২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:০২

বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাইলেন ভিপি নুর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাইলেন ভিপি নুর

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক সংহতি বিক্ষোভ থেকে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানান সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।
 
তিনি বলেন, ‘আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অরাজকতা চলছে। ৯০ এর দশকে ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি শুরু হয়। কিন্তু সেটাতেও না পেরে প্রশাসনে দলদাস প্রশাসক বসানো শুরু হয়। এই দলদাস, রাজনৈতিক অনুগত লোক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসন ছাত্রলীগের মাস্তান বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুণ্যভূমি গোপালগঞ্জে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বাছুর বলে মন্তব্য করেন।’

নুরুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে না আসতে পারে সেজন্য ভিসি ভবনের পাশের একটি সাঁকো পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমি গোপালগঞ্জের প্রশাসনকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিকে যে উপাচার্য কলঙ্কিত করলেন, আপনারা তার ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এমন অপদার্থ একজন উপাচার্য গোপালগঞ্জের মাটিতে থাকতে পারেন না। তিনি গোপালগঞ্জের মানুষকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পাশে দাড়াঁনোর আহ্বান জানান। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ষড়যন্ত্র খোঁজা হলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন ডাকসু ভিপি।
 
সমাবেশে বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসান আল মামুন  বলেন, প্রয়োজনে আমরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো এবং ভিসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। এ সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ এনে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তিনি।   

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যে কারণে নিয়োগ পেয়েছেন, সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে তারা দালালিতে লিপ্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজ দালালী করা হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে। সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুর্নীতির ভূত তাড়াতে হবে। 

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লার সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, লুৎফুন নাহার, আবু হানিফ বক্তব্য দেন। 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর