শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে

সাইফুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে

সেটা বোধকরি ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাস। মহাত্মা গান্ধী এসেছেন কলকাতায় কংগ্রেস পার্টির একজন সাধারণ প্রতিনিধি হয়ে। কংগ্রেসের অন্য প্রতিনিধিরা মূল অধিবেশনের আগে সাধারণত শুয়ে-বসে আলস্য সময় কাটাচ্ছিলেন। আলস্য কাকে বলে সেটা জানা নেই মহাত্মা গান্ধীর। স্বেচ্ছায় কিছু কাজ করতে চান বলে গান্ধী কিছু ঊর্ধ্বতন কংগ্রেস নেতার শরণাপন্ন হলেন। গান্ধীকে দিয়ে কী কাজ করানো যায়?  এসব ভেবে ভেবে জনৈক নেতা তাকে পাঠালেন জানকীনাথ ঘোষালের কাছে। কে এই জানকীনাথ ঘোষাল? তাকে একটু পরিচয় করিয়ে না দিলে অনেক পাঠকই হয়তো তাকে চিনতে পারবেন না। কংগ্রেস পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সেবারের কংগ্রেস অধিবেশনের সম্পাদক ছিলেন জানকীনাথ। তার আরও কিছু পরিচয় হলো তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভগ্নিপতি অর্থাৎ কবিগুরুর জ্যেষ্ঠ ভগ্নি স্বর্ণকুমারী দেবীর স্বামী ও সরলা দেবী চৌধুরানীর পিতা। সরলা দেবী চৌধুরানী বিয়ে করেছিলেন বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীকে। সেই সূত্রে জানকীনাথ ছিলেন প্রমথ চৌধুরীর শ্বশুর। সে যাক, জানকীনাথ ঘোষাল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অতি সাধারণ বেশভূষা ও পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে ভাবলেন এ ছোকরা হয়তো অতি সাধারণ কেউ আর শিক্ষা-দীক্ষাও সামান্যই হবে হয়তো। তিনি তাকে উদ্দেশ করে বললেন— “দেখ বাপু ওদিকের টেবিলটায় রাজ্যের সব চিঠি স্তূপ হয়ে আছে। সব চিঠি কি আর আমার একার পক্ষে পড়া সম্ভব? নাকি পড়ার যোগ্য। তা ভাই তুমি যদি চিঠিগুলো একটু উল্টে পাল্টে দেখ। কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা ভাগাড়ে যাওয়ার উপযুক্ত। তা তুমি চিঠি পড়তে জানো তো নাকি?” গান্ধী যে সদ্যই বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে ফিরেছেন সেটা তিনি গোপন রাখলেন সন্তর্পণে। বিনা বাক্যব্যয়ে একজন অনুগত কেরানির মতো গান্ধী বসে গেলেন চিঠি পড়তে। আর সেদিনই তার জীবনে ঘটল ভিন্ন রকম একটি ঘটনা। জমিদারতনয় জানকীনাথ নিজে নিজে কখনো জুতার ফিতা ও কোটের বোতাম লাগাতে পারতেন না কিংবা লাগাতেন না। এসব কাজে সাধারণত সাহায্য করত তার এক ভৃত্য। বিকাল বেলা কাজ শেষে জানকীনাথ উঠে দাঁড়িয়ে তার প্রিয় ভৃত্যটিকে ডাকাডাকি শুরু করলেন। কিন্তু ভৃত্যটি তখন ধারেকাছে না থাকায় গান্ধীর দিকে এমনভাবে তাকালেন জানকীনাথ, ভাবে মনে হলো যেন গান্ধী এসে তার জুতার ফিতা ও কোটের বোতামগুলো লাগিয়ে দিক। মুখে যদিও তিনি কিছু বললেন না। ব্যাপারখানা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে হাসিমুখে জানকীনাথের জুতার ফিতা ও কোটের বোতামগুলো লাগিয়ে দিলেন গান্ধী। পরে অবশ্য জানকীনাথ আরেক বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা গোখলের কাছে থেকে জেনেছিলেন যে, ওই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী নামে যে তরুণটিকে দিয়ে তিনি সেদিন কেরানি ও আরদালির কাজ করিয়েছিলেন আসলে সে ছিল একজন বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার। উপরোক্ত ঘটনাটি ইতিহাসের পাতা থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে তুলে ধরলাম এ কারণে যে, সত্যি সত্যি যদি কেউ বড় হতে চায় তাহলে তাকে আগে ছোট হতে হয়। নিরহংকারী হতে হয়। বিনয়ী হতে হয়। আর এ জন্যই কবি লিখেছেন— “গুণেতে হইলে বড়, বড় বলে সবে/বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।” আজকের এই লেখাটি লিখতে প্রবুদ্ধ হলাম এ জন্য যে, আমাদের চারদিকে আত্মহংকারী কিংবা ‘মুই কী হনু রে’ জাতীয় মানুষের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে, তাদের হয়তো অহংকার করার মতো কিছুই নেই, তারপরও তাদের পা যেন মাটিতে পড়ে না- এ জাতীয়। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের মানুষের আধিক্য থাকলেও রাজনীতিতেই কেন জানি এ ধরনের মানুষে একেবারে ভর্তি। বিশেষ করে অনেক রাজনীতিবিদের মুখে প্রায়ই ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনে মনে হয় যেন আজকেই পৃথিবীর শুরু এবং আজকেই এর শেষ। এর আগেও কিছু ছিল না আর ভবিষ্যতেও কিছু ঘটবে না। অথচ ইতিহাস পড়লে জানা যায় বুদ্ধ, খলিফা ওমর, আব্রাহাম লিংকন, মহাত্মা গান্ধী, ম্যান্ডেলা, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, সক্রেটিস, কনফুসিয়াস, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, তলেস্তয়, মাদার তেরেসা— আরও কত শত সহস্র মনীষী যারা ছিলেন মানবতাবাদী, বিনয়ী ও নিরহংকারী।

আমরা আমাদের জীবনের একেবারে শৈশব থেকে যুগ যুগ ধরে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রণীত ‘বড় কে?’ কবিতাটি পড়ে আসছি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে। কিন্তু এই কবিতাটির তাত্পর্য কিংবা এর এতটুকু প্রভাবও কী আমাদের জীবনে কখনো পড়েছে। এখানে প্রসঙ্গক্রমেই বলতে হয় ২০১৫ সালে দেখলাম এই কবিতাটির কবির নামও পাঠ্যপুস্তক থেকে পাল্টে গেছে। এতদিন আমরা জানতাম ‘বড় কে?’ কবিতাটির লেখক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এখন আবার বলা হচ্ছে এই কবিতাটির জনক হরিশচন্দ্র মিত্র। সঠিক ইতিহাস নিয়েও এখানে ঘটানো হচ্ছে তুঘলকি কাণ্ড। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত রচিত ‘বড় কে?’ কবিতাটিতে আমার দুটো প্রিয় লাইন ছিল এরকম— “হিতাহিত না বুঝিয়া মরে অহংকারে/নিজে বড় হতে চায়, ছোট বলি তারে।” কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে হরিশচন্দ্র মিত্রের কবিতাটিতে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরণও বেমালুম গায়েব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী এমন জাদুকরি পরশপাথর যার স্পর্শে কিছু মানুষ এমন বিনয়ী ও নিরহংকারী হয়ে ওঠে। আর কিছু মানুষ থেকে যায় অহংকারী, বর্বর, হিংস্র ও দাম্ভিক। আমার মতে এই পরশপাথরটি হচ্ছে পড়াশোনা। তবে এ কথা আমাকে স্বীকার করতেই হচ্ছে যে, অনেক মানুষ সহজাত ও জন্মগতভাবেই হয় অহংকার বিবর্জিত ও সদালাপি। গান্ধীজি সহজাতভাবে যেমন বিনয়ী ছিলেন তেমনি বইও পড়তেন প্রচুর, যদিও তিনি তার আত্মকথায় বলেছেন, “বিদ্যাভ্যাসকালে আমি পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কিছুই পড়ি নাই বলা যায়। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিবার পরও খুব কম পড়িয়াছি। এমনকি আজও এ কথা বলা যায় যে, আমার পুস্তকের জ্ঞান খুবই সীমিত।” গান্ধীজির আগ্রহ ছিল বিচিত্র ধরনের বই সম্বন্ধে তার প্রমাণ পাওয়া যায় মহাদেব দেশাইয়ের দিনলিপি থেকে। ১৯৩২ সালে তিনি যখন ইয়ারবেদা জেলে ছিলেন তখন গান্ধী জানতে চান জেল লাইব্রেরিতে স্কট, মেকলে, জুলভার্ন, ভিক্তর হুগোর বই এবং কিংসলির ‘ওয়েস্টওয়ার্ড হো’ এবং গ্যেটের ‘ফাউস্ট’ আছে কিনা। জেলে বসেই গান্ধীজি পড়েছেন কার্লাইলের ‘ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাস’। গিবনের ‘রোম সাম্রাজ্যের পতনের ইতিহাস’ও তিনি পড়েছেন জেলে বসেই, ১৯২২ কি ১৯২৩ সালে। সারা জীবনে গান্ধীজি কত বই পড়েছেন সেগুলো লিখতে গেলে ফুল-স্কেপ কাগজের ১০-১২ পৃষ্ঠা শুধু তার পড়াশোনার ওপরই লেখা যায়। এত বইপত্র পড়ার পরও একজন মানুষ কতটা বিনয়ী হলে বলতে পারেন যে, আমি পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কিছুই পড়ি নাই। তবে মহাত্মা গান্ধীর জীবনে সম্ভবত দুজন লেখকের দুটো বই সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল— প্রথমটি জন রাস্কিনের (১৮১৯-১৯০০) ‘আনটুু দিস্ লাস্ট’ এবং দ্বিতীয়টি— লিও তলেস্তয়ের (১৮২৮-১৯১০) ‘এ লেটার টু হিন্দু’। রাস্কিনের আনটু দিস্ লাস্ট বইটি যে গান্ধীর ভালো লাগবে এটি অতি সাধারণ কথা। কারণ এ বইটিতে লেখক বলেছেন, সমষ্টির মঙ্গলই ব্যস্টিক কল্যাণ। উকিল ও নাপিতের জীবিকা অর্জনের সমান অধিকার সুতরাং তাদের পারিশ্রমিকের হার একই নীতিতে নির্ধারিত হবে। কৃষক, মজুর প্রভৃতি যারা কায়িক পরিশ্রম করে তাদের জীবনই আদর্শ জীবন। অন্যদিকে গান্ধী তার দিকিবজয়ী ‘অহিংসা’ দর্শনটির ধারণা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলেস্তয়ের কাছ থেকে। তলেস্তয় তার ‘এক হিন্দুকে লেখা চিঠি’ বইটিতে বলেছেন যে, “অহিংসাই ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতের মুক্তির একমাত্র পথ।” লিও তলেস্তয়ের লেখনীর দ্বারা গান্ধী এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, ১৯১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছে একটি সমবায় খামারের নাম তিনি তলেস্তয়ের নামে নামকরণ করেছিলেন। তবে এটি বেশ কৌতূহলোদ্দীপক যে, গান্ধীর দার্শনিক গুরু লিও তলেস্তয় কিন্তু যৌবনে ছিলেন— অহংকারী, দাম্ভিক ও স্বার্থপর। ঠিক যেমনটি আমাদের দেশের অনেক রাজনীতিবিদ ও শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের মতো। তলেস্তয় তার আত্মকথনে লিখেছেন— “সেই সময় আমি লিখতে শুরু করেছিলাম দম্ভ থেকে, স্বার্থপরতা থেকে, আত্মশ্লাঘা থেকে। আমার জীবন যেরকম, লেখার ক্ষেত্রেও তাই। যশ ও অর্থের লোভে আমার ভালোত্ব’কে লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল, খারাপ মনোবৃত্তিগুলোকে প্রকাশ করতে হয়েছিল। আর আমি সফল হয়েছিলাম, প্রশংসিত হয়েছিলাম।”

কিন্তু পরিণত বয়সে আত্মানুসন্ধান করতে গিয়ে তলেস্তয় বুঝতে পারেন এগুলো সবই ভ্রান্ত, কূহক ও অপ্রয়োজনীয়। তলেস্তয় যেমনটি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন— আত্মানুসন্ধানের জন্য তলেস্তয় গিয়েছেন রাজা সলোমনের কাছে। “সলোমন বলছেন, ‘দম্ভ, আত্মশ্লাঘা, শুধুই তাই। সূর্যের নিচে কী লাভের আশা করে মানুষ তার শ্রমের জন্য? প্রজন্ম যায়, প্রজন্ম আসে, পৃথিবী টিকে থাকে।... প্রজ্ঞাকে জানার জন্য আমি হৃদয় সঁপে দিয়েছি, উন্মত্ততা আর অপরাধকে জানার জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞার মধ্যে আছে দুঃখ। যার জ্ঞান বাড়ে, তার কষ্টও বাড়ে।... জীবিতরা জানে তারা বাঁচবে না, মৃতরা কিছুই জানে না, তাদের কোনো পুরস্কার নেই, তাদের স্মৃতি মুছে যাবে, মুছে যাবে তাদের প্রেম ও ঘৃণা, তাদের ঈর্ষা ধ্বংস হয়ে যাবে।”

তলেস্তয়, গান্ধী, লিংকন, ম্যান্ডেলা প্রমুখ ব্যক্তির বর্ণাঢ্যহীন, সাধারণ ও বিনয়ী জীবনযাপন নিয়ে যখন ভাবছিলাম ঠিক তখনই মনে পড়ে গেল জনৈক এক মন্ত্রীর কথা। যিনি হাল আমলে তার একটি বক্তৃতার এক জায়গায় বললেন— বিএনপিকে সমূলে নির্মূল করে দিতে হবে। আমি নিভৃতে বসেই হাসলাম খানিকক্ষণ। ইতিহাসবোধ কতটা স্বল্প ও তুচ্ছ হলে মানুষ এমন মন্তব্য করার প্রয়াস রাখে। চাইলেই কী সবকিছু নির্মূল করা যায় নাকি নির্মূল করা সম্ভব। বিএনপিকে নির্মূল করতে হলে নিদেনপক্ষে দেশের অর্ধেক মানুষকে নির্মূল করতে হবে। জেল-জুলুম আর গুম-খুন দিয়ে কী মানুষকে তার আদর্শের জায়গা থেকে দূরে সরানো যায়। এ প্রসঙ্গে আমার একটি ইংরেজি প্রবাদ মনে পড়ে গেল— You can take the boy out of the farm but you can’t take the farm out of the boy- যার সহজ বঙ্গানুবাদ হচ্ছে- তুমি হয়তো একটি ছেলেকে গলা ধাক্কা দিয়ে একটি খামার থেকে বের করে দিতে পার কিন্তু ছেলেটির হৃদয় থেকে খামারটির স্মৃতি তুমি কীভাবে মুছে ফেলবে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের জন্য ছিল সবচেয়ে খারাপ সময়। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সেই খারাপ সময় পার করে ১৯৯৬-এর পর আরও দুই-দুইবার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগের দুর্দিন কেটে যেতে পারে আর বিএনপির দুর্দিন আজীবন রয়ে যাবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, সর্বদাই ইতিহাসের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটে। সবকিছুই কিন্তু ঘুরেফিরে পুনরায় ফেরত আসে। সে জন্যই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মানুষের কাছ থেকে। যিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। জেলখানায় বসেও তিনি প্রায়ই তার সতীর্থ কয়েদিদের কাপড় কেচে দিতেন নিজ হাতে। অথচ তিনি জন্মেছিলেন তার অঞ্চলের গোত্র প্রধানের ঘরে। কনফুসিয়াস, কুইং ডায়নেস্টির রাজ্যতে দুটো মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। একটি স্বরাষ্ট্র অন্যটি আইন। কিন্তু তার ঘরে তেমন কোনো আসবাব ছিল না। হাঁস-মুরগিগুলো ঘরের একদিক দিয়ে প্রবেশ করে ওগুলো ওদের স্বভাবসুলভ শব্দ করতে করতে বেরিয়ে যেত অন্যদিক দিয়ে। ভাবতেই অবাক লাগে সত্যি, রূপকথার মতো ছিল তাঁদের জীবনযাপন। তবে কনফুসিয়াসের ঘরে ছিল হাজার দুয়েক বই। সক্রেটিস কিংবা বিদ্যাসাগরের মতো মানুষেরা এত বড় জ্ঞানী হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। গ্রিসে ডায়াজেনিসের মতো বিশ্ববরেণ্য দার্শনিকেরা বাস করতেন কুঁড়েঘরে। আর সে জন্যই সম্ভবত আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট বলেছিলেন— “আমি যদি আলেকজান্ডার না হতাম তবে আমি ডায়াজেনিস হতে চাইতাম।” আব্রাহাম লিংকন আমেরিকার মতো দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও দুই-চারটির বেশি পোশাক-পরিচ্ছদ ছিল না তার। লিংকনেরই অন্য একটি প্রসঙ্গ সম্পর্কে বলে লেখাটি শেষ করছি। সেটা আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। লিংকনের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য জেনারেল ফ্রেমন্টকে পদচ্যুত করে মিত্র বাহিনীর সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ম্যাকক্লেলানকে। কিন্তু অচিরেই ম্যাকক্লেলান সম্পর্কে মোহ ভঙ্গ হলো লিংকনের। প্রতিনিয়তই ম্যাকক্লেলান সেনাপতি হিসেবে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সেসব বিষয়সহ আগামীদিনের রণকৌশল সম্পর্কে জানতে লিংকন স্থির করলেন তিনি নিজে যাবেন ম্যাকক্লেলানের বাসগৃহে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিওয়ার্ড লিংকনকে উদ্দেশ করে বললেন— “ম্যাকক্লেলানকে রাষ্ট্রপতি ভবনেই ডেকে পাঠানো হোক।” সে কথা না শুনে লিংকন নিজে গিয়ে হাজির হলেন ম্যাকক্লেলানের গৃহে। গৃহকর্ত্রী জানালেন যে, সেনাপতি ম্যাকক্লেলান বাড়িতে নেই। লিংকন অপেক্ষা করতে লাগলেন সেনাপতির জন্য। খানিক পরে ম্যাকক্লেলান বাড়িতে ঢুকেই দেখলেন লিংকন ও তার মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন সদস্য তার অপেক্ষায় বসে আছে। কিন্তু সেদিকে এতটুকু ভ্রুক্ষেপ না করে তিনি গট গট করে সিঁড়ি ভেঙে উঠে গেলেন দোতলায়। পরে ভৃত্যকে দিয়ে ম্যাকক্লেলান খবর পাঠালেন যে, তিনি অসুস্থ, তার পক্ষে নিচে এসে লিংকনের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। সিওয়ার্ড ম্যাকক্লেলানের এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সহ্য করতে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন— মি. প্রেসিডেন্ট একে এক্ষুনি বরখাস্ত করুন। লিংকন সিওয়ার্ডকে উদ্দেশ করে বললেন— জাতির এই সংকটকালে ভদ্রতাহানির ব্যাপারকে গুরুত্ব দেওয়া মোটেও উচিত হবে না। লিংকন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন— শোন সিওয়ার্ড, ম্যাকক্লেলান যদি যুদ্ধে জয়ী হতো তাহলে আমি তার ঘোড়ার রেকাব ধরতেও আপত্তি করতাম না।  লেখক হিসেবে শুধু আমার এটাই দুঃখ যে, আমাদের দেশের কেউই কোনো দিন এসব ইতিহাসের দু’চার লাইনও পড়ে দেখল না। সত্যিই আফসোসের কথা।

     লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

     ই-মেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য