শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

সেলিনা হোসেন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

আমাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ অতীত। যে অতীত প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমন্বয়ের অতীত। এই অতীতের একটি যোগসেতু একুশের আন্দোলন। একুশের মধ্য দিয়েই যেন আমাদের এই হাজার হাজার বছরের অতীত কথা কয়ে ওঠে। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জীবনে এক অনিবার্য উপস্থিতি। উর্দু যারা রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলা উপেক্ষা করেছিল। কিন্তু এই উপেক্ষা বাঙালি জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। কারণ যখন কোনো জাতির মুখের ভাষা বিপদগ্রস্ত হয় বুঝতে হবে তখন সেই জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হওয়ার পথে। স্বভাবতই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। সেদিন থেকেই ভাষা আন্দোলন আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র দান করতে পেরেছে।

তখনকার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ফজলুর রহমান। তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি বলেছিলেন যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম অভিন্ন। তিনি আরও চেয়েছিলেন আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করতে। সেটা ’৪৭ থেকে ’৪৯ সালের কথা। তখন পাকিস্তান সরকারের তরফে বয়স্কদের শিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা পশ্চিম পাকিস্তানের বয়স্কদের শিক্ষা খাতে ঠিকই ব্যয় করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয় হয়েছিল আরবি হরফে বাংলা প্রচলনের চেষ্টায়। ’৪৭ থেকে ’৪৯-এর মধ্যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। কিন্তু ’৫২-র আন্দোলন ইতিহাসকে একদম উল্টো স্রোতে বইয়ে দিয়েছে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ’৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সমাজ-ব্যবস্থায় রক্ষণশীলতা অবশ্যই থাকে। রক্ষণশীলতার প্রধান দায়দায়িত্বগুলো মহিলাদের ওপরেই বেশি বর্তায়। ৫০-এর দশকে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের মহিলারা রক্ষণশীলতার বেড়ি ভেঙে একটা প্রগতির ধারার সূচনা করেছিলেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ স্মৃতিচারণ করেছেন-২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার সূচনায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে ছাত্রদের মিছিল বেরিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রীদের যে মিছিল হয়েছিল তাতে তারা আট-দশজন ছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর একজন বান্ধবী ছিলেন, নাম সামসুন্নাহার। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিকার, পোশাক-আশাক ও চালচলনে তাদের পরিবারটি ছিল রক্ষণশীল। মেয়েটি বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন ও পুরোপুরি পর্দাপ্রথা মেনে চলতেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলন যখন অনিবার্য হয়ে উঠল তখন এই মেয়েটি বোরকা পরেই মিছিলে গিয়েছিলেন এবং গুলি ও গ্যাসের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

২২ তারিখে যখন ছাত্রীরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তখন আন্দোলনের ছাত্রনেতারা তাদের বলেন যে, আন্দোলন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। সুফিয়া আহমেদের বাবা ছিলেন জাস্টিস ইব্রাহিম। সমাজের একজন অভিজাত উঁচুতলার মানুষ। এত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরাও সেদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এরকম কয়েকটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, সেদিন এই আন্দোলন আমাদের জীবনে কতখানি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। দিনটা ছিল পূর্ববঙ্গ বিধান পরিষদের বাজেট অধিবেশনের দিন। বিধান পরিষদের একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে তিনি পরিষদকক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছিলেন। চার দশক আগে মহিলাদের পক্ষে রক্ষণশীলতার দড়ি ছেঁড়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। সেদিন মহিলারা নানাভাবে ভাষা আন্দোলনকে শক্তি জুগিয়েছিলেন। এত বছর পরেও আমরা সেই আবেগটুকু ধারণ করে রেখেছি। প্রয়োজনে আমরা বারবার একুশের কাছে ফিরে যাচ্ছি। শক্তি সঞ্চয় করছি।

১৯৪৭ সালে ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

৫০-এর দশকে যে দাঙ্গা হয়েছিল তারপর ১৯৬৪, অর্থাৎ ১৪ বছরের মধ্যে কোনো দাঙ্গা হয়নি। ১৯৬৪ সালে ভারতে হজরত মোহাম্মদের (সা.) চুল চুরির ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের দেশে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল খুবই তাৎক্ষণিকভাবে। সেই দাঙ্গা প্রতিরোধ করা হয়েছিল অত্যন্ত সংগঠিতভাবে, অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। প্রতিরোধ করা হয়েছিল দুভাবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে দাঙ্গাবিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত এলাকার ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন ও দাঙ্গা প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা দলবদ্ধভাবে উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলেন। দেশের সম্মানিত শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় ব্যক্তিগত প্রতিরোধ কতখানি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তার উজ্জ্বল উদাহরণ আমির হোসেন চৌধুরী। তিনি কবি ছিলেন, ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতেন এবং নজরুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশী একটি হিন্দু পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের হাতে নিহত হন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এ মৃত্যু আমাদের অহংকার। কিন্তু আজ বাংলাদেশে কী ঘটছে! একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতার শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেই যাত্রা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯০ এবং ’৯২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের সেই মনোবল ছিল না, দৃঢ়তা ছিল না। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ অসহায় প্রতিবেশীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলেছি। আমরা যেটুকু প্রতিরোধ করেছি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ক্ষীণ, খুবই দুর্বল।

ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেছে। ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করা হয়েছে। এসবই হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি। কিন্তু তারপরেও বলতে হবে যে আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক চেতনা প্রবেশ করেছে। এ সাম্প্রদায়িক চেতনা কেন প্রবেশ করল এটা আমাদের কাছে খুবই বড় প্রশ্ন।

বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২-এর ডিসেম্ব^রে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দাঙ্গাকারীদের হামলাও ছিল সুপরিকল্পিত। আগের দাঙ্গার মতো এ দাঙ্গা আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি। সরকারিভাবে এবং জনগণের পর্যায়ে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় আবেগতাড়িত হয়ে প্রতিহিংসার বশে মানুষ যদি কিছু করে তাহলে মানুষের সেই প্রবৃত্তি হয়তো মাফ করা যায়। কিন্তু যখন সুপরিকল্পিতভাবে মানুষকে হনন করার চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। এখন যেটা হচ্ছে বাংলাদেশে সেটা ধর্মের আবেগে খুব তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হওয়া নয়। সুপরিকল্পিতভাবে, ঠাণ্ডা মাথায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো। দাঙ্গা বাধলে যা করা হচ্ছে তা লুটপাট। প্রথমেই দোকান ও অন্য সম্পত্তি লুট হয়ে যাচ্ছে। লুটপাট করে ভীতির ভাব ছড়িয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। একবার দেশছাড়া করতে পারলে তাদের সবকিছুই ভোগদখল করা যাবে এই ভেবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে যে রাজনীতির প্রচলন আমাদের দেশে করা হয়েছে তার ভয়াবহ পরিণতি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম এবং অমুসলিমের বিভাজন রেখা তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই পরিবর্তন হলো কেন? কেনই বা মানুষের মূল্যবোধে এইভাবে ঘুণ ধরে যাচ্ছে? এই ঘুণ ধরে যাচ্ছে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের কারণে। এই শক্তিকে সহায়তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। যাঁরা আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাঁরা এই শক্তিকে দমন করতে পারছেন না। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই মৌলবাদী শক্তির সহায়তা দরকার। এই মৌলবাদী দলটি কেবল হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ রেখা টেনেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এখন শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানের মধ্যেও বিভেদ রেখা টানছে। কিছুদিন আগে তারা ‘আহমদিয়া’ সম্প্রদায়ের একটি মাদরাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। এবং এই পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ে গেছে। এর জন্য এদের কোনো গ্লানি নেই, কোনো অপরাধবোধও নেই। কারণ ধর্ম তাদের কাছে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই হাতিয়ার প্রয়োগ করেই তারা বারবার তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করেছে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তার একটা উদাহরণ দিলে আপনাদের গা শিউরে উঠবে।

সিলেট জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ছাতকছড়া। গ্রামটিতে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাই বেশি। গ্রামের শাসন পরিচালনা করে পঞ্চায়েত। এই গ্রামেরই একটি মেয়ে নূরজাহান, যার একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী কোনো খোঁজখবর নিত না। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে যায়। যুবতী মেয়ের প্রতি গ্রামের বহু ছেলেই নানা ধরনের উৎপাত করে। তার বাবা বাধ্য হন মেয়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। তাই তার বাবা মসজিদের ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা বলেন ও জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি আরেকবার তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন কি না? ইমাম সাহেব ফতোয়া দেন যে, হ্যাঁ দিতে পারবেন। কারণ তিন বছরের মধ্যে স্বামী খোঁজ না করলে মেয়ের আরেকবার বিয়ে দেওয়া যাবে। এরপর গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে নূরজাহানের বিয়ে হয়ে গেল। এই বিয়ের পর পঞ্চায়েতের কিছু লোক এর বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবং বলল যে, এই বিয়ে বৈধ নয়। ততদিনে মেয়েটি তিন মাস বিবাহিত জীবনযাপন করেছে। তাকে বলা হলো যে, এই অবৈধ জীবনযাপনের জন্য তার শাস্তি প্রাপ্য। নূরজাহানের বাবা ইমাম সাহেবের কাছে আবার গেলেন। তখন সেই মসজিদের ইমাম সাহেব আগের ফতোয়ার কথা অস্বীকার করলেন। তিন মাস আগে ২০০ টাকা নিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, বিয়েটা বৈধ আর তিন মাস পরে পঞ্চায়েতের চাপে পড়ে বলছেন যে, এ বিয়ে বৈধ নয়। এরপর নূরজাহানের বিচার বসল। বিচারে ওই মসজিদের ইমাম রায় দিলেন যে, মাটি খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত গর্ত করে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে নূরজাহান এবং তাকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হবে। ১৯৯৩-এর ১০ জানুয়ারি নূরজাহানকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হয়েছে। তার বাবাকে ৫০ বার বেত মারা হয়েছে। তার মাকে বেত মারা হয়েছে, তার স্বামীকেও বেত মারা হয়েছে। তাই গ্লানিতে, লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে নূরজাহান। এ নিয়ে ঢাকা শহরে প্রচণ্ড তোলপাড় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থার চাপে হয়তো একটা কিছু বিচার হবে। কিন্তু এই যে আগ্রাসন, ধর্মের নামে নারী নির্যাতনের এই যে নতুন পদ্ধতি, আমাদের সংস্কৃতিতে এর অনুপ্রবেশ কেমন করে ঘটল? আমরা কেন এত দূরে সরে যাচ্ছি? এর থেকে আমাদের রেহাই কোথায়?

মৌলবাদী রাজনীতি উত্থানের আরেকটি পরিণতি শহীদ মিনার আক্রমণ। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩-এর ঘটনা এটি। মৌলবাদীরা শহীদ মিনার আক্রমণ করে ও শহীদ মিনারের পিছনের সূর্যটি পুড়িয়ে দেয়। কালো কালি লেপে মুছে দেয় রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে অনেক কবির কবিতার লাইন। মুছে দেয় আলপনা। তারা প্রচার করছে যে এগুলো পূজার নিদর্শন। এভাবে পূজা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী শহীদ মিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তার গায়ে লিখে দিয়েছিল মসজিদ। কিন্তু না, সেই মসজিদ তারা রাখতে পারেনি। এভাবে গায়ের জোরে মসজিদ করা যায় না। আসলে বিশ্বজুড়েই আজ ধর্মান্ধতার প্রসার ঘটেছে। বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক সাম্প্রতিক ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। বাবরি মসজিদে কী হয়েছে তার জন্য আমাদের নিরপরাধ হিন্দু প্রতিবেশীর ওপর অত্যাচার করতে হবে, জোর জুলুম করতে হবে- এটা আর যাই হোক মুসলমানিত্ব নয়। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের বাণীতে বলেছিলেন যে, ‘ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করিও না। যদি ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করো তাহলে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে।’

যদি কোনো মুসলমান ইমানের সঙ্গে এটা বিশ্বাস করে তাহলে সে কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে পারে না। আল্লাহর ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন। যদি এই বিশ্বাস থেকে আমরা খারিজ হয়ে যাই তাহলে আমাদের মুসলমানিত্বের বিশ্বাস থাকে কোথায়?

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িকতা আমরা অর্জন করেছিলাম, বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়ন উপেক্ষা করে যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই আমরা তার সবকিছুই হারিয়েছি। আমরা সরে এসেছি আমাদের চরিত্র থেকে। সুপরিকল্পিতভাবে এই সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা, দেশত্যাগ করার জন্য উসকানি- এ ধরনের আগ্রাসন আমাদের সমাজ জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

এর পরেও কথা থেকে যায়। একমাত্র একটা জিনিসকেই সাম্প্রদায়িকতা এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তা হলো আমাদের সাহিত্য। এখনো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বিবেক সাম্প্রদায়িকতার মর্মচেতনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। নানা ধরনের লেখালেখি হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। যে যেভাবে পারছেন লিখছেন, বলছেন। এই লেখার বিরুদ্ধে চক্রান্তও আছে। এগুলোকে বন্ধ করার জন্য উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যদি বুঝতে পারি যে এই সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন আমাদের মর্মমূল এখনো স্পর্শ করতে পারেনি তাহলে বুঝতে হবে যে, এখনো আলোর রেখা আমাদের সামনে আছে। আর একুশ তো আমাদের জন্য রয়েই গেল। যে একুশ আমাদের দুর্যোগে দুঃসময়ে পথ দেখিয়েছে। যে একুশ মানে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক আবুল ফজলের ভাষায়- মাথা নত না করা।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সভাপতি, বাংলা একাডেমি।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
আধুনিক নগরজীবন মানুষকে অসুস্থ করছে, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

১৯ সেকেন্ড আগে | পাঁচফোড়ন

শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ
শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ

৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টেলিগ্রাফ কিনতে ৫০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি স্বাক্ষর করলো ডেইলি মেইল
টেলিগ্রাফ কিনতে ৫০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি স্বাক্ষর করলো ডেইলি মেইল

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩
গোপালগঞ্জে নতুন আলো ব্রি ধান ১০৩

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান
মুন্সীগঞ্জ উন্নয়ন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষার সনদ প্রদান

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ
সাইবেরিয়ার বরফে মিলল ৪০ হাজার বছরের প্রাচীন আরএনএ

২১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা
নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে: ফরিদপুরে কৃষক দল নেতা

৩০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৩৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নরসিংদীতে ভূমিকম্পের আতঙ্ক কটেনি এলাকাবাসীর
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের আতঙ্ক কটেনি এলাকাবাসীর

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চীনের নতুন ভাসমান দ্বীপ, থাকছে পারমাণবিক বোমা প্রতিরোধী বাংকার
চীনের নতুন ভাসমান দ্বীপ, থাকছে পারমাণবিক বোমা প্রতিরোধী বাংকার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে জাবির নতুন হলগুলোতে ফাটল, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
ভূমিকম্পে জাবির নতুন হলগুলোতে ফাটল, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত প্রার্থীর ঘোড়ার গাড়ির র‍্যালি
ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত প্রার্থীর ঘোড়ার গাড়ির র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় কাজ করার সময় শ্রমিকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় কাজ করার সময় শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
২ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা