শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিকল্প ভাবনা

ড. শেখ আবদুস সালাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিকল্প ভাবনা

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের একজন শিক্ষক। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা সবকিছু বাগেরহাটের রামপালে। আজ পর্যন্ত আমার নিয়মিত বাড়িতে যাতায়াতের কারণে এলাকায় গেলে এলাকার মানুষ বা পরিচিতজনেরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে এলে কিংবা অপরিচিতজনেরাও যখন বিভিন্ন সময় সাক্ষাতে জানতে পারেন যে আমার বাড়ি রামপাল তখন তারা প্রথম জানতে চান রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে হৈচৈ আসলে এ ব্যাপারটা কি? আমি উত্তর দেই, বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা যা জানেন আমিও ততটুকুই জানি। গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতার ছাত্র এবং একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বাইরে এই প্রকল্পের সায়েন্টিফিক প্রভাব বা কৃেকৗশলগত যথার্থতা নিয়ে আমার তেমন কোনো জ্ঞান বা জানাশোনা নেই। বাড়িতে গেলে বহু মানুষের সঙ্গে আমার মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ ঘটে। তখন তাদের মধ্যেও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে ঐকমত্য দেখি না। আমি লক্ষ করেছি তারাও যেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে এবং বিপক্ষে বিভক্ত। তবে সম্প্রতি মনে হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রেস কনফারেন্সটি করেছেন তারপর থেকে সারা দেশের মানুষের ন্যায় রামপাল এলাকার মানুষেরও এমন মনোভাব তৈরি হয়েছে যে, ‘আমরা সুন্দরবনও চাই, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও চাই’।

আমি এখন থেকে প্রায় ২/৩ বছর আগে একটি জাতীয় পত্রিকায় (সমকাল : ১৩/১০/২০১৩) ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চাই চুলচেরা বিশ্লেষণ’ শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। আজ ২০১৬ সালে এসেও সেসবের বিশ্লেষণ সম্পন্ন করে সরকার এবং সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে হয় না। দুপক্ষই বরং এখন যেন আরও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিরুদ্ধবাদীদের সঙ্গে বসে আর কি হবে? অন্যদিকে বিরোধিতাকারীরা বলছেন সরকারের সঙ্গে বসে আর লাভ হবে না, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই যা কারার তা করতে হবে। সরকার এবং বিরোধিতাকারীদের এ অবস্থান কোনোটাই কাম্য নয়। কোনো ঘটনা বা ইস্যু নিয়ে বিরোধ থাকলেও কোনোক্রমেই ‘ডায়ালগ’ বন্ধ করা সমীচীন হবে বলে মনে করি না। শুরুতে দেখা যাক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপালের কোথায় অবস্থিত এবং এই জায়গাটি কেন নেওয়া হলো? পাঠকের উদ্দেশ্যে জানাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা ইউনিয়নের কৈকরদাসকাঠি ও সাতমারি মৌজায়। এটি হচ্ছে সুন্দরবন থেকে ১৪ কি.মি উত্তরে একেবারে খুলনার সীমানা কাছাকাছি এলাকায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য সাড়ে নয়শ’ থেকে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়েছে যার সবটাই প্রায় বিলান জমি। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি এখানে কম; বাড়িঘরও ছিল খুবই কম। এ জমি মূলত যারা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকত তাদের আনুকূল্যে কিছু মাস্তান প্রকৃতির লোক জোরপূর্বক দখল করে ঘের বা চিংড়ি চাষের জন্য ব্যবহার করত। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে গিয়ে সরকারের পক্ষে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় জমির মালিক কিংবা এলাকার জনগণের তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই এ জায়গাটি খুব সহজেই সরকার অধিগ্রহণ করতে পেরেছে। বিশাল এ পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সরকারকে তেমন কোনো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়নি। যা কিছু সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে সেটি হচ্ছে এ জায়গাটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কি.মি. দূরে অবস্থিত এ বিষয়টি নিয়ে।  অন্যদের মতো আমিও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বুঝি যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মূল উদ্বেগটি সুন্দরবনকে ঘিরে। সুন্দরবন, এ বদ্বীপ-ভূমি বনাঞ্চলটির একটি স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শুধু একটি জলমিশ্রিত মাটি খণ্ড নয়। আবুল মোমেন গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে তার একটি লেখায় সুন্দরবনকে ‘জটিল এক জৈব রসায়নাগার’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে সুন্দরবন হচ্ছে উদ্ভিদ-প্রাণী-পানি-মাটির মিশেলে এক ‘জৈবমণ্ডল’। এখানের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণ সম্পদের ভরপুরতা আজও অজানা, অনাবিষ্কৃত। সুন্দরবন পানি ও নবীন ভূমির এমন এক ভূখণ্ড যেখানে বড় প্রাণীর তুলনায় পোকা, পতঙ্গ ও অণুজীবের সংখ্যা বিপুলভাবে বেশি। এসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণী কীভাবে আমাদের উপকার করছে, কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে তা হয়তো আমরা জানিও না। বিদ্যুৎকেন্দ্র কিংবা যেকোনো শিল্প স্থাপনা যেখানেই বসানো হোক না কেন সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। এ ক্ষয়ক্ষতি সহনশীল এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে (সবচেয়ে ভালো হয় ‘শূন্য’ পর্যায়ে রেখে) আমাদের উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাকৃতিক কিংবা পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি এবং উন্নয়ন এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে এগিয়ে না গেলে দেশের ভবিষ্যৎইবা কি দাঁড়াবে সে বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

যা হোক, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে উদ্বেগের কারণ হয়তো অনেকগুলো তবে মুখ্যত দুটি। এক. সুন্দরবন, দুই. পরিবেশ (পানি, মাটি, অসংখ্য ক্ষুদ্র ও বড় প্রাণীকুল, উদ্ভিদ, জৈবমণ্ডল। আরও কিছু বিষয়ের সংশ্লেষও এখানে রয়েছে। যেমন : রাজনীতি ও ব্যবসার সমন্বিত হিসাব-নিকাশ; নির্মাণ (সড়ক, জেটি ইত্যাদি) ও অবকাঠামো তৈরি; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক প্রভৃতি। এ ছাড়াও মানুষের মনস্তাত্ত্বিক প্যারামিটারসমূহ যেমন; ভালো লাগা-মন্দ লাগা, শঙ্কা-শঙ্কাহীনতা, শান্তি-অস্থিরতা এসব কিছুও যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। সুন্দরবন সংশ্লেষ উদ্বেগের কারণ মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১৩ হাজার টন (বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৪ লাখ টন কয়লার প্রয়োজন হবে) কয়লা জাহাজ থেকে নামিয়ে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে পশুর নদীর বুক চিরে বার্জ বা ছোট ছোট ভেসেলে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে এটিকে ঘিরে। জাহাজগুলো থাকবে গভীর সাগরে। বলা হচ্ছে বড় বড় জাহাজে করে এই কয়লা আসবে  অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লার উৎস হবে ১০০% আমদানিভিত্তিক। এ তিনটি দেশ ছাড়াও বিশ্বে রাশিয়া, আমেরিকা, কলম্বিয়া, নেদারল্যান্ড, কানাডা, উত্তর কোরিয়া, পোল্যান্ড, চীন, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত প্রভৃতি দেশ কয়লা উৎপাদন এবং রপ্তানি করে থাকে। বিশ্বে প্রায় ২০ থেকে ২২ ধরনের কয়লা উৎপাদিত হয়। একেক কয়লার এক এক রকম বৈশিষ্ট্য, এক এক রকম মান এবং এক এক রকম দাম। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচ। যেমন : কয়লায় যদি জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে সেই কয়লা থেকে তাপ উৎপাদন কম হবে, পরিমাণমতো তাপ উৎপাদন করতে অনেক সময় লাগবে। ফলে কাম্য পরিমাণ বিদ্যুৎ পেতে বেশি কয়লা পোড়াতে হবে। আবার কোনো কোনো কয়লায় সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে পোড়ানোর সময় তা থেকে ক্ষতিকারক সালফার-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ ঘটবে বেশি। এতে পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি হবে। আবার এক ধরনের কয়লায় অ্যাশ বা ছাঁই-এর মাত্রা বেশি। পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন যে কয়লা পুড়বে তাতে পায় ১৬০০ টন ছাই জমবে। এটিও পরিবেশের ক্ষতি করবে (তবে এই ছাই আবার সিমেন্ট তৈরির কাজেও ব্যবহার করা যাবে এবং সেখান থেকে একটা বড় আয় সৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকবে)। সুন্দরবনের কাছেই (মাত্র ১৪ কি.মি.) হোক কিংবা দূরেই হোক যেকোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে গেলে প্রথম বিবেচ্য হওয়া দরকার যে, দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের জন্য কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করা। পরিবেশের কম ক্ষতি করে কোন ধরনের কয়লা আমদানি করা যাবে এবং কয়লার ক্রয়মূল্য ও তার পরিবহন ব্যয় হিসাব করে সাশ্রয়ী মূল্যে তা কীভাবে, কোথা থেকে নিয়ে আসা হবে সে বিষয়টি প্রথম থেকেই ভেবে রাখা দরকার। 

যাই হোক এখনো পর্যন্ত আমরা জানি যে, যে দেশ থেকেই যে গুণ-মানের কয়লা আনা হোক না কেন তা জাহাজে করে বঙ্গোপসাগরের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা হবে। ধারণা করা যায় এ কয়লা সম্পূর্ণটা সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে পশুর নদীর বুক চিরে মংলা বা রামপাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টস্থলে নিয়ে আসা হবে। সুন্দরবন সংশ্লেষ প্রথম উদ্বেগের কারণ এখানে। এ ব্যাপারে অন্য একটি নৌপথের কথাও ভাবা যেতে পারে। সেটি হচ্ছে প্রায় ৮০/৯০ কি.মি. ঘুরে সুন্দরবনকে এড়িয়ে মোংলা-রামপাল-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল ব্যবহার করে কয়লা পরিবহন করার সুযোগ রয়েছে। এ চ্যানেলটির নাব্য বাড়িয়ে এবং চ্যানেলটিকে ভালোভাবে প্রবহমান রাখার জন্য রামপাল-ফয়লা-ডেমা-দড়াটানা এ নৌ-রুটটিকে সচল করে দিলে মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যের কোনো অভাব হবে না। এতে কয়লা পরিবহন ব্যয় সামান্য একটু বেশি হলেও সুন্দরবন নিয়ে শঙ্কা অনেকটা কেটে যাবে। অথবা মোট কয়লা পরিবহন পরিকল্পনা আংশিক পশুর নদী দিয়ে এবং আংশিক মোংলা-রামপাল-ঘোষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে পরিবহনের বিষয়টিও ভাবা যেতে পারে। তেমনটি হলে কয়লা পরিবহনের ব্যাপারে সুন্দরবনের ওপর চাপ কম হবে। তবে সুন্দরবন রুটটি বাদ রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। কয়লা পরিবহনের ব্যাপারে এখনো যেহেতু রপ্তানিকারক দেশ ঠিক করা হয়নি সে ক্ষেত্রে ভেবে দেখা দরকার কয়লার গুণ বৈশিষ্ট্য, মান, মূল্য, পরিবহন ব্যয়, প্রাপ্যতা বা সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সবকিছু মিলিয়ে ভারত থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করার কোনো সুযোগ থাকবে কিনা? তেমনটি থেকে থাকলে জল পরিবহন ব্যতিরেকে রেল পরিবহনের মাধ্যমেও কয়লা পরিবাহিত হতে পারে। ভারতের যেকোনো পয়েন্ট থেকে বিশেষ করে বেনাপোল হয়ে খুলনায় তথা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থলে কয়লা নিয়ে আসা সহজ এবং সম্ভবত ব্যয় সাশ্রয়ীও। তেমনটি করতে পারলে কয়লা পরিবহনের দিক থেকে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রশ্নও উঠবে না।

কয়লা পরিবহনের সময় কয়লার গুঁড়ি ছড়িয়ে পড়াও সুন্দরবন এবং পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। যে পথেই কয়লা পরিবাহিত হোক না কেন জাহাজ থেকে বার্জ কিংবা ছোট ভেসেলে কয়লা উঠানো-নামানো এবং পরিবহনের সময় যাতে কয়লা গুঁড়া ছড়িয়ে না পড়ে এটি অবশ্যই নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বলা হচ্ছে এসব কয়লা পরিবাহিত হবে কাভার্ড বার্জে। মনে রাখা দরকার আমরা বাংলাদেশের মানুষ পানির কল কিংবা গ্যাসের চুলাটি পর্যন্ত বন্ধ করি না। আমাদের সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মন-মানসিকতা মজ্জাগতভাবে আজও তৈরি হয়নি। তাই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করা যাবে সে ভাবনা রয়েই গেছে। কাজেই কয়লার গুঁড়া নদীতে বা সুন্দরবনে বা বায়ুমণ্ডলে যাতে কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেটি সার্বক্ষণিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

কয়লা পরিবহনের সময় আরও একটি ঝুঁকি থেকে যাবে। সেটি হচ্ছে কয়লাবাহী ভেসেল নদীতে ডুবে যাওয়া। আমরা সুন্দরবনে শিবসা নদীতে অনেক সময় তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবে যেতে দেখেছি। সুন্দরবন এলাকায় নদীতে ১২০ প্রজাতির জলজপ্রাণীসহ অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র প্রাণীকুল ও নানাবিধ উদ্ভিদের জন্য ভেসেল বা ট্যাঙ্কার ডুবির ফল খুবই ক্ষতিকর। কয়লার বার্জ ডুবে যাওয়ার ব্যাপারে একদল বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের অবশ্য একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। তাদের মতে কয়লা কাভার্ড ভেসেল বা পরে ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল কনভেয়ারের সাহায্যে পরিবাহিত হলে পরিবেশগত ঝুঁকি খুবই কম থাকবে বা আদৌ থাকবে না। আমাদের নদীগুলোর বিশেষ করে পশুর নদীর বেড হচ্ছে নরম কাদাযুক্ত। তাই কখনও কয়লাবাহী বার্জ ডুবে গেলেও এ কয়লা মাটির সঙ্গে সহজে মিলিয়ে যাবে। তবে জাহাজ থেকে কয়লা ভেসেলে উঠানো, ভেসেল থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থলে নামানো এবং প্ল্যান্ট থেকে কয়লা ভেঙে তা কনভেয়ার বেল্টে করে ফার্নেসে প্রেরণের সময় বেশ পরিমাণ কয়লা গুঁড়া আশপাশে ছড়িয়ে পড়বে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে হবে এবং এই জায়গাগুলোতে কীভাবে পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে তা মানুষকে জানাতে হবে।

কয়লা পরিবাহিত হয়ে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে পৌঁছানোর পর পরবর্তী স্তরটি হবে ফার্নেসে কয়লা পুড়িয়ে তাপ তৈরি করে বাষ্প আকারে তা টারবাইনে রান করিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। স্টকইয়ার্ড থেকে কয়লা ফার্নেসে দেওয়ার জন্য যখন তা ভাঙা হবে সেসময় প্রচুর কয়লার গুঁড়া তৈরি হবে। এই গুঁড়া যাতে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য একটি সায়েন্টিফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

উল্লেখ্য, ফার্নেসে যখন কয়লা পোড়ানো হবে তখন সেখানে সালফিউরিক এবং নাইট্রিক গ্যাস (যাকে বলা হয় ঝড়ীবং এবং ঘড়ীবং) তৈরি হবে। এটি স্থানীয় বাতাস এবং আর্দ্রতা মিশ্রিত এটমোসফিয়ারের সঙ্গে মিশে যাবে। এতে ধঃসড়ংঢ়যবত্ব-এ সালফিউরিক এসিড এবং নাইট্রিক এসিড তৈরি করবে এবং এখান থেকে এসিড বৃষ্টি হতে পারে। খনিজ কয়লায় কার্বন ছাড়াও কিছু পরিমাণ সালফার, নাইট্রেট, আর্সেনিক, মার্কারি, বক্সাইট, লোহা, নিকেল কপার, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি উপাদান থাকে। ফার্নেসে কয়লা পোড়ানোর সময় ছোট ছোট পাট্রিকেল তৈরি হয়ে তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে গাছপালার ক্ষতি হবে এবং মানুষ ও প্রাণীকুলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার কারণ ঘটবে। তবে এসব উপাদান বায়ু অপেক্ষা ভারী বিধায় ছড়িয়ে পড়ার এক-দুই কি. মি. এর মধ্যে মাটি কিংবা পানিতে মিলিয়ে যাবে কিনা কিংবা এতে যতখানি অক্সাইড তৈরি হবে তা কতটুকু ক্ষতিকর কিংবা ক্ষতিকর নয়, ক্ষতিকর হলে কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে সে বিষয়টির বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকা দরকার। শুনেছি এ ধরনের পলুশনের কারণে ক্ষতির মাত্রা খুব বেশি হওয়ার কথা নয়। আন্তর্জাতিকভাবে এর নিশ্চয়ই একটি স্বীকৃত মাত্রা রয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে এটি কেমন হবে? মাত্রা বেশি হলে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং একই সঙ্গে কী ধরনের সায়েন্টিফিক সিকিউরিটি নেওয়া হবে এসব প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হওয়া দরকার। সরকার এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতাকারীরা সায়েন্টিফিক তথ্য দিয়ে বিষয়গুলো আমাদের জানালে আমরা পরিস্থিতি বুঝতে পারব। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পানি ব্যবহার ও গরম পানি শীতল করে তা আবার নদীতে নিঃসরণ করার বিষয়টিও জড়িত। এ লেখাটি তৈরি করার সময় আমি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন রূপসা নদীতে সবচেয়ে যখন কম পানি প্রবাহ থাকে তার পরিমাণ হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৬০০০ কিউবিক ঘনমিটার। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এখান থেকে পানি ব্যবহূত হবে মাত্র ০.০৫ শতাংশ। এমন হলে পানির ব্যবহারের দিকটি খুবই কম। গরম পানি শীতলকরণ এবং রিসাইকেলিংয়ের মাধ্যমে আবার নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে মানুষকে অবহিত করলে ভালো হয়।

প্রত্যেক শিল্পের একটি ক্ষতির দিক থাকে। এখান থেকে পলুশন তৈরি হয়, কিছু মিথেন গ্যাসও ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষ, প্রাণীকুল এবং পরিবেশের ওপর খানিকটা হলেও ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয়। আমি কোনো সায়েন্টিস্ট নই। আমার পক্ষে এ প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক ও পরিবেশগত বিচার-বিশ্লেষণ দেওয়া সম্ভবও নয়। যদি ধরেও নেই যে, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে প্রকল্পস্থল থেকে সুন্দরবন ১৪ কি.মি. দূরে এবং নর্থ লোকেশনে হওয়ায় সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না এরপরও বিজ্ঞানের বাইরে মানুষের কিন্তু একটি মনোজগৎ আছে। সেখানে মানুষের ভাবনা-দুর্ভাবনা, সুখানুভূতি-দুশ্চিন্তা, স্বস্তি-অস্থিরতা ইত্যাদি সবকিছুই তৈরি হয়। যৌক্তিক কারণেই হোক কিংবা যুক্তি ছাড়াই হোক এদিক থেকে সাধারণ মানুষের মনে সুন্দরবনকে নিয়ে কিন্তু এক ধরনের শঙ্কা রয়ে গেছে। মানুষ মনে করছে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন কিন্তু সুন্দরবনের এত কাছাকাছি প্ল্যান্টটি করা ঠিক হচ্ছে কী হচ্ছে না এই দুর্ভাবনাটিও তাদের রয়েছে। এই মানসিক শঙ্কাটি দূর করার জন্য একটি বিষয় ভাবা যায় কিনা? সেটি হচ্ছে বর্তমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থল থেকে প্ল্যান্টের ফার্নেসটি শুধু ৫ থেকে ৬ কি.মি. উত্তরে সরিয়ে নিয়ে বসানো। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্ল্যান্টস্থল থেকে মাটির নিচ দিয়ে একটি টার্নেল তৈরি করা যেতে পারে। সেটি দিয়ে কনভেয়ার বেল্টের সাহায্যে কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রীও ফার্নেস স্থলে প্রেরণ করা সম্ভব হবে। প্ল্যান্টের সবকিছুই থাকবে বর্তমান প্রকল্প স্থলে। শুধু ফার্নেসটি থাকবে প্ল্যান্টস্থল থেকে ৫-৬ কি.মি. দূরে এবং প্ল্যান্টস্থল থেকে ফার্নেসের সব সংযুক্তি থাকবে মাটির নিচের টার্নেল দিয়ে। এতে সুন্দরবন থেকে প্ল্যান্টের দূরত্বের বিষয়টি হয়তো সুরহাও হবে।

প্রকৃতি এবং পরিবেশের ওপর প্রত্যেক শিল্পেরই কিছু না কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকবেই। আবার এটাও ঠিক যে, মানুষ প্রকৃতিকে ব্যবহার করেই উন্নয়ন এবং সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও নেই। আমাদের সবাইকে মিলে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতি এবং উপযোগিতার ভারসাম্য বিন্দু কোথায় পাওয়া যাবে তা খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য কোনো অবস্থায়ই পক্ষগুলোর মধ্যে ‘ডায়ালগ’ বন্ধ করা ঠিক হবে না।

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক।

ই- মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টি ভি তে
টি ভি তে

মাঠে ময়দানে