দিনাজপুরে আলু চাষিরা সরকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত আলুর বীজ পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি কৃষক পর্যায়ে সরকারি নির্ধারিত দরে আলু বীজ সরবরাহ করার কথা থাকলেও বীজ না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। সরকারিভাবে যেখানে আলুর বীজের মূল্য সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা কেজি, সেখানে কৃষকদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে উচ্চ মূল্যে আলুর বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে। আলু বীজ কৃষকরা না পেয়ে পাচ্ছে ডিলাররা কৃষকদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএডিসির কর্মকতা বলছেন স্বল্প পর্যায়ে কৃষকদের বীজ দেওয়া হচ্ছে।
এবার দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষমাত্রা ৪৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, বোচাগঞ্জ, পার্বতীপুর, খানসামা, ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ী উপজেলায় চলছে আগাম আলুর চাষ। মাঠে মাঠে কৃষকরা হাল দিয়ে আলু রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে কৃষকদের বীজ দেওয়ার কথা থাকলেও পাচ্ছেন ডিলাররা। তবে কৃষি বিভাগের তথ্য মতে দিনাজপুর জেলায় আলুর বীজের চাহিদা ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে বিএডিসি বরাদ্দ পায় ২ হাজার ৭শ মেট্রিক টন। বাকি বীজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষকরা সংগ্রহ করে। যেখানে বিএডিসির বীজের প্রতি কেজীর মূল্য ৬২ থেকে ৬৪ টাকা সেখানে কৃষকদের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আলুর বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাইরে থেকে বীজ ক্রয় করায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। তবে আগাম আলু চাষে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় খুশী শ্রমিকরা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরকারি পর্যায়ে সামান্য বীজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
বিএডিসি বীজ দিনাজপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশিদ জানান, অক্টোবর থেকেই ডিলার ও কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী বীজ দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল