বেশ কয়েকদিন থেকে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক স্থানে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেই সাথে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। ৭ ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এই অঞ্চলে। তবে পঞ্চগড়সহ কয়েকটি স্থানে এর আগেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এমনটা শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
শীতের প্রকোপ বাড়লে শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষদের কষ্টে দিনযাপন করতে হবে। শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে স্থানীয় প্রশাসন শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠালেও এখন তা এসে পৌঁছায়নি। সময় মত শীতবস্ত্র না এলে শীতার্ত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। প্রতিবছর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হলেও এখন পর্যন্ত উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। রংপুর জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ে এক লাখ ২০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীত বস্ত্র আসেনি। একই অবস্থা উত্তরের অন্যান্য জেলাগুলোতে। স্থানীয় প্রশাসন শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠালেও তা এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছেনি। বর্তমানে রংপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলে হিমেল হাওয়ার সাথে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
রবিবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ের দোরগোড়ায় অবস্থান করছে শৈত্যপ্রবাহ। দিনে যেমন তেমন রাতে তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। গত কয়েকদিন থেকে আকাশ রয়েছে মেঘলা।
পরিবেশবাদিদের মতে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলে শীতের সময় প্রচন্ড শীত এবং গরমের সময় প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়। গত কদিন থেকে এ অঞ্চলে শীত তার আপন রুপে ফিরে আসতে শুরু করেছে। শীতের কারণে অনেকের গায়ে গরম পোশাক চড়ালেও হতদরিদ্ররা পড়েছেন বেকায়দায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও চর এলাকার লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে থাকেন। শীতে কাবু হয়ে অনেক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে শীত ও ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শীতের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ গবাদিপশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাবের পরিমান বেশি।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুর অঞ্চলের তাপমাত্রা আরো কমবে। ৭ ডিসেম্বর থেকে এই অঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও এর আগেও হতে পারে।
রংপুর জেলা ত্রাণ অফিসার মোতাহার হোসেন বলেন, একলাখ ২০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত শীতবস্ত্র চলে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল