রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৮ সালে আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ওপর করা এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আজ এই রুল জারি করে হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২০ জুন ‘মো. নুরুল হুদা বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ শিরোনামে রিট পিটিশনটি দাখিল করেন নুরুল হুদা নামের একজন চাকরি প্রার্থী। রিট পিটিশন নাম্বার ৫৬৮৭/২১। সেই রিটের শুনানি আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় হাইকোর্ট ডিভিশনের ১৭ নম্বর কোর্টে অনুষ্ঠিত হয়।
রিট পিটিশনের বাদী নুরুল হুদা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও ২০১৮ সালের রাবির আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে একটি রিট করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আমার পক্ষে রায় এসেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই নিয়োগ কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আইন বিভাগে প্রভাষক পদে তিন জন শিক্ষকের নিয়োগ হয়। যার বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চে এবং ওই বছরের ১৩ নভেম্বর নিয়োগের ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। আর ১৭ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদিত হয়। এর পরদিন ১৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্তরা বিভাগে যোগদান করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন− উপ-উপাচার্যের মেয়ের জামাই সাইমুন তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে নূর নুসরাত সুলতানা। নুসরাত একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন। অন্যজন হচ্ছেন রাবির আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী বনশ্রী রানী। এই তিন জনের চেয়ে বেশি পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাননি মোহাম্মদ নূরুল হুদা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর