ঝিনাইদহের মহেশপুরের আযমপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামের মাঠে আগাম জাতের শিম চাষ করে বাজিমাত করেছেন শিক্ষিত যুবক আরিফুল ইসলাম ও তার কৃষক বাবা ওহিদুল ইসলাম। এরই মধ্যে এক বিঘা জমি থেকে লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করেছেন। শিম বারোমাসি সবজি না হওয়ায় আনসিজনে ভালো দাম পাওয়ার আসায় বেগুনি ফুলের ছায়ায় শিমের রাজ্যে ব্যস্ত সময় কাটান তারা। পাইকারি প্রতি কেজি শিমের দাম পড়ে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। বর্তমানে ফলন কিছু কম হলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিমের পরিমাণ বাড়বে বলে তারা মনে করেন।
বিদ্যাধরপুর গ্রামের শিক্ষিত যুবক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে বায়িং হাউসে মোটা টাকা বেতনে চাকরি পেয়েছিলাম। দুই বছর চাকরি করার পর চলে এলো করোনা ভাইরাস। এরপর বাড়িতে এসে বাবার সঙ্গে চাষ শুরু করে ভালো সাড়া পাই। কয়েক মাস পর কোম্পানিতে ফিরে আসার জন্য আমাকে ফোনে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পিতার সঙ্গে গ্রামের মাঠে চাষ করছি। চাষে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং এলাকার অনেক শ্রমিক আমার খেতে কাজ করে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনভাবে চলতেও পারছি। সেকারণে চাকরিতে ফিরে যাইনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, শিক্ষিত যুবক ও তার বাবা মিলে আগাম শিম চাষ করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিয়মিত সেখানে মনিটরিং ও কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সবাই চাকরির পেছনে না ছুটে স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষিতেই নিজেদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই