চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রামদাস বিল এখন মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিলটি পর্যটকদের কাছে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ বিলের অপরূপ শোভা দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন কক্সবাজারের অনুভূতি লাভ করতে। এ সুযোগে এখানে নৌকা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করছেন অনেকেই। ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, এ বিল ঘিরে পর্যটনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলে রাজস্ব আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে, রামদাস বিলসহ পর্যটন এলাকাগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু পানি আর পানি। সেই সঙ্গে পানির ঢেউ চোখে পড়ার মতো। এ যেন একটি বিশাল সমুদ্রের গল্প। তবে সেটা সমুদ্র নয়, এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে রামদাস বিলের গল্প। এ বিল যেন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এখন মিনি কক্সবাজার। পর্যটকদের আনন্দ দিতেই ঢেউ ভেঙে ছুটে চলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অসংখ্য নৌকা। নৌকায় চেপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভেসে চলেন বিনোদনপিপাসু মানুষ। আর বিশাল জলরাশির মধ্যে রয়েছে ডুবন্ত সড়ক। সড়কের দুই ধারে যখন পানিতে ভরে ওঠে, তখন সড়কটি সমুদ্রসৈকতে রূপ নেয়। সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতল পানিতে পা ভিজিয়ে পর্যটকরা হাঁটতে থাকেন। কেউ আবার মোবাইলে সেলফি তুলে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখেন। মিনি কক্সবাজারে সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে আকাশজুড়ে রক্তের মতো হয়ে যায়। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় বিলের পাশ ঘেঁষে ভারতীয় সীমানা। সন্ধ্যা লাগতেই ভারতীয় সীমান্তে জ্বলে ওঠে লাইট। বর্ষা মৌসুমে এখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আসেন মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। পর্যটকদের দাবি- রামদাস বিলটিকে বিনোদনের জন্য পর্যটনমুখী করে গড়ে তুলবে স্থানীয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, রামদাস বিলসহ সব পর্যটন এলাকা ঢেলে সাজানো হবে। কারণ পর্যটন এলাকা অর্থনৈতিক জোন হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রামদাস বিলটি প্রায় ২৪৫ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। প্রাকৃতিক মিঠা পানির বিল বলা হয় এটিকে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই