শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

সেলিনা হোসেন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলা ভাষা ও মহান একুশের চেতনা

আমাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ অতীত। যে অতীত প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমন্বয়ের অতীত। এই অতীতের একটি যোগসেতু একুশের আন্দোলন। একুশের মধ্য দিয়েই যেন আমাদের এই হাজার হাজার বছরের অতীত কথা কয়ে ওঠে। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জীবনে এক অনিবার্য উপস্থিতি। উর্দু যারা রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলা উপেক্ষা করেছিল। কিন্তু এই উপেক্ষা বাঙালি জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। কারণ যখন কোনো জাতির মুখের ভাষা বিপদগ্রস্ত হয় বুঝতে হবে তখন সেই জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হওয়ার পথে। স্বভাবতই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। সেদিন থেকেই ভাষা আন্দোলন আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র দান করতে পেরেছে।

তখনকার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ফজলুর রহমান। তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি বলেছিলেন যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম অভিন্ন। তিনি আরও চেয়েছিলেন আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করতে। সেটা ’৪৭ থেকে ’৪৯ সালের কথা। তখন পাকিস্তান সরকারের তরফে বয়স্কদের শিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা পশ্চিম পাকিস্তানের বয়স্কদের শিক্ষা খাতে ঠিকই ব্যয় করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয় হয়েছিল আরবি হরফে বাংলা প্রচলনের চেষ্টায়। ’৪৭ থেকে ’৪৯-এর মধ্যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল। কিন্তু ’৫২-র আন্দোলন ইতিহাসকে একদম উল্টো স্রোতে বইয়ে দিয়েছে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ’৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সমাজ-ব্যবস্থায় রক্ষণশীলতা অবশ্যই থাকে। রক্ষণশীলতার প্রধান দায়দায়িত্বগুলো মহিলাদের ওপরেই বেশি বর্তায়। ৫০-এর দশকে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের মহিলারা রক্ষণশীলতার বেড়ি ভেঙে একটা প্রগতির ধারার সূচনা করেছিলেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ স্মৃতিচারণ করেছেন-২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার সূচনায় দুই-তিনটি দলে ভাগ হয়ে ছাত্রদের মিছিল বেরিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রীদের যে মিছিল হয়েছিল তাতে তারা আট-দশজন ছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর একজন বান্ধবী ছিলেন, নাম সামসুন্নাহার। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিকার, পোশাক-আশাক ও চালচলনে তাদের পরিবারটি ছিল রক্ষণশীল। মেয়েটি বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন ও পুরোপুরি পর্দাপ্রথা মেনে চলতেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলন যখন অনিবার্য হয়ে উঠল তখন এই মেয়েটি বোরকা পরেই মিছিলে গিয়েছিলেন এবং গুলি ও গ্যাসের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

২২ তারিখে যখন ছাত্রীরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তখন আন্দোলনের ছাত্রনেতারা তাদের বলেন যে, আন্দোলন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। সুফিয়া আহমেদের বাবা ছিলেন জাস্টিস ইব্রাহিম। সমাজের একজন অভিজাত উঁচুতলার মানুষ। এত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরাও সেদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এরকম কয়েকটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, সেদিন এই আন্দোলন আমাদের জীবনে কতখানি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। দিনটা ছিল পূর্ববঙ্গ বিধান পরিষদের বাজেট অধিবেশনের দিন। বিধান পরিষদের একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে তিনি পরিষদকক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছিলেন। চার দশক আগে মহিলাদের পক্ষে রক্ষণশীলতার দড়ি ছেঁড়া, আন্দোলনে অংশ নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। সেদিন মহিলারা নানাভাবে ভাষা আন্দোলনকে শক্তি জুগিয়েছিলেন। এত বছর পরেও আমরা সেই আবেগটুকু ধারণ করে রেখেছি। প্রয়োজনে আমরা বারবার একুশের কাছে ফিরে যাচ্ছি। শক্তি সঞ্চয় করছি।

১৯৪৭ সালে ড. এনামুল হক তাঁর প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, বাংলার পরিবর্তে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মৃত্যু অনিবার্য। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে যদি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় তাহলে তা পূর্ব পাকিস্তানবাসীর পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমানজনক আত্মসমর্পণ করা হবে। এবং এই আত্মসমর্পণ হবে একটি রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমরা হিন্দু না মুসলমান এটা বড় কথা নয়, আমরা বাঙালি এটা যেমন বাস্তব কথা তেমনি বাস্তব সত্য। ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এভাবেই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি চেতনা আমরা আজ পর্যন্ত লালন করছি। কিন্তু আমাদের এখনকার ইতিহাস এর চেয়ে ভিন্ন হয়ে গেছে।

৫০-এর দশকে যে দাঙ্গা হয়েছিল তারপর ১৯৬৪, অর্থাৎ ১৪ বছরের মধ্যে কোনো দাঙ্গা হয়নি। ১৯৬৪ সালে ভারতে হজরত মোহাম্মদের (সা.) চুল চুরির ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের দেশে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল খুবই তাৎক্ষণিকভাবে। সেই দাঙ্গা প্রতিরোধ করা হয়েছিল অত্যন্ত সংগঠিতভাবে, অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। প্রতিরোধ করা হয়েছিল দুভাবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে দাঙ্গাবিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত এলাকার ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন ও দাঙ্গা প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা দলবদ্ধভাবে উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলেন। দেশের সম্মানিত শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় ব্যক্তিগত প্রতিরোধ কতখানি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তার উজ্জ্বল উদাহরণ আমির হোসেন চৌধুরী। তিনি কবি ছিলেন, ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখতেন এবং নজরুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশী একটি হিন্দু পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের হাতে নিহত হন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এ মৃত্যু আমাদের অহংকার। কিন্তু আজ বাংলাদেশে কী ঘটছে! একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতার শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেই যাত্রা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯০ এবং ’৯২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের সেই মনোবল ছিল না, দৃঢ়তা ছিল না। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ অসহায় প্রতিবেশীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলেছি। আমরা যেটুকু প্রতিরোধ করেছি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ক্ষীণ, খুবই দুর্বল।

ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেছে। ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করা হয়েছে। এসবই হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রত্যাখ্যান করেনি। কিন্তু তারপরেও বলতে হবে যে আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক চেতনা প্রবেশ করেছে। এ সাম্প্রদায়িক চেতনা কেন প্রবেশ করল এটা আমাদের কাছে খুবই বড় প্রশ্ন।

বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ১৯৯২-এর ডিসেম্ব^রে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দাঙ্গাকারীদের হামলাও ছিল সুপরিকল্পিত। আগের দাঙ্গার মতো এ দাঙ্গা আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি। সরকারিভাবে এবং জনগণের পর্যায়ে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় আবেগতাড়িত হয়ে প্রতিহিংসার বশে মানুষ যদি কিছু করে তাহলে মানুষের সেই প্রবৃত্তি হয়তো মাফ করা যায়। কিন্তু যখন সুপরিকল্পিতভাবে মানুষকে হনন করার চেষ্টা করা হয় তখন সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। এখন যেটা হচ্ছে বাংলাদেশে সেটা ধর্মের আবেগে খুব তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হওয়া নয়। সুপরিকল্পিতভাবে, ঠাণ্ডা মাথায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো। দাঙ্গা বাধলে যা করা হচ্ছে তা লুটপাট। প্রথমেই দোকান ও অন্য সম্পত্তি লুট হয়ে যাচ্ছে। লুটপাট করে ভীতির ভাব ছড়িয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। একবার দেশছাড়া করতে পারলে তাদের সবকিছুই ভোগদখল করা যাবে এই ভেবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে যে রাজনীতির প্রচলন আমাদের দেশে করা হয়েছে তার ভয়াবহ পরিণতি আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম এবং অমুসলিমের বিভাজন রেখা তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই পরিবর্তন হলো কেন? কেনই বা মানুষের মূল্যবোধে এইভাবে ঘুণ ধরে যাচ্ছে? এই ঘুণ ধরে যাচ্ছে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের কারণে। এই শক্তিকে সহায়তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। যাঁরা আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাঁরা এই শক্তিকে দমন করতে পারছেন না। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই মৌলবাদী শক্তির সহায়তা দরকার। এই মৌলবাদী দলটি কেবল হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ রেখা টেনেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এখন শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানের মধ্যেও বিভেদ রেখা টানছে। কিছুদিন আগে তারা ‘আহমদিয়া’ সম্প্রদায়ের একটি মাদরাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। এবং এই পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ে গেছে। এর জন্য এদের কোনো গ্লানি নেই, কোনো অপরাধবোধও নেই। কারণ ধর্ম তাদের কাছে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। এই হাতিয়ার প্রয়োগ করেই তারা বারবার তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করেছে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তার একটা উদাহরণ দিলে আপনাদের গা শিউরে উঠবে।

সিলেট জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ছাতকছড়া। গ্রামটিতে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাই বেশি। গ্রামের শাসন পরিচালনা করে পঞ্চায়েত। এই গ্রামেরই একটি মেয়ে নূরজাহান, যার একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী কোনো খোঁজখবর নিত না। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে যায়। যুবতী মেয়ের প্রতি গ্রামের বহু ছেলেই নানা ধরনের উৎপাত করে। তার বাবা বাধ্য হন মেয়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। তাই তার বাবা মসজিদের ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা বলেন ও জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি আরেকবার তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন কি না? ইমাম সাহেব ফতোয়া দেন যে, হ্যাঁ দিতে পারবেন। কারণ তিন বছরের মধ্যে স্বামী খোঁজ না করলে মেয়ের আরেকবার বিয়ে দেওয়া যাবে। এরপর গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে নূরজাহানের বিয়ে হয়ে গেল। এই বিয়ের পর পঞ্চায়েতের কিছু লোক এর বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবং বলল যে, এই বিয়ে বৈধ নয়। ততদিনে মেয়েটি তিন মাস বিবাহিত জীবনযাপন করেছে। তাকে বলা হলো যে, এই অবৈধ জীবনযাপনের জন্য তার শাস্তি প্রাপ্য। নূরজাহানের বাবা ইমাম সাহেবের কাছে আবার গেলেন। তখন সেই মসজিদের ইমাম সাহেব আগের ফতোয়ার কথা অস্বীকার করলেন। তিন মাস আগে ২০০ টাকা নিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, বিয়েটা বৈধ আর তিন মাস পরে পঞ্চায়েতের চাপে পড়ে বলছেন যে, এ বিয়ে বৈধ নয়। এরপর নূরজাহানের বিচার বসল। বিচারে ওই মসজিদের ইমাম রায় দিলেন যে, মাটি খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত গর্ত করে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে নূরজাহান এবং তাকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হবে। ১৯৯৩-এর ১০ জানুয়ারি নূরজাহানকে ১০১টি পাথর ছুড়ে মারা হয়েছে। তার বাবাকে ৫০ বার বেত মারা হয়েছে। তার মাকে বেত মারা হয়েছে, তার স্বামীকেও বেত মারা হয়েছে। তাই গ্লানিতে, লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে নূরজাহান। এ নিয়ে ঢাকা শহরে প্রচণ্ড তোলপাড় হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থার চাপে হয়তো একটা কিছু বিচার হবে। কিন্তু এই যে আগ্রাসন, ধর্মের নামে নারী নির্যাতনের এই যে নতুন পদ্ধতি, আমাদের সংস্কৃতিতে এর অনুপ্রবেশ কেমন করে ঘটল? আমরা কেন এত দূরে সরে যাচ্ছি? এর থেকে আমাদের রেহাই কোথায়?

মৌলবাদী রাজনীতি উত্থানের আরেকটি পরিণতি শহীদ মিনার আক্রমণ। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩-এর ঘটনা এটি। মৌলবাদীরা শহীদ মিনার আক্রমণ করে ও শহীদ মিনারের পিছনের সূর্যটি পুড়িয়ে দেয়। কালো কালি লেপে মুছে দেয় রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে অনেক কবির কবিতার লাইন। মুছে দেয় আলপনা। তারা প্রচার করছে যে এগুলো পূজার নিদর্শন। এভাবে পূজা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী শহীদ মিনার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তার গায়ে লিখে দিয়েছিল মসজিদ। কিন্তু না, সেই মসজিদ তারা রাখতে পারেনি। এভাবে গায়ের জোরে মসজিদ করা যায় না। আসলে বিশ্বজুড়েই আজ ধর্মান্ধতার প্রসার ঘটেছে। বাবরি মসজিদকেন্দ্রিক সাম্প্রতিক ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। বাবরি মসজিদে কী হয়েছে তার জন্য আমাদের নিরপরাধ হিন্দু প্রতিবেশীর ওপর অত্যাচার করতে হবে, জোর জুলুম করতে হবে- এটা আর যাই হোক মুসলমানিত্ব নয়। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের বাণীতে বলেছিলেন যে, ‘ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করিও না। যদি ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করো তাহলে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে।’

যদি কোনো মুসলমান ইমানের সঙ্গে এটা বিশ্বাস করে তাহলে সে কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে পারে না। আল্লাহর ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন। যদি এই বিশ্বাস থেকে আমরা খারিজ হয়ে যাই তাহলে আমাদের মুসলমানিত্বের বিশ্বাস থাকে কোথায়?

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িকতা আমরা অর্জন করেছিলাম, বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়ন উপেক্ষা করে যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই আমরা তার সবকিছুই হারিয়েছি। আমরা সরে এসেছি আমাদের চরিত্র থেকে। সুপরিকল্পিতভাবে এই সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা, দেশত্যাগ করার জন্য উসকানি- এ ধরনের আগ্রাসন আমাদের সমাজ জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

এর পরেও কথা থেকে যায়। একমাত্র একটা জিনিসকেই সাম্প্রদায়িকতা এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তা হলো আমাদের সাহিত্য। এখনো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বিবেক সাম্প্রদায়িকতার মর্মচেতনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। নানা ধরনের লেখালেখি হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। যে যেভাবে পারছেন লিখছেন, বলছেন। এই লেখার বিরুদ্ধে চক্রান্তও আছে। এগুলোকে বন্ধ করার জন্য উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যদি বুঝতে পারি যে এই সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন আমাদের মর্মমূল এখনো স্পর্শ করতে পারেনি তাহলে বুঝতে হবে যে, এখনো আলোর রেখা আমাদের সামনে আছে। আর একুশ তো আমাদের জন্য রয়েই গেল। যে একুশ আমাদের দুর্যোগে দুঃসময়ে পথ দেখিয়েছে। যে একুশ মানে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক আবুল ফজলের ভাষায়- মাথা নত না করা।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সভাপতি, বাংলা একাডেমি।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক
অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা
কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট
কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন
ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার
ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫

৩ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস
কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা
গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা

১০ ঘণ্টা আগে | টক শো

সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১৬ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

প্রিন্ট সর্বাধিক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক
ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে লুক্সেমবার্গ

পূর্ব-পশ্চিম

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

আন্দোলনে হামলা, গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা
আন্দোলনে হামলা, গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা

দেশগ্রাম

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ট্রাম্পের
নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু

পূর্ব-পশ্চিম

পিঁয়াজ আমদানির আইপি উন্মুক্তের দাবি
পিঁয়াজ আমদানির আইপি উন্মুক্তের দাবি

দেশগ্রাম

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত

পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

টানা বর্ষণে আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষতির আশঙ্কা
টানা বর্ষণে আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষতির আশঙ্কা

দেশগ্রাম

অপহৃত যুবক উদ্ধার, আটক ৫
অপহৃত যুবক উদ্ধার, আটক ৫

দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ ‘আগ্রাসন’ : মাদুরো
যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ ‘আগ্রাসন’ : মাদুরো

পূর্ব-পশ্চিম

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

গার্ডিয়ান ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতা
গার্ডিয়ান ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতা

নগর জীবন

মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

দেশগ্রাম