দীর্ঘ এক বছর পর নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে 'বিতর্কিতদের' পদায়ন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও ভুক্তোভোগীরা। সোমবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও ক্ষুদ্ধ এসব নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে গেলে নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিক খান ও অর্থ সম্পাদক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে সাত আটজন অনুসারী সহ এই মিছিলের উপর হামলার অভিযোগও উঠে।
হামলায় আহত হন ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সদস্য ও ডাকসুর বর্তমান সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর আরেক সদস্য ফরিদা পারভীন, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তারসহ কয়েকজন।
হামলার বিষয়ে আহত সৈকত বলেন, আমরা মধুর ক্যান্টিনের সামনে আসার পর সাদিক খান ও রাকিব হোসেন ও তাদের সাত আটজন অনুসারী মিলে আমাদের কলার ধরে মারধর করে। এসময় তারা লিপি, তিলোত্তমা ও ফরিদা পারভীনের গায়েও হাত তোলে।
হামলার বিষয়ে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, আমরা যখন মধুর ক্যান্টিনে সবাই মিলে মুভ করা শুরু করলাম তখন সাদিক খান আমার উপর ও লিপির উপর হামলা করে, এক পর্যায়ে তারা আমাদের ধাক্কা দেয় এবং লিপির উপর হামলা করে আমি বাধা দিতে গেলে আমার উপরও হামলা করে। আমরা এমন ছাত্রলীগ তো চাইনি।
সাদিক খানের ব্যাপারে বলতে যেয়ে তিলোত্তমা বলেন, সাদিক খান যিনি বিবাহিত, যার স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা গেল; এমন বিতর্কিত ব্যক্তি কিভাবে এ কমিটিতে স্থান পায়।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মে ২০১৯/আরাফাত