চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৩২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ৩০তম সিনেট সভায় বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র চেয়ারম্যান ও চবি'র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল মান্নান। বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন খাতে ১৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, চিকিৎসা খাতে ৫০ লাখ টাকা, আসবাবপত্র ক্রয় ৭০ লাখ টাকা, পরিবহন খাতে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা, গবেষণা খাতে ২ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষ গবেষণা খাতে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সিনেট অধিবেশনে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান বলেন, গবেষণা করার জন্য টাকার কোন লিমিটেশন নাই। যখন যা চাইবেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তা নিয়ে দিব। তিনি আমাদের গবেষণার জন্য যা লাগবে তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সগুলো বেশী বেশী করা উচিত। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে।
গবেষণা খাতে বরাদ্দ কম থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানে ক্লাসে পড়ানো নয়। জ্ঞান সৃষ্টি করা। যদি কোন গবেষণাই না হয় তবে মঞ্জুরি কমিশন কেন বরাদ্দ দিবে! গবেষণাপত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করলে আমরা সরকারের সাথে কথা বলে অবশ্যই বরাদ্দ বৃদ্ধি করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার