শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

সেলিনা হোসেন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

আমাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ অতীত। যে অতীত প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমন্বয়ের অতীত। এই অতীতের একটি যোগসেতু একুশের আন্দোলন। একুশের মধ্য দিয়েই যেন আমাদের এই হাজার হাজার বছরের অতীত কথা কয়ে ওঠে। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জীবনে এক অনিবার্য উপস্থিতি। উর্দু যারা রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলা উপেক্ষা করেছিল। কিন্তু এই উপেক্ষা বাঙালি জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। কারণ যখন কোনো জাতির মুখের ভাষা বিপদগ্রস্ত হয় বুঝতে হবে তখন সেই জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হওয়ার পথে। স্বভাবতই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। সেদিন থেকেই ভাষা আন্দোলন আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র দান করতে পেরেছে।

তখনকার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ফজলুর রহমান। তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি বলেছিলেন যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম অভিন্ন। তিনি আরও চেয়েছিলেন আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করতে। সেটা ’৪৭ থেকে ’৪৯ সালের কথা। তখন পাকিস্তান সরকারের তরফে বয়স্কদের শিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা পশ্চিম পাকিস্তানের বয়স্কদের শিক্ষা খাতে ঠিকই ব্যয় করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয় হয়েছিল আরবি হরফে বাংলা প্রচলনের চেষ্টায়। ’৪৭ থেকে ’৪৯-এর মধ্যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। কিন্তু ’৫২-র আন্দোলন ইতিহাসকে একদম উল্টো স্রোতে বইয়ে দিয়েছে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ’৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সমাজ-ব্যবস্থায় রক্ষণশীলতা অবশ্যই থাকে। রক্ষণশীলতার প্রধান দায়দায়িত্বগুলো মহিলাদের ওপরেই বেশি বর্তায়। ৫০-এর দশকে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের মহিলারা রক্ষণশীলতার বেড়ি ভেঙে একটা প্রগতির ধারার সূচনা করেছিলেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ স্মৃতিচারণ করেছেন-২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার সূচনায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে ছাত্রদের মিছিল বেরিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রীদের যে মিছিল হয়েছিল তাতে তারা আট-দশজন ছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর একজন বান্ধবী ছিলেন, নাম সামসুন্নাহার। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিকার, পোশাক-আশাক ও চালচলনে তাদের পরিবারটি ছিল রক্ষণশীল। মেয়েটি বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন ও পুরোপুরি পর্দাপ্রথা মেনে চলতেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলন যখন অনিবার্য হয়ে উঠল তখন এই মেয়েটি বোরকা পরেই মিছিলে গিয়েছিলেন এবং গুলি ও গ্যাসের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

২২ তারিখে যখন ছাত্রীরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তখন আন্দোলনের ছাত্রনেতারা তাদের বলেন যে, আন্দোলন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। সুফিয়া আহমেদের বাবা ছিলেন জাস্টিস ইব্রাহিম। সমাজের একজন অভিজাত উঁচুতলার মানুষ। এত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরাও সেদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এরকম কয়েকটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, সেদিন এই আন্দোলন আমাদের জীবনে কতখানি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। দিনটা ছিল পূর্ববঙ্গ বিধান পরিষদের বাজেট অধিবেশনের দিন। বিধান পরিষদের একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে তিনি পরিষদকক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছিলেন। চার দশক আগে মহিলাদের পক্ষে রক্ষণশীলতার দড়ি ছেঁড়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। সেদিন মহিলারা নানাভাবে ভাষা আন্দোলনকে শক্তি জুগিয়েছিলেন। এত বছর পরেও আমরা সেই আবেগটুকু ধারণ করে রেখেছি। প্রয়োজনে আমরা বারবার একুশের কাছে ফিরে যাচ্ছি। শক্তি সঞ্চয় করছি।

১৯৪৭ সালে ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

৫০-এর দশকে যে দাঙ্গা হয়েছিল তারপর ১৯৬৪, অর্থাৎ ১৪ বছরের মধ্যে কোনো দাঙ্গা হয়নি। ১৯৬৪ সালে ভারতে হজরত মোহাম্মদের (সা.) চুল চুরির ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের দেশে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল খুবই তাৎক্ষণিকভাবে। সেই দাঙ্গা প্রতিরোধ করা হয়েছিল অত্যন্ত সংগঠিতভাবে, অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। প্রতিরোধ করা হয়েছিল দুভাবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে দাঙ্গাবিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত এলাকার ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন ও দাঙ্গা প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা দলবদ্ধভাবে উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলেন। দেশের সম্মানিত শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় ব্যক্তিগত প্রতিরোধ কতখানি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তার উজ্জ্বল উদাহরণ আমির হোসেন চৌধুরী। তিনি কবি ছিলেন, ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতেন এবং নজরুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশী একটি হিন্দু পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের হাতে নিহত হন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এ মৃত্যু আমাদের অহংকার। কিন্তু আজ বাংলাদেশে কী ঘটছে! একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতার শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেই যাত্রা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯০ এবং ’৯২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের সেই মনোবল ছিল না, দৃঢ়তা ছিল না। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ অসহায় প্রতিবেশীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলেছি। আমরা যেটুকু প্রতিরোধ করেছি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ক্ষীণ, খুবই দুর্বল।

ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেছে। ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করা হয়েছে। এসবই হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি। কিন্তু তারপরেও বলতে হবে যে আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক চেতনা প্রবেশ করেছে। এ সাম্প্রদায়িক চেতনা কেন প্রবেশ করল এটা আমাদের কাছে খুবই বড় প্রশ্ন।

বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২-এর ডিসেম্ব^রে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দাঙ্গাকারীদের হামলাও ছিল সুপরিকল্পিত। আগের দাঙ্গার মতো এ দাঙ্গা আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি। সরকারিভাবে এবং জনগণের পর্যায়ে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় আবেগতাড়িত হয়ে প্রতিহিংসার বশে মানুষ যদি কিছু করে তাহলে মানুষের সেই প্রবৃত্তি হয়তো মাফ করা যায়। কিন্তু যখন সুপরিকল্পিতভাবে মানুষকে হনন করার চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। এখন যেটা হচ্ছে বাংলাদেশে সেটা ধর্মের আবেগে খুব তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হওয়া নয়। সুপরিকল্পিতভাবে, ঠাণ্ডা মাথায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো। দাঙ্গা বাধলে যা করা হচ্ছে তা লুটপাট। প্রথমেই দোকান ও অন্য সম্পত্তি লুট হয়ে যাচ্ছে। লুটপাট করে ভীতির ভাব ছড়িয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। একবার দেশছাড়া করতে পারলে তাদের সবকিছুই ভোগদখল করা যাবে এই ভেবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে যে রাজনীতির প্রচলন আমাদের দেশে করা হয়েছে তার ভয়াবহ পরিণতি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম এবং অমুসলিমের বিভাজন রেখা তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই পরিবর্তন হলো কেন? কেনই বা মানুষের মূল্যবোধে এইভাবে ঘুণ ধরে যাচ্ছে? এই ঘুণ ধরে যাচ্ছে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের কারণে। এই শক্তিকে সহায়তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। যাঁরা আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাঁরা এই শক্তিকে দমন করতে পারছেন না। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই মৌলবাদী শক্তির সহায়তা দরকার। এই মৌলবাদী দলটি কেবল হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ রেখা টেনেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এখন শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানের মধ্যেও বিভেদ রেখা টানছে। কিছুদিন আগে তারা ‘আহমদিয়া’ সম্প্রদায়ের একটি মাদরাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। এবং এই পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ে গেছে। এর জন্য এদের কোনো গ্লানি নেই, কোনো অপরাধবোধও নেই। কারণ ধর্ম তাদের কাছে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই হাতিয়ার প্রয়োগ করেই তারা বারবার তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করেছে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তার একটা উদাহরণ দিলে আপনাদের গা শিউরে উঠবে।

সিলেট জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ছাতকছড়া। গ্রামটিতে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাই বেশি। গ্রামের শাসন পরিচালনা করে পঞ্চায়েত। এই গ্রামেরই একটি মেয়ে নূরজাহান, যার একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী কোনো খোঁজখবর নিত না। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে যায়। যুবতী মেয়ের প্রতি গ্রামের বহু ছেলেই নানা ধরনের উৎপাত করে। তার বাবা বাধ্য হন মেয়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। তাই তার বাবা মসজিদের ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা বলেন ও জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি আরেকবার তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন কি না? ইমাম সাহেব ফতোয়া দেন যে, হ্যাঁ দিতে পারবেন। কারণ তিন বছরের মধ্যে স্বামী খোঁজ না করলে মেয়ের আরেকবার বিয়ে দেওয়া যাবে। এরপর গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে নূরজাহানের বিয়ে হয়ে গেল। এই বিয়ের পর পঞ্চায়েতের কিছু লোক এর বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবং বলল যে, এই বিয়ে বৈধ নয়। ততদিনে মেয়েটি তিন মাস বিবাহিত জীবনযাপন করেছে। তাকে বলা হলো যে, এই অবৈধ জীবনযাপনের জন্য তার শাস্তি প্রাপ্য। নূরজাহানের বাবা ইমাম সাহেবের কাছে আবার গেলেন। তখন সেই মসজিদের ইমাম সাহেব আগের ফতোয়ার কথা অস্বীকার করলেন। তিন মাস আগে ২০০ টাকা নিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, বিয়েটা বৈধ আর তিন মাস পরে পঞ্চায়েতের চাপে পড়ে বলছেন যে, এ বিয়ে বৈধ নয়। এরপর নূরজাহানের বিচার বসল। বিচারে ওই মসজিদের ইমাম রায় দিলেন যে, মাটি খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত গর্ত করে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে নূরজাহান এবং তাকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হবে। ১৯৯৩-এর ১০ জানুয়ারি নূরজাহানকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হয়েছে। তার বাবাকে ৫০ বার বেত মারা হয়েছে। তার মাকে বেত মারা হয়েছে, তার স্বামীকেও বেত মারা হয়েছে। তাই গ্লানিতে, লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে নূরজাহান। এ নিয়ে ঢাকা শহরে প্রচণ্ড তোলপাড় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থার চাপে হয়তো একটা কিছু বিচার হবে। কিন্তু এই যে আগ্রাসন, ধর্মের নামে নারী নির্যাতনের এই যে নতুন পদ্ধতি, আমাদের সংস্কৃতিতে এর অনুপ্রবেশ কেমন করে ঘটল? আমরা কেন এত দূরে সরে যাচ্ছি? এর থেকে আমাদের রেহাই কোথায়?

মৌলবাদী রাজনীতি উত্থানের আরেকটি পরিণতি শহীদ মিনার আক্রমণ। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩-এর ঘটনা এটি। মৌলবাদীরা শহীদ মিনার আক্রমণ করে ও শহীদ মিনারের পিছনের সূর্যটি পুড়িয়ে দেয়। কালো কালি লেপে মুছে দেয় রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে অনেক কবির কবিতার লাইন। মুছে দেয় আলপনা। তারা প্রচার করছে যে এগুলো পূজার নিদর্শন। এভাবে পূজা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী শহীদ মিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তার গায়ে লিখে দিয়েছিল মসজিদ। কিন্তু না, সেই মসজিদ তারা রাখতে পারেনি। এভাবে গায়ের জোরে মসজিদ করা যায় না। আসলে বিশ্বজুড়েই আজ ধর্মান্ধতার প্রসার ঘটেছে। বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক সাম্প্রতিক ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। বাবরি মসজিদে কী হয়েছে তার জন্য আমাদের নিরপরাধ হিন্দু প্রতিবেশীর ওপর অত্যাচার করতে হবে, জোর জুলুম করতে হবে- এটা আর যাই হোক মুসলমানিত্ব নয়। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের বাণীতে বলেছিলেন যে, ‘ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করিও না। যদি ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করো তাহলে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে।’

যদি কোনো মুসলমান ইমানের সঙ্গে এটা বিশ্বাস করে তাহলে সে কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে পারে না। আল্লাহর ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন। যদি এই বিশ্বাস থেকে আমরা খারিজ হয়ে যাই তাহলে আমাদের মুসলমানিত্বের বিশ্বাস থাকে কোথায়?

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িকতা আমরা অর্জন করেছিলাম, বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়ন উপেক্ষা করে যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই আমরা তার সবকিছুই হারিয়েছি। আমরা সরে এসেছি আমাদের চরিত্র থেকে। সুপরিকল্পিতভাবে এই সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা, দেশত্যাগ করার জন্য উসকানি- এ ধরনের আগ্রাসন আমাদের সমাজ জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

এর পরেও কথা থেকে যায়। একমাত্র একটা জিনিসকেই সাম্প্রদায়িকতা এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তা হলো আমাদের সাহিত্য। এখনো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বিবেক সাম্প্রদায়িকতার মর্মচেতনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। নানা ধরনের লেখালেখি হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। যে যেভাবে পারছেন লিখছেন, বলছেন। এই লেখার বিরুদ্ধে চক্রান্তও আছে। এগুলোকে বন্ধ করার জন্য উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যদি বুঝতে পারি যে এই সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন আমাদের মর্মমূল এখনো স্পর্শ করতে পারেনি তাহলে বুঝতে হবে যে, এখনো আলোর রেখা আমাদের সামনে আছে। আর একুশ তো আমাদের জন্য রয়েই গেল। যে একুশ আমাদের দুর্যোগে দুঃসময়ে পথ দেখিয়েছে। যে একুশ মানে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক আবুল ফজলের ভাষায়- মাথা নত না করা।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সভাপতি, বাংলা একাডেমি।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
রংপুরে সেই আশরাফুলের দাফন সম্পন্ন
রংপুরে সেই আশরাফুলের দাফন সম্পন্ন

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু

১০ মিনিট আগে | পর্যটন

নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র‍্যালি
নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র‍্যালি

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কার কথা বলছেন, তাদের পেছনে জনগণ নেই: মুশফিকুর রহমান
নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কার কথা বলছেন, তাদের পেছনে জনগণ নেই: মুশফিকুর রহমান

১৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা
নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলনে তরুণদের নিয়ে বেসিসের উদ্যোগ
জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলনে তরুণদের নিয়ে বেসিসের উদ্যোগ

২৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

খাগড়াছড়িতে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার, ডিভাইস জব্দ
খাগড়াছড়িতে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার, ডিভাইস জব্দ

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

থানচির নাফাখুমে পর্যটক নিখোঁজ
থানচির নাফাখুমে পর্যটক নিখোঁজ

৪৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পর্বতারোহণে বিকাশের ব্যতিক্রমী রেকর্ড
পর্বতারোহণে বিকাশের ব্যতিক্রমী রেকর্ড

৪৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল যুবকের মরদেহ
সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল যুবকের মরদেহ

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঝিনাইদহের মহেশপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
ঝিনাইদহের মহেশপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের ডিএসপি হলেন ভারতের নারী বিশ্বকাপজয়ী দীপ্তি শর্মা
পুলিশের ডিএসপি হলেন ভারতের নারী বিশ্বকাপজয়ী দীপ্তি শর্মা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন করে সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে ট্রাম্পের ফোন
নতুন করে সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে ট্রাম্পের ফোন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে হাতেখড়ি খেলাঘর আসরের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
সোনারগাঁয়ে হাতেখড়ি খেলাঘর আসরের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটুয়াখালীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন
পটুয়াখালীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র
ফের পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোংলায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ
মোংলায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মানিকগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
মানিকগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টে ছক্কার রেকর্ড ঋষভের, টপকালেন শেবাগকে
টেস্টে ছক্কার রেকর্ড ঋষভের, টপকালেন শেবাগকে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুইডিশ যুদ্ধবিমান কিনতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কলম্বিয়ার
সুইডিশ যুদ্ধবিমান কিনতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কলম্বিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

২৩ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা