ঝাঁজালো যুক্তি পেশ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কার্যত কোণঠাসা করেছিলেন কমলা হ্যারিস। গর্ভপাত বিল থেকে শুরু করে রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধসহ আমেরিকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, সব ইস্যুতেই বিতর্ক সভায় ছক্কা হাঁকিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
ওই বিতর্কের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কমলার অগ্নিঝরা বিতর্কে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তার সমর্থকরা। অন্যদিকে তার নিন্দুকেরাও কম জান না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমলাকে ঘিরে একটি বিষয় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে বিতর্কের পর অনেক এক্স ব্যবহারকারী কমলার কানের দুলের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করেছেন। তাদের সন্দেহ কমলা কানে যে দুল পরেছিল তা ইয়ারফোন হতে পারে। তারা বলতে চাইছে বিতর্কের সময় সহায়তা পেতেই কানের দুলসদৃশ ইয়ারফোন ব্যবহার করেছিল কমলা। কমলার কানে যে দুল ছিল তা দেখতে অনেকটা নোভো এইচ-১ অডিও কানের দুলের মতো বলে কমলার সমালোচকদের ধারণা। এইচ-১ ওয়্যারলেস ইয়ারফোন হিসেবে কাজ করে। এই ইয়ারফোন এমনভাবে ডিজাইন করা, যা দেখলে মনে হবে কানের দুল। এক্সের এক ব্যবহারকারী তার টাইমলাইনে লিখেছেন, কমলা হ্যারিস এবিসি আয়োজিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পকে পরাজিত করতে কানের দুলসদৃশ ইয়ারফোন ব্যবহার করেছেন।
এরপর ট্রাম্প সমর্থকদের দাবি, বিতর্কের সময়ে যুক্তি সাজিয়ে কমলা হ্যারিসের টিম তাকে প্রম্পট করছিলেন। ইয়ারফোনে তা শুনে শুনে জবাব দিচ্ছিলেন হ্যারিস, এমন অভিযোগও তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। তার টিমই নাকি শিখিয়ে দিয়েছে কোন সময়ে কী বলতে হবে, কোন প্রশ্ন করতে হবে বিপক্ষকে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন সত্ত্বেও কমলা হ্যারিস বিতর্কের সময় সহায়তা পেতে ইয়ারফোন ব্যবহার করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। এনডিটিভি