শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

সেলিনা হোসেন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

আমাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ অতীত। যে অতীত প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমন্বয়ের অতীত। এই অতীতের একটি যোগসেতু একুশের আন্দোলন। একুশের মধ্য দিয়েই যেন আমাদের এই হাজার হাজার বছরের অতীত কথা কয়ে ওঠে। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জীবনে এক অনিবার্য উপস্থিতি। উর্দু যারা রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলা উপেক্ষা করেছিল। কিন্তু এই উপেক্ষা বাঙালি জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। কারণ যখন কোনো জাতির মুখের ভাষা বিপদগ্রস্ত হয় বুঝতে হবে তখন সেই জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হওয়ার পথে। স্বভাবতই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। সেদিন থেকেই ভাষা আন্দোলন আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র দান করতে পেরেছে।

তখনকার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ফজলুর রহমান। তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি বলেছিলেন যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম অভিন্ন। তিনি আরও চেয়েছিলেন আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করতে। সেটা ’৪৭ থেকে ’৪৯ সালের কথা। তখন পাকিস্তান সরকারের তরফে বয়স্কদের শিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা পশ্চিম পাকিস্তানের বয়স্কদের শিক্ষা খাতে ঠিকই ব্যয় করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয় হয়েছিল আরবি হরফে বাংলা প্রচলনের চেষ্টায়। ’৪৭ থেকে ’৪৯-এর মধ্যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। কিন্তু ’৫২-র আন্দোলন ইতিহাসকে একদম উল্টো স্রোতে বইয়ে দিয়েছে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ’৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সমাজ-ব্যবস্থায় রক্ষণশীলতা অবশ্যই থাকে। রক্ষণশীলতার প্রধান দায়দায়িত্বগুলো মহিলাদের ওপরেই বেশি বর্তায়। ৫০-এর দশকে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের মহিলারা রক্ষণশীলতার বেড়ি ভেঙে একটা প্রগতির ধারার সূচনা করেছিলেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ স্মৃতিচারণ করেছেন-২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার সূচনায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে ছাত্রদের মিছিল বেরিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রীদের যে মিছিল হয়েছিল তাতে তারা আট-দশজন ছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর একজন বান্ধবী ছিলেন, নাম সামসুন্নাহার। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিকার, পোশাক-আশাক ও চালচলনে তাদের পরিবারটি ছিল রক্ষণশীল। মেয়েটি বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন ও পুরোপুরি পর্দাপ্রথা মেনে চলতেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলন যখন অনিবার্য হয়ে উঠল তখন এই মেয়েটি বোরকা পরেই মিছিলে গিয়েছিলেন এবং গুলি ও গ্যাসের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

২২ তারিখে যখন ছাত্রীরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তখন আন্দোলনের ছাত্রনেতারা তাদের বলেন যে, আন্দোলন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। সুফিয়া আহমেদের বাবা ছিলেন জাস্টিস ইব্রাহিম। সমাজের একজন অভিজাত উঁচুতলার মানুষ। এত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরাও সেদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এরকম কয়েকটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, সেদিন এই আন্দোলন আমাদের জীবনে কতখানি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। দিনটা ছিল পূর্ববঙ্গ বিধান পরিষদের বাজেট অধিবেশনের দিন। বিধান পরিষদের একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে তিনি পরিষদকক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছিলেন। চার দশক আগে মহিলাদের পক্ষে রক্ষণশীলতার দড়ি ছেঁড়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। সেদিন মহিলারা নানাভাবে ভাষা আন্দোলনকে শক্তি জুগিয়েছিলেন। এত বছর পরেও আমরা সেই আবেগটুকু ধারণ করে রেখেছি। প্রয়োজনে আমরা বারবার একুশের কাছে ফিরে যাচ্ছি। শক্তি সঞ্চয় করছি।

১৯৪৭ সালে ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

৫০-এর দশকে যে দাঙ্গা হয়েছিল তারপর ১৯৬৪, অর্থাৎ ১৪ বছরের মধ্যে কোনো দাঙ্গা হয়নি। ১৯৬৪ সালে ভারতে হজরত মোহাম্মদের (সা.) চুল চুরির ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের দেশে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল খুবই তাৎক্ষণিকভাবে। সেই দাঙ্গা প্রতিরোধ করা হয়েছিল অত্যন্ত সংগঠিতভাবে, অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। প্রতিরোধ করা হয়েছিল দুভাবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে দাঙ্গাবিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত এলাকার ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন ও দাঙ্গা প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা দলবদ্ধভাবে উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলেন। দেশের সম্মানিত শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় ব্যক্তিগত প্রতিরোধ কতখানি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তার উজ্জ্বল উদাহরণ আমির হোসেন চৌধুরী। তিনি কবি ছিলেন, ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতেন এবং নজরুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশী একটি হিন্দু পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের হাতে নিহত হন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এ মৃত্যু আমাদের অহংকার। কিন্তু আজ বাংলাদেশে কী ঘটছে! একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতার শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেই যাত্রা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯০ এবং ’৯২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের সেই মনোবল ছিল না, দৃঢ়তা ছিল না। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ অসহায় প্রতিবেশীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলেছি। আমরা যেটুকু প্রতিরোধ করেছি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ক্ষীণ, খুবই দুর্বল।

ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেছে। ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করা হয়েছে। এসবই হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি। কিন্তু তারপরেও বলতে হবে যে আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক চেতনা প্রবেশ করেছে। এ সাম্প্রদায়িক চেতনা কেন প্রবেশ করল এটা আমাদের কাছে খুবই বড় প্রশ্ন।

বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২-এর ডিসেম্ব^রে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দাঙ্গাকারীদের হামলাও ছিল সুপরিকল্পিত। আগের দাঙ্গার মতো এ দাঙ্গা আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি। সরকারিভাবে এবং জনগণের পর্যায়ে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় আবেগতাড়িত হয়ে প্রতিহিংসার বশে মানুষ যদি কিছু করে তাহলে মানুষের সেই প্রবৃত্তি হয়তো মাফ করা যায়। কিন্তু যখন সুপরিকল্পিতভাবে মানুষকে হনন করার চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। এখন যেটা হচ্ছে বাংলাদেশে সেটা ধর্মের আবেগে খুব তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হওয়া নয়। সুপরিকল্পিতভাবে, ঠাণ্ডা মাথায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো। দাঙ্গা বাধলে যা করা হচ্ছে তা লুটপাট। প্রথমেই দোকান ও অন্য সম্পত্তি লুট হয়ে যাচ্ছে। লুটপাট করে ভীতির ভাব ছড়িয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। একবার দেশছাড়া করতে পারলে তাদের সবকিছুই ভোগদখল করা যাবে এই ভেবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে যে রাজনীতির প্রচলন আমাদের দেশে করা হয়েছে তার ভয়াবহ পরিণতি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম এবং অমুসলিমের বিভাজন রেখা তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই পরিবর্তন হলো কেন? কেনই বা মানুষের মূল্যবোধে এইভাবে ঘুণ ধরে যাচ্ছে? এই ঘুণ ধরে যাচ্ছে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের কারণে। এই শক্তিকে সহায়তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। যাঁরা আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাঁরা এই শক্তিকে দমন করতে পারছেন না। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই মৌলবাদী শক্তির সহায়তা দরকার। এই মৌলবাদী দলটি কেবল হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ রেখা টেনেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এখন শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানের মধ্যেও বিভেদ রেখা টানছে। কিছুদিন আগে তারা ‘আহমদিয়া’ সম্প্রদায়ের একটি মাদরাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। এবং এই পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ে গেছে। এর জন্য এদের কোনো গ্লানি নেই, কোনো অপরাধবোধও নেই। কারণ ধর্ম তাদের কাছে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই হাতিয়ার প্রয়োগ করেই তারা বারবার তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করেছে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তার একটা উদাহরণ দিলে আপনাদের গা শিউরে উঠবে।

সিলেট জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ছাতকছড়া। গ্রামটিতে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাই বেশি। গ্রামের শাসন পরিচালনা করে পঞ্চায়েত। এই গ্রামেরই একটি মেয়ে নূরজাহান, যার একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী কোনো খোঁজখবর নিত না। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে যায়। যুবতী মেয়ের প্রতি গ্রামের বহু ছেলেই নানা ধরনের উৎপাত করে। তার বাবা বাধ্য হন মেয়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। তাই তার বাবা মসজিদের ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা বলেন ও জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি আরেকবার তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন কি না? ইমাম সাহেব ফতোয়া দেন যে, হ্যাঁ দিতে পারবেন। কারণ তিন বছরের মধ্যে স্বামী খোঁজ না করলে মেয়ের আরেকবার বিয়ে দেওয়া যাবে। এরপর গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে নূরজাহানের বিয়ে হয়ে গেল। এই বিয়ের পর পঞ্চায়েতের কিছু লোক এর বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবং বলল যে, এই বিয়ে বৈধ নয়। ততদিনে মেয়েটি তিন মাস বিবাহিত জীবনযাপন করেছে। তাকে বলা হলো যে, এই অবৈধ জীবনযাপনের জন্য তার শাস্তি প্রাপ্য। নূরজাহানের বাবা ইমাম সাহেবের কাছে আবার গেলেন। তখন সেই মসজিদের ইমাম সাহেব আগের ফতোয়ার কথা অস্বীকার করলেন। তিন মাস আগে ২০০ টাকা নিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, বিয়েটা বৈধ আর তিন মাস পরে পঞ্চায়েতের চাপে পড়ে বলছেন যে, এ বিয়ে বৈধ নয়। এরপর নূরজাহানের বিচার বসল। বিচারে ওই মসজিদের ইমাম রায় দিলেন যে, মাটি খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত গর্ত করে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে নূরজাহান এবং তাকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হবে। ১৯৯৩-এর ১০ জানুয়ারি নূরজাহানকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হয়েছে। তার বাবাকে ৫০ বার বেত মারা হয়েছে। তার মাকে বেত মারা হয়েছে, তার স্বামীকেও বেত মারা হয়েছে। তাই গ্লানিতে, লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে নূরজাহান। এ নিয়ে ঢাকা শহরে প্রচণ্ড তোলপাড় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থার চাপে হয়তো একটা কিছু বিচার হবে। কিন্তু এই যে আগ্রাসন, ধর্মের নামে নারী নির্যাতনের এই যে নতুন পদ্ধতি, আমাদের সংস্কৃতিতে এর অনুপ্রবেশ কেমন করে ঘটল? আমরা কেন এত দূরে সরে যাচ্ছি? এর থেকে আমাদের রেহাই কোথায়?

মৌলবাদী রাজনীতি উত্থানের আরেকটি পরিণতি শহীদ মিনার আক্রমণ। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩-এর ঘটনা এটি। মৌলবাদীরা শহীদ মিনার আক্রমণ করে ও শহীদ মিনারের পিছনের সূর্যটি পুড়িয়ে দেয়। কালো কালি লেপে মুছে দেয় রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে অনেক কবির কবিতার লাইন। মুছে দেয় আলপনা। তারা প্রচার করছে যে এগুলো পূজার নিদর্শন। এভাবে পূজা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী শহীদ মিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তার গায়ে লিখে দিয়েছিল মসজিদ। কিন্তু না, সেই মসজিদ তারা রাখতে পারেনি। এভাবে গায়ের জোরে মসজিদ করা যায় না। আসলে বিশ্বজুড়েই আজ ধর্মান্ধতার প্রসার ঘটেছে। বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক সাম্প্রতিক ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। বাবরি মসজিদে কী হয়েছে তার জন্য আমাদের নিরপরাধ হিন্দু প্রতিবেশীর ওপর অত্যাচার করতে হবে, জোর জুলুম করতে হবে- এটা আর যাই হোক মুসলমানিত্ব নয়। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের বাণীতে বলেছিলেন যে, ‘ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করিও না। যদি ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করো তাহলে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে।’

যদি কোনো মুসলমান ইমানের সঙ্গে এটা বিশ্বাস করে তাহলে সে কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে পারে না। আল্লাহর ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন। যদি এই বিশ্বাস থেকে আমরা খারিজ হয়ে যাই তাহলে আমাদের মুসলমানিত্বের বিশ্বাস থাকে কোথায়?

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িকতা আমরা অর্জন করেছিলাম, বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়ন উপেক্ষা করে যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই আমরা তার সবকিছুই হারিয়েছি। আমরা সরে এসেছি আমাদের চরিত্র থেকে। সুপরিকল্পিতভাবে এই সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা, দেশত্যাগ করার জন্য উসকানি- এ ধরনের আগ্রাসন আমাদের সমাজ জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

এর পরেও কথা থেকে যায়। একমাত্র একটা জিনিসকেই সাম্প্রদায়িকতা এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তা হলো আমাদের সাহিত্য। এখনো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বিবেক সাম্প্রদায়িকতার মর্মচেতনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। নানা ধরনের লেখালেখি হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। যে যেভাবে পারছেন লিখছেন, বলছেন। এই লেখার বিরুদ্ধে চক্রান্তও আছে। এগুলোকে বন্ধ করার জন্য উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যদি বুঝতে পারি যে এই সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন আমাদের মর্মমূল এখনো স্পর্শ করতে পারেনি তাহলে বুঝতে হবে যে, এখনো আলোর রেখা আমাদের সামনে আছে। আর একুশ তো আমাদের জন্য রয়েই গেল। যে একুশ আমাদের দুর্যোগে দুঃসময়ে পথ দেখিয়েছে। যে একুশ মানে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক আবুল ফজলের ভাষায়- মাথা নত না করা।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সভাপতি, বাংলা একাডেমি।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক
সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স
বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স

২ মিনিট আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক
বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স
জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

২৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা
চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

৩৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫
মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা