেকে আসা।

বিপথগামী হতে পারে এরকম তরুণদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে সরকার এবং ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিখোঁজ তরুণদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত এবং যারা পরিবার থেকে অনেক দিন ধরে বিচ্ছিন্ন, তাদের সম্বন্ধে সরকারকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারসমূহকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে এদের সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিখোঁজ সবাইকে জঙ্গি বলে ধরে নেওয়া যাবে না, সঠিক তথ্য সংগ্রহ তাই জরুরি এবং সেই ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উল্লিখিত ভঙ্গুরতা ছাড়াও, যাদের সঙ্গে মিশে তাদের প্রভাবও ছেলেমেয়েদের ওপর পড়া সম্ভব। যে সব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ছেলেমেয়েদের মধ্যে সুস্থ চিন্তা এবং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হয় এবং যাতে তারা বিপথগামী না হয় সেদিকে নজর রাখা। এক্ষেত্রে বিশেষ দায়িত্ব বর্তায় পরিবার, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজকর্মী এবং সামাজিক সংগঠনের ওপর। তবে এদের সবার মধ্যে উচ্চমাত্রার সচেতনতা, অঙ্গীকার ও সক্ষমতা থাকতে হবে। পরিবার ও শিক্ষকদের ওপরই বর্তমান অবস্থায় দায়িত্ব সমধিক, কেননা সমাজকর্মী ও সামাজিক সংগঠন ১৬ কোটি মানুষের একটি দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত নেই।

এ দেশের মা-বাবাদের কাজ হওয়া উচিত তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় পারদর্শিতা দেখানোর মেশিন না বানিয়ে তাদের এমনভাবে উদ্বুদ্ধ, উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করা, যাতে যখন তারা বড় হতে থাকবে তখন তাদের মানস ও মননশীলতা, মানবিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠতে পারে। অবশ্যই পড়াশোনায় তাদের যথাযথ সময় ও মনোযোগ দিতে হবে, যাতে তারা আলোকিত ও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। মা-বাবাদের তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হতে হবে। তবে পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুকুমারবৃত্তির অনুশীলনের পরিমিত ব্যবস্থা থাকতে হবে তাদের জন্য। এদিকেও মা-বাবাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।

সন্তানরা যখন বড় হতে থাকবে তখন মা-বাবা ও অভিভাবকদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তারা কোথায় যায় এবং কাদের সঙ্গে মিশে সেদিকে নজর রাখা। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এ কাজটি যেন ছেলেমেয়েদের মৌলিক স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা ক্ষুণ্ন না করে। মাদকাসক্তি বা জঙ্গি মানসিকতার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ মেলামেশা করছে বলে জানা যায় তবে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিজেদের দ্বারা তা সম্ভব না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে জানানো জরুরি।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অনেক। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষার উদ্দেশ্যসমূহ দুই ভাগে ভাগ করা যায় : শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদিকে দেশপ্রেম, মানবতাবোধ, ন্যায়পরায়ণতা, সৎ আচরণ ও সহমর্মিতাসহ মানবিক গুণাবলি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ এবং অপরদিকে মানবদক্ষতা সৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই উদ্দেশ্যগুলোর যথাযথ অনুশীলন নিশ্চিতকরণ সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তব্য। এ ছাড়াও এই দুই পর্যায়ে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যে, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ঘটেছে কিনা সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখা। সরকার থেকে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ কাজে শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সবারই দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি কার্যকরভাবে করতে হবে। আবার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে এমন সন্দেহভাজন মাদ্রাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

অবশ্যই অঙ্গীকারাবদ্ধ সমাজকর্মীদের শিশু ও তরুণদের বিপথগমন রোধে বিদ্যমান ইতিবাচক অবস্থা কাজে লাগিয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক সামাজিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রয়াস নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অনুকূল সরকারি নীতি-কৌশল এবং সেই আঙ্গিকে রাষ্ট্রীয় সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এসব নীতি-কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজন যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষিত ও অঙ্গীকারাবদ্ধ নেতৃত্ব ও জনবল। সেই লক্ষ্যে তাই যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজন মোতাবেক বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার করা, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়া, দক্ষ নেতৃত্ব ও জনবল সৃষ্টি করা এবং সম্পদ (অর্থ, প্রযুক্তি, অবকাঠামো) বিনিয়োগে সরকারকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখানে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত সম্মিলিত নাগরিক সমাজ দেশবাসী, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধের যে ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তা দূর করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় কমিটি গঠিত হয়েছে এবং এর লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারী এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের শক্ত অবস্থান এবং এক্ষেত্রে সম্ভাব্য সবকিছু করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের স্থান থাকতে পারে না। তা নির্মূলে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকল্পে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।

 

            লেখক : অর্থনীতিবিদ।

(গত ২৩ জুলাই সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত বক্তব্য)।

 

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ
আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ

২৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?
ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ
অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ

৩৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস
৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!
মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’
‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি
সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন
সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকা থেকে এলো গমবোঝাই জাহাজ
আমেরিকা থেকে এলো গমবোঝাই জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ দফা দাবিতে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ
৫ দফা দাবিতে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আয়ারল্যান্ড সিরিজে সোহানকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা
আয়ারল্যান্ড সিরিজে সোহানকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে যুব কর্মশালা
কিশোরগঞ্জে যুব কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীনগরে আগুনে ৩ দোকান পুড়ে ছাই
নবীনগরে আগুনে ৩ দোকান পুড়ে ছাই

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের সংবাদ প্রচারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান তথ্য মন্ত্রণালয়ের
নির্বাচনের সংবাদ প্রচারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান তথ্য মন্ত্রণালয়ের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘গডজিলা মাইনাস জিরো’
আসছে ‘গডজিলা মাইনাস জিরো’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল?
সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা
বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল
জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯
রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে
চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট

সম্পাদকীয়

ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে
ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা