চারদিকে থইথই পানি। মাঝখানে দ্বীপের মতো ছোট্ট একটি গ্রাম। এ গ্রামে নেই কোনো স্কুল। নদী পার হয়ে যেতে হবে স্কুলে। এ ভয়ে অনেক অভিভাবক সন্তানকে স্কুলে দিতে চান না। ছয় কিংবা সাত বছরের ছেলেমেয়েরা স্কুলে না গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজে যায়। চারদিকে এত আলো তবু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল সেই গ্রামের শিশুরা। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’। দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে সেই গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে শিশুরা সব কিছু পায় বিনামূল্যে। শিক্ষকের বেতন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম, স্কুল ড্রেস, ব্যাগ, জুতা সব খরচ বহন করে বসুন্ধরা গ্রুপ। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমারশনের মতো এমন দুর্গম আরও ২০ জায়গায় চালু করা হয়েছে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’। গত তিন বছরে ধাপে ধাপে চালু হওয়া মোট ২১টি স্কুলে এখন শিক্ষার্থী আছে ২২৬৫ জন। ৬৪ জন শিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কের কর্মসংস্থান হয়েছে স্কুলগুলোতে। শিশু থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। দেশের ১৮টি জেলার দুর্গম অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য চালু হওয়া ২১টি স্কুল নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনের প্রথম পর্ব ছাপা হলো আজ। জাকারিয়া জামানের তথ্য ও ছবিতে বিস্তারিত-